ঢাকা ০৩:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনায় সং’ঘ’র্ষে পুলিশ সদস্য নি’হ’ত

খুলনায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে সুমন কুমার ঘরামী নামে এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। তিনি পুলিশ লাইন্সে কর্মরত ছিলেন। শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনার জিরো পয়েন্ট, গল্লামারী মোড় এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের এ সংঘর্ষ হয়। রাত পৌনে ৯টার দিকে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, সংঘর্ষে আমাদের ২০-২৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। পুলিশ লাইন্সের কনস্টেবল সুমন নিহত হয়েছেন। পুলিশ সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। অথচ আমার এক ভাইকে পিটিয়ে মেরে ফেলল।এদিকে, সংঘর্ষের সময় অসংখ্য টিয়ারশেল, রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা পুলিশের একটি পিকআপে আগুন ধরিয়ে দেয়। একটি ট্রাক ভাঙচুর করে। সংঘর্ষের কারণে বিকেল ৪টা থেকে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক ও রূপসা সেতু বাইপাস সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুই পাশে আটকা পড়ে শতাধিক যানবাহন।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত গুলিবিদ্ধ (শটগান ও রাবার বুলেট) অবস্থায় চারজনসহ ২২ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর। এ ঘটনায় পুলিশেরও অন্তত ২০ জন সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার ও আমাদের ভাবনা শীর্ষক আলোচনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।

খুলনায় সং’ঘ’র্ষে পুলিশ সদস্য নি’হ’ত

আপডেট সময় ০২:৪০:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪

খুলনায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে সুমন কুমার ঘরামী নামে এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। তিনি পুলিশ লাইন্সে কর্মরত ছিলেন। শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনার জিরো পয়েন্ট, গল্লামারী মোড় এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের এ সংঘর্ষ হয়। রাত পৌনে ৯টার দিকে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, সংঘর্ষে আমাদের ২০-২৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। পুলিশ লাইন্সের কনস্টেবল সুমন নিহত হয়েছেন। পুলিশ সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। অথচ আমার এক ভাইকে পিটিয়ে মেরে ফেলল।এদিকে, সংঘর্ষের সময় অসংখ্য টিয়ারশেল, রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা পুলিশের একটি পিকআপে আগুন ধরিয়ে দেয়। একটি ট্রাক ভাঙচুর করে। সংঘর্ষের কারণে বিকেল ৪টা থেকে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক ও রূপসা সেতু বাইপাস সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুই পাশে আটকা পড়ে শতাধিক যানবাহন।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত গুলিবিদ্ধ (শটগান ও রাবার বুলেট) অবস্থায় চারজনসহ ২২ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর। এ ঘটনায় পুলিশেরও অন্তত ২০ জন সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।