রাজধানীসহ সারাদেশে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হামলা, মারধর ও শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। পাশাপাশি ক্যামেরা, মোবাইল ফোন, গাড়ি ভাংচুর ও মোটর সাইকেলে আগুন দেয়ার ঘটনাও ঘটে। এছাড়া ঢাকা টাইমস পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মেহেদী হাসান এবং দৈনিক ভোরের আওয়াজ পত্রিকার গাজীপুর এর গাছা থানা করেসপন্ডেন্ট মো. শাকিল হোসেন পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে গত বৃহস্পতিবার মারা গেছেন।
জেএফবি’র এক বিবৃতিতে সাংবাদিক হত্যা ও হামলার এই সব ঘটনার দ্রুত বিচারের দাবী জানিয়েছেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, নির্যাতন ও হত্যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় এবং তা স্বাধীন-মুক্ত সাংবাদিকতার সুস্পষ্টভাবে পরিপন্থী। সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় যে বা যারা জড়িত সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের অতি দ্রুত খুঁজে বের করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি আহত সাংবাদিকদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন জেএফবি নেতৃবৃন্দ।
পেশাগত দায়িত্ব পালনে সাংবাদিকদের আরো সতর্কতা অবলম্বন এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানান নেতৃবৃন্দ। পাশাপাশি ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে এবং সাংবাদিকরা যাতে স্বাধীন ও নিরাপদভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারেন এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ও কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীসহ সকল পক্ষের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন জেএফবি’র নেতৃবৃন্দরা।
অ্যাসাইমেন্ট কাভার করার সময় হামলায় আহত সাংবাদিকরা হলেন: ডিবিসি নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার ফারহানা ইয়াছমিন (জুঁথি), একাত্তর টিভির সিনিয়র রিপোর্টার নাদিয়া শারমিন, প্রতিদিনের বাংলাদেশের বিশেষ প্রতিনিধি আলাউদ্দিন আরিফ, এশিয়ান টিভির চিফ রিপোর্টার বাতেন বিপ্লব, গ্রীণ টিভির সিনিয়র রিপোর্টার এম এম সেকান্দার, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এর স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট কুতুব উদ্দিন মুহাম্মদ জসিম, বাংলাভিশনের স্টাফ রিপোর্টার ফররুখ বাবুসহ ১০০ জনের বেশি সাংবাদিক আহত হয়েছেন।