ঢাকা ০৮:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্লাস চলাকালিন সময়ে বীম ভে’ঙ্গে ফ্যান পরে শিক্ষক আ’হ’ত। শিশু শিক্ষার্থীদের মধ্যে আ’ত’ঙ্ক।

দ্বিতীয় শ্রেনীর শিশু শিক্ষার্থীদের ক্লাস চলাকালিন সময়ে ভবনের ছাদের বিম ভেঙ্গে ফ্যান ছিড়ে শিক্ষক আবু বকর সিদ্দিক আহত হয়েছে। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে ওই শ্রেনীতে থাকা অর্থ শতাধিক শিশু শিক্ষার্থী। ঘটনার সময় শিশু শিক্ষার্থীরা ডাক চিৎকার দিয়ে ক্লাস ছেড়ে চলে যায়।  এতে বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরেছে। আহত শিক্ষককে অন্য শিক্ষকরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। ঘটনা ঘটেছে তালতলী উপজেলার  বগীরহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টায় দিকে।
জানাগেছে, পিইডিপি-২ প্রকল্পের অধিনে ২০০৬ সালে তালতলী উপজেলার বগীরহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতল ভবন নির্মাণ করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ ভবন নির্মাণে অনিয়ম ও ত্রæটি ছিল। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে দ্বিতীয় শ্রেনীর ক্লাস চলাকালিন সময়ে ভবনের বিম ভেঙ্গে ফ্যান ছিড়ে নীচে পড়ে যায়। এতে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবু বকর সিদ্দিক আহত হয়। আহত শিক্ষককে অন্য শিক্ষকরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।   অল্পের জন্য ওই শ্রেনী কক্ষে থাকা অর্ধ শতাধিক দ্বিতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থী রক্ষা পেয়েছে।  এ সময়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তারা শ্রেনী কক্ষ ছেড়ে দৌড়ে যায়। খবর পেয়ে অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে ছুড়ে আসেন। এ ঘটনায় এলাকার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরেছে। ভবন নির্মাণের ১৮ বছরের মাথায় বিম ধসে ফ্যান ছিড়ে শিক্ষক আহত হওয়ায় ঘটনায় তদন্ত দাবী করেছেন এলাকাবাসী।
বিদ্যালয় অভিভাবক মোঃ নজরুল ইসলাম বিশ্বাস ও কামরুল ইসলাম বলেন, নির্মাণের ১৮ বছরের মাথায় ভবনের বিম ভেঙ্গে শিক্ষক আহতের ঘটনায় আমরা হতাশ। কিভাবে আমাদের শিশু সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাবো? এতে অভিভাবকরা বেশ দুচিন্তায় আছি। দ্রæত এ ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান তারা।
আহত সহকারী শিক্ষক মোঃ আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ক্লাসে পাঠদান করছিলাম, হঠাৎ বিম ধসে ফ্যান ছিড়ে আমার মাথায় পড়ে। এতে আমার বেশ জখম হয়েছে। তিনি আরো বলেন, অল্পের জন্য শিশু শিক্ষার্থীরা রক্ষা পেয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল হক বলেন, আহত শিক্ষককে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছি। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা আতঙ্কিত। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের শ্রেনী কক্ষে ফেরাতে কষ্ট হবে।
তালতলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের নিকট প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

কাওরাইদ রেলওয়ে স্টেশনে যমুনা এক্সপ্রেসের যাত্রাবিরতির দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

ক্লাস চলাকালিন সময়ে বীম ভে’ঙ্গে ফ্যান পরে শিক্ষক আ’হ’ত। শিশু শিক্ষার্থীদের মধ্যে আ’ত’ঙ্ক।

আপডেট সময় ১২:০২:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪
দ্বিতীয় শ্রেনীর শিশু শিক্ষার্থীদের ক্লাস চলাকালিন সময়ে ভবনের ছাদের বিম ভেঙ্গে ফ্যান ছিড়ে শিক্ষক আবু বকর সিদ্দিক আহত হয়েছে। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে ওই শ্রেনীতে থাকা অর্থ শতাধিক শিশু শিক্ষার্থী। ঘটনার সময় শিশু শিক্ষার্থীরা ডাক চিৎকার দিয়ে ক্লাস ছেড়ে চলে যায়।  এতে বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরেছে। আহত শিক্ষককে অন্য শিক্ষকরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। ঘটনা ঘটেছে তালতলী উপজেলার  বগীরহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টায় দিকে।
জানাগেছে, পিইডিপি-২ প্রকল্পের অধিনে ২০০৬ সালে তালতলী উপজেলার বগীরহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতল ভবন নির্মাণ করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ ভবন নির্মাণে অনিয়ম ও ত্রæটি ছিল। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে দ্বিতীয় শ্রেনীর ক্লাস চলাকালিন সময়ে ভবনের বিম ভেঙ্গে ফ্যান ছিড়ে নীচে পড়ে যায়। এতে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবু বকর সিদ্দিক আহত হয়। আহত শিক্ষককে অন্য শিক্ষকরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।   অল্পের জন্য ওই শ্রেনী কক্ষে থাকা অর্ধ শতাধিক দ্বিতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থী রক্ষা পেয়েছে।  এ সময়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তারা শ্রেনী কক্ষ ছেড়ে দৌড়ে যায়। খবর পেয়ে অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে ছুড়ে আসেন। এ ঘটনায় এলাকার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরেছে। ভবন নির্মাণের ১৮ বছরের মাথায় বিম ধসে ফ্যান ছিড়ে শিক্ষক আহত হওয়ায় ঘটনায় তদন্ত দাবী করেছেন এলাকাবাসী।
বিদ্যালয় অভিভাবক মোঃ নজরুল ইসলাম বিশ্বাস ও কামরুল ইসলাম বলেন, নির্মাণের ১৮ বছরের মাথায় ভবনের বিম ভেঙ্গে শিক্ষক আহতের ঘটনায় আমরা হতাশ। কিভাবে আমাদের শিশু সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাবো? এতে অভিভাবকরা বেশ দুচিন্তায় আছি। দ্রæত এ ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান তারা।
আহত সহকারী শিক্ষক মোঃ আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ক্লাসে পাঠদান করছিলাম, হঠাৎ বিম ধসে ফ্যান ছিড়ে আমার মাথায় পড়ে। এতে আমার বেশ জখম হয়েছে। তিনি আরো বলেন, অল্পের জন্য শিশু শিক্ষার্থীরা রক্ষা পেয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল হক বলেন, আহত শিক্ষককে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছি। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা আতঙ্কিত। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের শ্রেনী কক্ষে ফেরাতে কষ্ট হবে।
তালতলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের নিকট প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে।