নীলফামারীতে অর্থমন্ত্রালয়ে চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসা
নীলফামারীতে অর্থমন্ত্রালয়ে দপ্তরীপদে চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে জেলার সদর উপজেলার গোড়গ্রাম ইউনিয়নের কির্ত্তণীয়া পাড়া বড়াইবাড়ী এলাকার কায়েদ-ই-আযম রাজুর বিরুদ্ধে। কায়েদ-ই-আযম রাজু ওই এলাকার অবসর প্রাপ্ত কহিনুর ইসলাম ছেলে।
এ ঘটনায় নীলফামারী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন জলঢাকা উপজেলার মীরগঞ্জ ইউনিয়নের কালকৈউট এলাকার মো: আজিজার রহমান (৮০)।
অভিযোগে বর্ণিত, নিজের ছেলে জসিম উদ্দিন (২২) কে অর্থমন্ত্রালয়ে দপ্তরি পদে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ ৩ লক্ষ টাকা দাবী করে অভিযুক্ত কায়েদ-ই-আযম রাজু। ৩ লক্ষ টাকা দিতে না পেরে ছেলের চাকুরীর আশায় ২ লক্ষ টাকা প্রদান করেন আজিজার রহমান। চাকুরী না পেয়ে টাকা ফেরৎ চান আজিজার রহমান। টাকা ফেরৎ না পেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আজিজার রহমান জানান, “অভিযুক্ত কায়েদ-ই-আযম রাজু আমার পুর্ব পরিচিত হওয়ায় সরল বিশ্বাসে আমি তার কথায় রাজি হয়ে গত ০৮জুন রাত্রি বেলার ট্রেনে আমি ও আমার ছেলে সহ ঢাকায় যাই । পরদিন সকালে ঢাকার মাওয়া চৌরাস্তায় আমি ও আমার ছেলে সহ রাজুর সঙ্গে দেখা করি। সেসময় রাজু আমাকে টাকার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে, আমি ২ লক্ষ টাকা নিয়ে এসেছি বলে জানাই। তখন রাজুসহ আরো অপরিচিত ৪ জন যুবক আমাদেরকে তাদের কোয়ার্টারে নিয়ে যায় এবং সেখানে রাজু আমার নিকট হইতে নগদ ২,০০০০০(দুই লক্ষ) টাকা বুজিয়া নেয়। রাজু টাকা নেওয়ার পর আমার ছেলের পরীক্ষার জন্য রাজু সহ অপরিচিত ৪ জন যুবক অফিসে নিয়ে যায় আমি পিছে পিছে যাইতে থাকি । ঢাকার মাওয়া চৌরাস্তায় পার্শ্বে বিল্ডিং ৭ম তলা নিয়ে যায় এবং আমার ছেলেকে বলে, বড় স্যার যা যা তোকে বলবে তুমি শুধু হ্যাঁ হ্যাঁ বলবে আর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্বাক্ষর করলে তোমার চাকুরী হবে।
আমি আমার ছেলেকে নিয়ে সেখান থেকে ফেরৎ চলে আসি। পররবর্তীতে আমার ছেলের চাকুরীর বিষয়ে রাজুর সাথে কথা বললে, রাজু আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করিলে আমার সন্দেহ হয়।
তিনি আরো বলেন, আমি কায়েদ-ই-আযম রাজুর বাড়িতে গিয়ে তার বাবা কহিনুর ইসলাম কে বিষয়টি খুলে বলি, তিনি বলেন আমার ছেলে রাজু শুক্রবার ঢাকা থেকে বাড়িতে আসবে আপনারা দুইদিন পর আমার বাড়িতে আসেন। ঈদের আগে রাজুর বাড়ীতে গিয়ে চাকরি ও টাকার প্রসঙ্গে আলোচনা করলে রাজু ও তার বাবা একপর্যায় ক্ষিপ্ত হয়ে লাটি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে এবং তার মা রিনা বেগম আমার দাড়ি ধরে গালে থাপ্পড় মারে। তাদের বাড়ী হতে বের করে দেয়।
অভিযোগের বিষয়ে কায়দে-ই-আজম রাজু কাছে জানতে চাইলে, তিনি অস্বীকার করে বলেন, তারা বীমার চাকরি করার জন্যই ঢাকায় গিয়েছিল। ২ লক্ষ টাকা গ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি বলেন, ৩৬ হাজার টাকার বীমা করা হয়েছে।
জানতে চাইলে নীলফামারী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তানভীরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত অব্যাহত আছে।