পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে সুউচ্চ বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করে গিলে খাচ্ছেন সরকারি খাল,কৃষি জমি, কৃষি জমির ভিতরে গর্ত খনন ও বসতভিটা দখলের চেষ্টা করছেন “নীর” নামক বর্তমানে “স্মার্ট এগ্রো” কোম্পানি। বর্তমানে স্মার্ট এগ্রো মালিকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মাসুদ বিশ্বাস বলেন, সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান রেইস ও তার অধীনে পরিচালিত ফান্ডগুলোর ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে। তাদের বিষয়ে তদন্ত চলমান।
শেয়ারবাজারে মিউচুয়াল ফান্ড ব্যবস্থাপনাকারী প্রতিষ্ঠান (এএমসি) রেইস ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত বিভিন্ন ফান্ডের অননুমোদিত সব বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাব স্থগিত করা হয়েছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এক আদেশে এ নির্দেশনা জারি করেছে। এর ফলে রেইস ম্যানেজমেন্টের তত্ত্বাবধানে থাকা মিউচুয়াল ফান্ডের হেফাজতকারী বা কাস্টডিয়ানের অনুমোদন ছাড়া যেসব বিও হিসাব খুলেছে, সেগুলোতে কোনো লেনদেন করতে পারবে না।
বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেন। গাজীপুরের গাছা থানাধীন পলাশোনা স্মার্ট এগ্রো নামে সাইনবোর্ড লাগিয়ে রাখছেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমাম হাসান। কৃষি জমি ও গ্রাম রক্ষার্থে সাধারণ পরিবারের পক্ষ হতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও গাজীপুর জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে এবং তাদের কার্যক্রম বন্ধে গণস্বাক্ষর করেন এলাকাবাসী ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ সহ ওয়ার্ড কাউন্সিল। তাদের কার্যক্রম চলমান থাকায় এলাকার মানুষ চরম হতাশাগ্রস্থ ও ভয়ে দিন কাটাচ্ছেন।
কোম্পানির বাউন্ডারির ভিতরে থাকা ইন্টারনাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. সামনুন এফ তাহা বলেন সেখানে আমার পৈত্রিক সূত্রে ১৪ বিঘা সম্পত্তি আছে। যেহেতু আমি একজন ডাক্তার সেখানে আমি আমার মায়ের নামে একটি হাসপাতাল করবো। যাতে গ্রামের সাধারণ মানুষ ফ্রীতে চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেন। কিন্তু সেখানে নীর নামক কোম্পানিটি সুকৌশলে সাধারণ মানুষের জমি দখলের চেষ্টা করছেন বলে জানতে পারি এবং আমার কিছু জমির উপর দিয়ে বাউন্ডারি নির্মাণ করেছে। তিনি আরো বলেন, অতি দরিদ্র সাধারণ কৃষকের সাথে এ অন্যায় আচারণ না কর হয় এজন্য সাংবাদিক সহ সকল মহলের কাছে অনুরোধ জানান।
স্মার্ট এগ্রো সাবেক নীর কোম্পানি এর প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. শহীদ মিয়াকে একাধিকবার ফোন দিলে কল রিসিভ করেননি।
গাসিক ৩৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল মো. ইকবাল হোসেন মোল্লা বলেন, এলাকায় অল্প অল্প জমি কিনে পুরো এলাকা বাউন্ডারি নির্মাণ করতেছে। কর্তৃপক্ষের কাছে আমার একটাই দাবি মানুষে জমির ভিতরে রেখে জোর করে বাউন্ডারি নির্মাণ না করতে পারে।এ বিষয়ে গাছা ভূমি সহকারী কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বলেন, কিছু দিন আগে সরকারি খালের জমি দখলের অভিযোগ পেয়ে লোক পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। তারা যেন এসিল্যান্ডের সার্ভেয়ারের পরিমাপের আগে কোন প্রকার কাজ না করে।