বাংলাদেশ ১৯৯৭ সাল থেকে ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এই দিনটিকে সাধারণ ছুটিও ঘোষণা করা হয়। বঙ্গবন্ধু শিশুদের অত্যন্ত আদর করতেন, ভালোবাসতেন। শিশুদের সাথে গল্প করতেন, খেলা করতেন। তিনি বিশ্বাস করতেন আজকের শিশুরাই আগামী দিনের দেশ গড়ার কারিগর। আজকের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মহান এই নেতার আদর্শ ই দেশ গড়ার অনুপ্রেরণা যোগাবে। যারা বাংলাদেশকে মনেপ্রাণে ভালোবাসে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে ধারণ করে তাদের মাঝেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকবেন।
জাতীয় শিশু দিবসের উক্তি ২০২২
কবি সৈয়দ শামসুল হকের ভাষায়-
শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সচেতনতা সৃষ্টির জন্য সারাবিশ্বে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বছরে একাধিকবার বিভিন্ন নামে শিশু দিবস পালন করা হয়। পাশাপাশি বিশ্বের অনেক দেশ নিজেদের মতো করে পালন করে জাতীয় শিশু দিবস। আন্তর্জাতিকভাবে সারাবিশ্বে শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ পালন করা হয়।
এছাড়া আন্তর্জাতিক শিশু দিবস পালিত হয় ১ জুন। এর বাইরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলো তাদের গুরুত্বপূর্ণ কোন দিনকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করে থাকে। যেমন:- যুক্তরাষ্ট্রে জুনের দ্বিতীয় রবিবার পালন করা হয় শিশু দিবস। আবার ৪ এপ্রিল শিশু দিবস উদযাপিত হয় চিনে। অন্যদিকে ব্রিটেনে শিশু দিবস পালন করা হয় ৩০ অগাস্ট, জাপানে ৫ মে, পশ্চিম জার্মানিতে ২০ সেপ্টেম্বর। তবে সব দেশেই শিশু দিবস পালনের উদ্দেশ্য একটাই, দেশের শিশুদের অধিকার ও তাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ফের একবার সচেতনতার বার্তা দেওয়া।
আজকের শিশুরাই আমাদের আগামী জাতির ভবিষ্যৎ। এজন্য শিশুদের যথাযথ শিক্ষা, সঠিক ইতিহাস ও মানসিক বিকাশ ঘটাতে হলে তাদেরকে সেভাবে বেড়ে উঠতে দিতে হবে। এখনো আমাদের দেশের অনেক শিশুদের দরিদ্রতার কারণে তাদের প্রাপ্য মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে হয়। ফলে বাধ্য হয়ে পড়ালেখা ছেড়ে দিয়ে নিষিদ্ধ শিশু শ্রমে জড়িয়ে পড়ে। যে বয়সে একটি শিশুর লেখাপড়া করার কথা সে বয়সে দরিদ্রতার কারণে তারা বিভিন্ন কলকারখানা, হোটেল, ওয়ার্কশপ, দোকানপাট ইত্যাদিতে অমানুষিক পরিশ্রমে লিপ্ত থাকে। বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার শিশুদের বিনামূল্যে লেখাপড়ার জন্য সকল প্রকার শিক্ষা উপকরণ ও শিক্ষা উপবৃত্তির ব্যবস্থা করেছেন । উদ্দেশ্য :- একটি শিশুও যেন লেখা পড়ার থেকে ছিটকে না পড়ে এবং শিশুরা যেন ঝুঁকিপূর্ণ কাজের সাথে জড়িত না হয়ে পড়ে।
২০২২সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কত তম জন্মদিন?
২০২২ সালের ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে দেশব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র পক্ষে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই দিনে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী প্রদান করবেন। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধ প্রাঙ্গণসহ সারাদেশে জাঁকজমক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছ
বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আলোচনা সভা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবা মূলক সংগঠনগুলোতে বিভিন্ন কর্মসূচির