কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বসতবাড়ী ভাংচুর করে জমি দখল করতে আসা ১০ সন্ত্রাসীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী । ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের বড়লই গ্রামের আমসা বাজার এলাকায়। এসময় সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
প্রত্যক্ষদর্শী মিলন ব্যাপারী ও ওবায়দুল হক খন্দকার জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে হঠাৎ করে ৬ টা মোটর বাইকে সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বড়লই গ্রামের আমসা বাজার এলাকার আসে। তারা মৃত বশির উদ্দিন ব্যাপারীর বিধবা স্ত্রী মমেনা বেগম (৭০) ও ওই দম্পতির ছেলে মকবুল হোসেনের বসতবাড়ীর ৭ শতক জমি দখল করার উদ্দেশ্যে বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙ্গচুর, লুটপাট ও ক্ষতি সাধন করে। এসময় স্থানীয় লোকজন সন্ত্রাসীদের মারমুখী আচরণ দেখে ভয় পেয়ে যায়। এভাবেই প্রায় ৩০ মিনিট পর্যন্ত হামলা, ভাঙ্গচুর ও লুটপাট করা অবস্থায় গ্রামের প্রায় ৫ শতাধিক লোকজন জড়ো হয়ে ৬টি মোটর বাইকসহ ১০ সন্ত্রাসীকে আটক করে। এসময় সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হন আব্দুল হামিদ ব্যাপরী (৭০), মমেনা বেগম (৭৫), শহিদুল (৫৫), আফজাল ব্যাপারী (৬০), মন্জুরুল (৩৫)সহ আরও কয়েকজন।
তারা আরও জানান, ওই দম্পতির আর এক ছেলে আব্দুল কাদের কুড়িগ্রাম সদরের মধ্যকুমরপুর ও নাগেশ্বরী এলাকা থেকে জমি দখলের জন্য তাদের ভাড়া করে এনেছে।
আটক সন্ত্রাসীরা হলেন, নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাংগা এলাকার রশিদের ছেলে সাইদুল (২৭), কুড়িগ্রাম সদরের মধ্যকুমরপুর এলাকার মমিনুলের ছেলে কামাল (১৯) ও নুর জামাল (২৪), একই এলাকার আক্কাসের ছেলে নুরনবী রানা (৩০), বাবুল মিয়ার ছেলে ফজলুল করিম (৩০), গোলাপ উদ্দিনের ছেলে মাহমুদুল হাসান (২১), মোখলেছুর রহমানের ছেলে লাদেন আলী (২৩), আমির আলীর ছেলে আশিক (১৯), শহিদুলের ছেলে শামিম (২৬) ও খলিলুর রহমানের ছেলে বেলাল হোসের (২২)।
বড়ভিটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান মিন্টু জানান, এরা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করার জন্য এখানে এসেছে। এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
ফুলবাড়ী থানার এস আই নাজমুল জানান, আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে না পৌঁছিলে বড় ধরনের ঘটনা সেখানে ঘটতো ।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রানকৃঞ্চ দেবনাধ জানান, মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আটকদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।