দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ জুন) বিকেল ৫টায় ভারত থেকে দুটি ট্রাকে ৩৩ মেট্রিক টন পিঁয়াজ হিলি বন্দরে প্রবেশ করেছে।
গত মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে দীর্ঘ প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস পর ভারত থেকে এক গাড়ি পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। লোকসানের আশঙ্কায় প্রায় বিশ দিন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রেখেছিলেন ব্যবসায়ীরা।
মেসার্স সততা বাণিজ্যালয় এবং মেসার্স খন্দকার এন্টার প্রাইজ নামের দুটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান পেঁয়াজগুলো আমদানি করেছেন। দুটি ট্রাকে ৩৩টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের সিএন্ডএফ এজেন্টের প্রতিনিধি মাহাবুব হোসেন বলেন, দেশের বাজারে হঠাৎ করে দেশীয় পেঁয়াজের কেজি ৮০ টাকা হওয়ায় বাজার নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। লোকসান হওয়ায় গেলো ২০দিন ধরে আমদানি বন্ধ ছিল। যদি বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম পাওয়া যায় আমদানি অবহৃতের পাশাপাশি ঈদের আগে আমদানি আরও বাড়বে।
অভ্যন্তরীণ বাজারে সংকট দেখিয়ে ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। সেই নিষেধাজ্ঞা গেলো ৪ মে তুলে নিয়ে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে দেশটি। ৪০ শতাংশ শুল্ক দিয়ে গেল ১৪ মে পেঁয়াজ আমদানি করে লোকসানে পড়েন হিলি স্থলবন্দরের এক আমদানিকারক। এরপর থেকে বন্ধ হয়ে যায় পেঁয়াজ আমদানি। প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজ ৫৫০ মার্কিন ডলারে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে আর প্রতিকেজিতে শুল্ক দিতে হচ্ছে প্রায় সাত টাকা।