জীবনে কোনোদিন মাথাব্যথা হয়নি এমন লোক বোধহয় খুব কমই খুঁজে পাওয়া যাবে। অনেকেই প্রায়ই মাথা ব্যথার যন্ত্রণায় ভুগে থাকেন। মাঝেমাঝেই মাথার বাম পাশে কিংবা মাথার পিছন দিকটায় ব্যথা করতে পারে। মাথা ব্যথার একটা বড় কারণ হলো মাইগ্রেন।
মাইগ্রেনের ব্যথার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। সেগুলো জানা থাকলে কিন্তু এই কষ্ট অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
১. মাথা যন্ত্রণা এড়াতে চাইলে কিন্তু রোদ থেকে বাঁচতে হবে। ছাতা বইতে বা টুপি পরতে ভাল লাগে না বলে একটানা রোদ লাগানো যাবে না। প্রথমে চোখে কষ্ট, পরে সেখান থেকেই মাথা যন্ত্রণা শুরু হতে পারে।
২. গরমেও বাতাসে পোলেন, অ্যালার্জেনের মতো উপাদান বেড়ে যায়। বায়ুদূষণেরর মাত্রা বেড়ে গেলে শ্বাসযন্ত্রের সমস্যাও বাড়তে থাকে। রক্তে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাবে মাইগ্রেন অ্যাটাক হওয়া অস্বাভাবিক নয়।
৩. গরমকালে পানি খাওয়া কম হলে অনেক সময়েই মাথা যন্ত্রণা হয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে গেলে মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সময়ে ঘামও বেশি হয়। ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন খনিজ বেরিয়ে যায়। পর্যাপ্ত ইলেক্ট্রোলাইটের অভাবে মাইগ্রেনের সমস্যা বেড়ে যেতেই পারে।
৪. অতিরিক্ত তেলমশলা দেওয়া খাবার খেলে, পানি খাওয়া কম হলে, প্রতিদিন অন্তত পক্ষে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা ঘুম না হলেও কিন্তু মাথা যন্ত্রণা হতে পারে। মানসিক চাপ, হরমোনের হেরফেরেও মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দেয়।
৫. গরমকালে ঘাম তো হবেই। তবে, মাইগ্রেন বা মাথা যন্ত্রণার অন্যতম কারণ হলো বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা। বাতাসে এই উপাদানটি বাড়তে থাকলে ঘাম বেশি হয়। শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে। ফলে মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।