ভাষা আন্দোলনের দীর্ঘ প্রক্রিয়া তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার পেয়েছি, সেখানেও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান রয়েছে। আজ মাতৃভাষায় কথা বলতে পারছি, আমরা যে স্বাধীন জাতি হিসেবে মর্যাদা পেয়েছি, তার সব কিছুতেই অবদান রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের। আমি তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই, ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ, বাঙালি– আজ আমরা বিশ্বের বুকে যে আত্ম-পরিচয় পেয়েছি, সেটা দিয়ে গেছেন মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমরা মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার পেয়েছি, সেখানেও বঙ্গবন্ধুর অবদান রয়েছে। ১৯৪৮ সালের ২ মার্চ ভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করেন তমদ্দুন মজলিশ এবং আরও কয়েকটি সংগঠন নিয়ে। তার আগে ১৯৪৭ সালের ডিসেম্বরে করাচিতে শিক্ষা সম্মেলনে রাষ্ট্রভাষা উর্দু করার ঘোষণা দেওয়া হয়। তার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা প্রতিবাদ জানান। এর মধ্য দিয়েই ৪ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আইন বিভাগের ছাত্র থাকাকালে পূর্ব বাংলা ছাত্রলীগ গঠন করেন।
ছাত্র সংগঠন গঠন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্দোলন-সংগ্রামের প্রস্তুতি নেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তখন যেসব রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠন ছিল, তাদের নিয়ে সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেয় ১১ মার্চ ধর্মঘট ডাকা হবে। অর্থাৎ আমরা যে আজ মাতৃভাষায় কথা বলতে পারছি, আমরা যে স্বাধীন জাতি হিসেবে মর্যাদা পেয়েছি— উপমহাদেশে ভাষাভিত্তিক একমাত্র রাষ্ট্র বাংলাদেশ, সেই জাতি রাষ্ট্র আমরা পেয়েছি, তার সব কিছুতেই অবদান রয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের। আমি তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই, ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আব্দুর রাজ্জাক, উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য আতাউর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মো. নুরুল হুদা, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদ প্রমুখ।
সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন সহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।