সভায় বক্তব্য রাখেন রাসিকের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রজব আলী, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন। কর্মসূচির উপর স্বাগত বক্তব্য দেন ও কার্যক্রমের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন রাসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফ.এ.এম আঞ্জুমান আরা বেগম।
সভায় রাসিকের প্যানেল মেয়র-২ ও ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মমিন, প্যানেল মেয়র-৩ তাহেরা খাতুন মিলি সহ বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলরবৃন্দ, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কর্মকর্তা নাজমা খাতুন সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। সঞ্চালনা করেন ফুড এন্ড স্যানিটেশন অফিসার শেখ আরিফুল হক।
সভায় বক্তারা বলেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা, ৮ মার্চ-২০১৮ অনুযায়ী শিশু জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে শিশুর জন্ম নিবন্দন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এবং মৃত্যুবরণকারী সকল ব্যক্তির মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে মৃত্যু নিবন্ধন ৮০% নিশ্চিত করতে হবে। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের নিবন্ধক সম্মানিত কাউন্সিলরবৃন্দ। সাধারণত ওয়ার্ড পর্যায়ে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম সর্ম্পর্ণ করা হয়। জন্ম নিবন্ধন করলে ১৮টি সুযোগ-সুবিধা এবং মৃত্যু নিবন্ধন করলে ৪টি সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়।
সভায় বক্তারা বলেন, মাননীয় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুনাম অর্জন করেছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক)। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে পরপর দুইবার দেশসেরা হয়েছে রাসিক। এই অর্জন ধরে রাখতে হবে।
সভায় জন্ম গ্রহণকারী সকল শিশুর ০-৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন ১০০% নিশ্চিতকরণ, মৃত্যুবরণকারী সকল ব্যক্তির মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে মৃত্যু নিবন্ধন ৮০% নিশ্চিতকরণ, সকল জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের হার বৃদ্ধি, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের রিপোর্ট এবং টাকা জমাদানের চালানের কপি প্রতিমাসের ১ তারিখে স্বাস্থ্য বিভাগে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন শাখায় জমা প্রদান, প্রতি সপ্তাহে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের রিপোর্ট টিমলিডারদের দ্বারা জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন শাখায় জমা প্রদান, রাজশাহী বিভাগীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন টাস্কফোর্সের সভায় কার্যবিবরণী অনুযায়ী রাসিক এর জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের হার শতভাগ বাস্তবায়নে করণীয় বিষয়ে আলোচনা করা হয়।