ঢাকা ১২:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শীতে মাংস-ডিমের চেয়ে মাছ খাওয়া বেশি জরুরি কেন?

শীতে মাংস-ডিমের চেয়ে মাছ খাওয়া বেশি জরুরি

মাছে-ভাতে বাঙালি, এ কথা সবারই জানা। প্রতিদিনের খাবারে কোনো না কোনো বেলায় মাছের পদ খান কমবেশি সবাই। কারও পছন্দ ছোট মাছ তো আবার কারও পছন্দ বড় বড় মাছ। আপনার যে মাছই পছন্দ হোক না কেন, এই শীতে নিয়মিত তা খাওয়া জরুরি।

আসলে মাংস-ডিমের চেয়ে মাছ বেশি খেলে স্বাস্থ্যে বেশি উপকার মিলবে, এমনই মত বিশেষজ্ঞদের। তাদের মতে, শীতকালে প্রায় প্রতিদিনই মাছ খেতে পারলে ভালো।

মাছ যে শুধু রসনাতৃপ্তি দেয় তা তো নয়, খেয়াল রাখে শরীরেরও। শীতে এমনিতেই নানা রোগাবালাই লেগে থাকে। আর শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে মাছ। চলুন জেনে নেওয়া যাক এ সময় মাছ খেলে কী কী উপকার মিলবে-

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে

শীতে ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। কারণ এ সময় খাওয়া-দাওয়ায় একেবারেই নিয়ম মানতে ইচ্ছা করে না। তবে মাছ খেলে কিন্তু ওজন তেমন বাড়বে না। কারণ মাছে আছে প্রোটিন, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

হার্ট ভালো খাকবে

শীতে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থাকে। তাই এমন কিছু খাবার খেতে হবে যা হার্টের খেয়াল রাখে। মাছ সেই তালিকায় একেবারে উপরের দিকে আছে।

বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ হৃদয়ের যত্ন নিতে খুবই দক্ষ। কারণ এই মাছে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড , যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।

পেশি মজবুত করতে

পেশিতে ব্যথা, গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা বেড়ে যায় শীতে। তাছাড়া বয়স বেশি হলে ঠান্ডা আবহাওয়ায় এসব ব্যথা যেন দ্বিগুণ হয়। ব্যথার সঙ্গে লড়াই করতে ভরসা রাখতে পারেন মাছের উপর। মাছের অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান প্রদাহজনিত সমস্যা কমায়।

মন ভালো রাখতে

শীতে সূর্যের আলো কম থাকে। ফলে ভিটামিন ডি কম শোষিত হয়। ভিটামিন ডি এর অভাবে মনের কোণেও মেঘ জমতে থাকে। বাড়ে উদ্বেগ আর অবসাদ। আর এ সমস্যাতেও মাছ বেশ উপকারী। কারণ মাছে ভরপুর পরিমাণে আছে ভিটামিন ডি।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে

শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হওয়া জরুরি। এতে করে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমবে। আর সে জন্যও প্রতিদিন কোনো না কোনো মাছ পাতে রাখা জরুরি।

মাছে থাকে ভিটামিন ডি, যা রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি জোগায়। এছাড়া মাছে থাকা সেলেনিয়াম, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

রামু সেনানিবাসে যথাযথ মর্যাদায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২৪ পালিত

শীতে মাংস-ডিমের চেয়ে মাছ খাওয়া বেশি জরুরি কেন?

আপডেট সময় ০৩:৫৯:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৪

মাছে-ভাতে বাঙালি, এ কথা সবারই জানা। প্রতিদিনের খাবারে কোনো না কোনো বেলায় মাছের পদ খান কমবেশি সবাই। কারও পছন্দ ছোট মাছ তো আবার কারও পছন্দ বড় বড় মাছ। আপনার যে মাছই পছন্দ হোক না কেন, এই শীতে নিয়মিত তা খাওয়া জরুরি।

আসলে মাংস-ডিমের চেয়ে মাছ বেশি খেলে স্বাস্থ্যে বেশি উপকার মিলবে, এমনই মত বিশেষজ্ঞদের। তাদের মতে, শীতকালে প্রায় প্রতিদিনই মাছ খেতে পারলে ভালো।

মাছ যে শুধু রসনাতৃপ্তি দেয় তা তো নয়, খেয়াল রাখে শরীরেরও। শীতে এমনিতেই নানা রোগাবালাই লেগে থাকে। আর শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে মাছ। চলুন জেনে নেওয়া যাক এ সময় মাছ খেলে কী কী উপকার মিলবে-

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে

শীতে ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। কারণ এ সময় খাওয়া-দাওয়ায় একেবারেই নিয়ম মানতে ইচ্ছা করে না। তবে মাছ খেলে কিন্তু ওজন তেমন বাড়বে না। কারণ মাছে আছে প্রোটিন, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

হার্ট ভালো খাকবে

শীতে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থাকে। তাই এমন কিছু খাবার খেতে হবে যা হার্টের খেয়াল রাখে। মাছ সেই তালিকায় একেবারে উপরের দিকে আছে।

বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ হৃদয়ের যত্ন নিতে খুবই দক্ষ। কারণ এই মাছে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড , যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।

পেশি মজবুত করতে

পেশিতে ব্যথা, গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা বেড়ে যায় শীতে। তাছাড়া বয়স বেশি হলে ঠান্ডা আবহাওয়ায় এসব ব্যথা যেন দ্বিগুণ হয়। ব্যথার সঙ্গে লড়াই করতে ভরসা রাখতে পারেন মাছের উপর। মাছের অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান প্রদাহজনিত সমস্যা কমায়।

মন ভালো রাখতে

শীতে সূর্যের আলো কম থাকে। ফলে ভিটামিন ডি কম শোষিত হয়। ভিটামিন ডি এর অভাবে মনের কোণেও মেঘ জমতে থাকে। বাড়ে উদ্বেগ আর অবসাদ। আর এ সমস্যাতেও মাছ বেশ উপকারী। কারণ মাছে ভরপুর পরিমাণে আছে ভিটামিন ডি।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে

শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হওয়া জরুরি। এতে করে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমবে। আর সে জন্যও প্রতিদিন কোনো না কোনো মাছ পাতে রাখা জরুরি।

মাছে থাকে ভিটামিন ডি, যা রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি জোগায়। এছাড়া মাছে থাকা সেলেনিয়াম, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।