প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা ঘুমের পরেও ক্লান্তি কাটছে না, এমন সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। শুধু কি কাজের চাপ, নাকি এর পেছনে কোনো গুরুতর কারণ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরে আয়রনের অভাব হলে এ লক্ষণ দেখা দিতে পারে। যা অনেকেই সাধারণ হিসেবে বিবেচনা করেন। তবে অতিরিক্ত ক্লান্তি কিংবা ঘন ঘন বুকে ব্যথা হতে পারে আয়রনের ঘাটতির লক্ষণ।
ক্লান্তি
শরীরে আয়রনের ঘাটতির অন্যতম বড় লক্ষণ হলো ক্লান্তি। সঠিক সময়ে খাওয়া-দাওয়া, বিশ্রাম নেওয়া, পর্যাপ্ত ঘুমোনোর মতো দৈনন্দিন ক্রিয়াকলাপগুলো স্বাভাবিক থাকা সত্ত্বেও অতিরিক্ত ক্লান্তি ঘিরে ধরলে সতর্ক হতে হবে।
শরীরে আয়রনের ঘাটতি থাকলে এমন হতে পারে। আয়রনের ঘাটতি ঘটলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গের কোষে কোষে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছয় না। ফলে মাঝেমাঝেই ক্লান্ত লাগে।
মাথা ঘোরা-মাথাব্যথা
শরীরে আয়রনের পরিমাণ কম গেলে মস্তিষ্কসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়।
মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাবে মাথা ঘোরা, মাথাব্যথা, শারীরিক অস্বস্তি হয়। এমনকি ঋতুস্রাব চলাকালীন মহিলাদের মধ্যে মাইগ্রেনের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
নখ ভেঙে যায়
নখ একটু বড় হতে না হতেই ভেঙে যাওয়ার কারণও কিন্তু হতে পারে আয়রনের ঘাটতি। আয়রন নখ ভালো রাখতে সাহায্য করে। তবে স্বাভাবিকের তুলনায় শরীরে আয়রনের পরিমাণ কমে গেলে নখ দুর্বল হয়ে ভেঙে যেতে পারে।
ত্বক বিবর্ণ হয়ে যায়
শরীরের রক্তের অভাবে ত্বক অনেক সময় ফ্যাকাশে ও বিবর্ণ হয়ে পড়ে। এই উপসর্গকে রক্ত স্বল্পতার লক্ষণ বলেও ধরা হয়।
বুকে ব্যথা
আয়রনের অভাবে শরীরের সব অংশে অপর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহের কারণেই মূলত বুকে ব্যথা হয়। এর ফলে শ্বাস নিতেও অসুবিধা হয়।
উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদরোগ সংক্রান্ত কোনো সমস্যা না থাকলেও ঘন ঘন বুকে ব্যথা হলে আয়রনের অভাব আছে বলে ধরা যেতে পারে।