দেশে প্রতিবছর ১০ থেকে ১২ হাজার নারী জরায়ুমুখের ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন। আক্রান্তদের প্রায় অর্ধেকই ধাবিত হচ্ছেন মৃত্যুর দিকে।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে সচেতনতা মাস উপলক্ষে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজে এক সভায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এ কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, এই রোগ সম্পর্কে না জানা এবং সময়মতো শনাক্ত না হওয়ায় মৃত্যুর হার প্রতিনিয়ত বাড়ছে। যথাসময়ে রোগ শনাক্ত করা গেলে মৃত্যুহার দ্রুত কমিয়ে আনা সম্ভব। জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র সচেতনতা তৈরি করতে হবে এবং ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে হবে।
আলোচনা সভায় কি-নোট উপস্থাপন করেন গাইনি অ্যান্ড অবস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সেহেরীন এফ. সিদ্দিকা। তিনি বলেন, সচেতনতা এবং স্ক্রিনিংয়ের অভাব এবং সময়মতো চিকিৎসা শুরু করতে না পারার কারণে এ রোগে আক্রান্তদের জীবনহানি ঘটছে।
আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে আয়োজিত র্যালিতে কলেজের প্রিন্সিপ্যাল অধ্যাপক ডা. মো. নাসিমুল ইসলাম, ভাইস প্রিন্সিপ্যাল অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোহাম্মদ তানজিলুল হক, গাইনি অ্যান্ড অবস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সেহেরীন এফ. সিদ্দিকা, প্রফেসর ডা. মো. হাবিবুজ্জামান চৌধুরী, প্রফেসর ডা. মো. শাহজাহান, প্রফেসর রাজিবুল আলমসহ কলেজের শিক্ষার্থী ও নার্সরা অংশ নেন।
র্যালি ও সেমিনারে সায়েন্টিফিক পার্টনার হিসেবে ছিল ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
র্যালি শেষে ‘জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধ এবং ভ্যাকসিনেশন’র ওপর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. আনোয়ার হোসেন খান।