রাজশাহীতে জনতা ব্যাংক লিমিটেড রাজশাহীর বিভাগীয় ব্যবস্থাপক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৪ মার্চ) সকালে পর্যটন মোটেলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন, এমডি এন্ড সিইও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুছ ছালাম আজাদ। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জনতা ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের পরিচালক কেএম সামছুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদুজ্জামান, মহাব্যবস্থাপক দেলোয়ারা বেগম। বিভাগীয় ব্যবস্থাপক সম্মেলনে রাজশাহী বিভাগের ২০২১ সালের ব্যবসায়িক তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন এবং সভাপতিত্ব করেন, জনতা ব্যাংক লিমিটেড বিভাগীয় অফিস রাজশাহীর জেনারেল ম্যানেজার তাপস কুমার মজুমদার। সম্মেলনে জনতা ব্যাংক লিমিটেড রাজশাহী বিভাগের ডিসেম্বর ২০২১ সালের ব্যবসায়িক সূচক নিয়ে অনুপঙ্খ তুলনামূলক পর্যালোচনা করেন ব্যাংকের এমডি এন্ড সিইও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুছ ছালাম আজাদ, তিনি ২০২২ সালের ব্যবসায়িক বিভিন্ন সূচকের টার্গেট অর্জনের কর্মকৌশল সর্ম্পকে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা প্রদান করেন। জনতা ব্যাংক রাজশাহী বিভাগের ব্যবসায়িক যে অগ্রগতি, সে বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
রাজশাহী বিভাগের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শাখাকে শ্রেণীকৃত ঋণ মুক্ত, অবলোপন ঋণ মুক্ত ও লোকসানী শাখাকে লাভজনক শাখায় উন্নীত করার জন্য রাজশাহী বিভাগীয় কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকলের ভূয়সী প্রশংসা করেণ এবং ভবিষ্যতে এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেণ ।
সম্মেলনে উপস্থিত নির্বাহীগণ সম্মানীয় এমডি এন্ড সিইও এর ব্যবসায়ী কর্মকৌশল এবং জনতা ব্যাংকের উন্নয়নে তার অবদানের প্রশংসা করেন। সভাপতির বক্তব্যে জনাব তাপস কুমার মজুমদার বলেন, জনতা ব্যাংক আধুনিক ও প্রতিযোগীতামূলক সেবা প্রদানের জন্য যে নতুন নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করছে তার জন্য রাজশাহী বিভাগের পক্ষ থেকে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষসহ এমডি এন্ড সিইও এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশসহ রাজশাহী বিভাগের যে ব্যবসায়িক অগ্রতি তা অব্যাহত রাখার জন্য সকলের সহযোগীতা কামনা করেন। তাপস মজুমদার আরও বলেন, ব্যাংকের সিএসআর খাত থেকে রাজশাহী অঞ্চলের আদিবাসী মেধাবী স্কুল ছাত্রীদের বাইসাইকেল প্রদান, শেখ রাসেল দিবসে এতিম শিশুদের একবেলা খাবার প্রদান, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন ইত্যাদি ব্যাংকের ইমেজ বৃদ্ধিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভ’মিকা রাখছে। সম্মেলনে রাজশাহী বিভাগের সাতটি এরিয়ার ডিজিএম , ইনচার্জ, কর্পোরেট প্রধান, রিজিওনাল স্টাফ কলেজ রাজশাহীর ডিজিএম, অন্যান্য নির্বাহীসহ ব্যবস্থাপকগণ অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনটির সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন, ডিজিএম জাহাংগীর হোসেন জোয়ার্দ্দার এবং এজিএম নূর আলম।