Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the all-in-one-wp-security-and-firewall domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home2/nababani/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
রাজশাহীর পদ্মার চরে কৃষকের ফসল নষ্ট করে বন বিভাগের বৃক্ষ রোপন
ঢাকা ১০:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীর পদ্মার চরে কৃষকের ফসল নষ্ট করে বন বিভাগের বৃক্ষ রোপন

বন বিভাগের বৃক্ষ রোপন

রাজশাহীর পবা উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের চর মাজারদিয়াড়ে কৃষকের ফসল নষ্ট করে বন বিভাগের বৃক্ষ রোপনের অভিযোগ উঠেছে। যেখানে শতাধিক কৃষকের ফসল রয়েছে। এতে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষকরা।
২৪ অক্টোবর মঙ্গলবার  সরজমিনে চর মাজারদিয়াড় গিয়ে দেখা গেছে, শতাধিক বিঘা জমিতে ছোট ছোট সবুজ কালাইয়ের গাছ রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে মৌসুমি শাক-সবজির আবাদ। এর মধ্যেই হাজার হাজার বিভিন্ন জাতের গাছ রোপন করছে বন বিভাগের কর্মকর্তারা।
কৃষকদের দাবি, জমিগুলি তাদের পৈতিক সম্পত্তি ও রেকর্ডকৃত দলিলপত্রও রয়েছে। এই জমিতে র্দীঘদিন যাবত শতাধিক কৃষক বিভিন্ন ফসল চাষ করে আসছে। তাদের উৎপাদনকৃত শাক-সবজি রাজশাহী শহরসহ সারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় রপ্তানি হয়ে থাকে। বিশেষ করে চরে উৎপাদনকৃত শাক-সবজি রাজশাহী নগরবাসীর বেশির ভাগ সবজি বাজারের চাহিদা পুরণ করে থাকে। সেই কৃষি জমিতে হটাৎ রাজশাহী বন বিভাগের বৃক্ষ রোপন শুরু হয়েছে গত ১৫ দিন আগে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক, পবা উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা, উপজেলা বন কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যনের কাছে গিয়েও কোন প্রতিকার মেলেনি বলে জানান কৃষকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চর মাজাড়দিয়াড় গ্রামের মৃত রহেদ বক্সের ছেলে আবুল হোসেনের ৬০ বিঘা, রয়েস উদ্দিনের ছেলে হাবিবুর রহমান বাবুর রয়েছে ৩৮ বিঘা, মৃত শাবদুলের ছেলে ইলিয়াসের রয়েছে ৭০ বিঘা জমি, মকছেদের ছেলে মিঠুর রয়েছে ৬০ বিঘা, মৃত আশরাফ হোসেনের ছেলে মতিউর রহমানের রয়েছে ৮০ বিঘা, জাব্বার মোল্লার ছেলে রমজানের রয়েছে ১৫০ বিঘা, শজবার আলীর ছেলে মুকুল আলীর রয়েছে ২৫ বিঘা, আবুল হোসেনের ছেলে রুবেলের রয়েছে ২৫ বিঘা, হাবিবুর রহমানের ছেলে হিটুর রয়েছে ২৫ বিঘা। এছাড়াও প্রায় তিনশত বিঘা জমি র্দীঘদিন যাবত ভোগ দখল করে চাষ করে আসছেন স্থানীয় কৃষকরা। এসব জমির মধ্যে প্রায় ১০০ বিঘা জমিতে কালাই চাষ করেছে তারা।
রাজশাহী বন বিভাগের ফরেস্ট গার্ড মুঞ্জুর রহমান বলেন, আমরা কোন কৃষকের জমিতে গাছ লাগাচ্ছি না। এটা আমাদের সরকারি খাস সম্পত্তি। পবা উপজেলার সহকারি ভূমি অফিস থেকে দিয়েছে। এখানে কোন কৃষকের খাজনা খারিজ করা সম্পত্তি নেই। এসব জমি খাস খতিয়ানে রয়েছে। সরকারি সম্পদে আমরা বন বিভাগের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, কৃষকদের নিয়ে একটি সমিতি করা হবে। গাছ গুলি যখন বড় হবে ও বিক্রি করা হবে, সেই সময় কৃষকরা একটি পারসেন্টেস টাকা পাবে বলে জানান তিনি
আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: 24nababani@gmail.com
জনপ্রিয় সংবাদ

বোয়ালখালী’র লোকমানের বিরুদ্ধে দুদেকে অভিযোগ 

রাজশাহীর পদ্মার চরে কৃষকের ফসল নষ্ট করে বন বিভাগের বৃক্ষ রোপন

আপডেট সময় ০৪:৪৬:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩
রাজশাহীর পবা উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের চর মাজারদিয়াড়ে কৃষকের ফসল নষ্ট করে বন বিভাগের বৃক্ষ রোপনের অভিযোগ উঠেছে। যেখানে শতাধিক কৃষকের ফসল রয়েছে। এতে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষকরা।
২৪ অক্টোবর মঙ্গলবার  সরজমিনে চর মাজারদিয়াড় গিয়ে দেখা গেছে, শতাধিক বিঘা জমিতে ছোট ছোট সবুজ কালাইয়ের গাছ রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে মৌসুমি শাক-সবজির আবাদ। এর মধ্যেই হাজার হাজার বিভিন্ন জাতের গাছ রোপন করছে বন বিভাগের কর্মকর্তারা।
কৃষকদের দাবি, জমিগুলি তাদের পৈতিক সম্পত্তি ও রেকর্ডকৃত দলিলপত্রও রয়েছে। এই জমিতে র্দীঘদিন যাবত শতাধিক কৃষক বিভিন্ন ফসল চাষ করে আসছে। তাদের উৎপাদনকৃত শাক-সবজি রাজশাহী শহরসহ সারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় রপ্তানি হয়ে থাকে। বিশেষ করে চরে উৎপাদনকৃত শাক-সবজি রাজশাহী নগরবাসীর বেশির ভাগ সবজি বাজারের চাহিদা পুরণ করে থাকে। সেই কৃষি জমিতে হটাৎ রাজশাহী বন বিভাগের বৃক্ষ রোপন শুরু হয়েছে গত ১৫ দিন আগে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক, পবা উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা, উপজেলা বন কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যনের কাছে গিয়েও কোন প্রতিকার মেলেনি বলে জানান কৃষকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চর মাজাড়দিয়াড় গ্রামের মৃত রহেদ বক্সের ছেলে আবুল হোসেনের ৬০ বিঘা, রয়েস উদ্দিনের ছেলে হাবিবুর রহমান বাবুর রয়েছে ৩৮ বিঘা, মৃত শাবদুলের ছেলে ইলিয়াসের রয়েছে ৭০ বিঘা জমি, মকছেদের ছেলে মিঠুর রয়েছে ৬০ বিঘা, মৃত আশরাফ হোসেনের ছেলে মতিউর রহমানের রয়েছে ৮০ বিঘা, জাব্বার মোল্লার ছেলে রমজানের রয়েছে ১৫০ বিঘা, শজবার আলীর ছেলে মুকুল আলীর রয়েছে ২৫ বিঘা, আবুল হোসেনের ছেলে রুবেলের রয়েছে ২৫ বিঘা, হাবিবুর রহমানের ছেলে হিটুর রয়েছে ২৫ বিঘা। এছাড়াও প্রায় তিনশত বিঘা জমি র্দীঘদিন যাবত ভোগ দখল করে চাষ করে আসছেন স্থানীয় কৃষকরা। এসব জমির মধ্যে প্রায় ১০০ বিঘা জমিতে কালাই চাষ করেছে তারা।
রাজশাহী বন বিভাগের ফরেস্ট গার্ড মুঞ্জুর রহমান বলেন, আমরা কোন কৃষকের জমিতে গাছ লাগাচ্ছি না। এটা আমাদের সরকারি খাস সম্পত্তি। পবা উপজেলার সহকারি ভূমি অফিস থেকে দিয়েছে। এখানে কোন কৃষকের খাজনা খারিজ করা সম্পত্তি নেই। এসব জমি খাস খতিয়ানে রয়েছে। সরকারি সম্পদে আমরা বন বিভাগের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, কৃষকদের নিয়ে একটি সমিতি করা হবে। গাছ গুলি যখন বড় হবে ও বিক্রি করা হবে, সেই সময় কৃষকরা একটি পারসেন্টেস টাকা পাবে বলে জানান তিনি