র্যাব-০৬ সমাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াসমাজে মাদকের ভয়াল থাবার বিড়ম্বনা রোধকল্পে মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারসহ মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে র্যাব জনগনের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করে আসছে।
অদ্য ০১ আগষ্ট ২০২৩ ইং তারিখ দিবাগত রাতে র্যাব-৬, খুলনার স্পেশাল কোম্পানির একটি আভিযানিক চৌকস দল মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযান ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের লক্ষে বিশেষ অপারেশন ডিউটি করাকালীন সময়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, রেজিঃ নং-ঢাকা মেট্রো ঘ-২২-১২৮০, জাপানী টয়েটা CHR-HYBRID প্রাইভেটকারে কতিপয় ব্যক্তি ইয়াবার চালান নিয়ে চট্রগ্রাম থেকে খুলনার উদ্দেশ্য আসিতেছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্দেশ্যে আভিযানিক দলটি খুলনা জেলার রূপসা থানাধীন খানজাহান আলী (রূপসা) সেতুর টোল প্লাজার পূর্ব পাশে পাকা রাস্তার উপর অবস্থান করে। উক্ত জাপানী টয়েটা CHR প্রাইভেটকারটি রূপসা সেতুর টোল প্লাজার পূর্ব পাশে ০৫ নং লেনের পাকা রাস্তার উপর পৌছামাত্র র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রাইভেটকারটি থামিয়ে আসামীরা পালানোর চেষ্টা করলে আভিযানিক দলটি তাদের ধৃত করেন। ধৃত আসামী ১। মোঃ সজিব (৩০), থানা-খুলনা সদর, জেলা-কেএমপি খুলনা, ২। ফারহানা ফেরদৌসী (২৭), থানা-লবনচরা, জেলা-কেএমপি খুলনা, ৩। মোঃ সুমন গাজী (৩১), থানা-খুলনা সদর, জেলা-কেএমপি খুলনাদের হেফাজত হতে ৯,৩৫০ (নয় হাজার তিনশত পঞ্চাশ) পিস ইয়াবা ও ০৩ টি মোবাইল ফোন এবং জাপানী টয়েটা CHR-HYBRID প্রাইভেট কার উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে খুলনা জেলার রূপসা থানায় ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা রজু করা হয়।
উল্লেখ্য সজীব@ ডাকাত সজীব
পিতা- মশিউর মাতা- জুলেখা @ মাদক সম্রাগী @ মাক্ষী রানী জুলেখা
চানমারী, এলাকায় বসবাস করে।
সজীবের নামে খুলনা সদর,লবনচোরা থানায় এবং সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় একাধিক মাদক, হত্যা,অস্ত্র, ও ডাকাতি মামলা ও অসংখ্য জিডি,অভিযোগ রয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায় এই সজীবের একটি শক্তিশালী মাদক ও অস্ত্রের সিন্ডিকেট রয়েছে এবং তার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ পরিচালনায় একটি কিশোরগ্যাং রয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ এই কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান হলো সজীবের আপন ছোট ভাই আশিক@ লোলে আশিক@ ডাকাত আশিক এদের সাম্রাজ্যের অভিভাবক হলো তাদের মা জুলেখা। তথ্য আছে সজীবের শশুর খুলনা ২২ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী বাদল সিপাহী@ নাটা বাদল। সজীব বাহিনীর সদস্যরা হলো যথাক্রমে, ১।মিজান @ বস মিজান ওরফে চোর মিজান,সাং চানমারী ২।রহিম @ বড় রহিম ওরফে মাদক রহিম সাং রুপসা ওয়াবদা রাজাপুর স মিল। ৩।মোতালেব ওরফে ডাকু মোতালেব সাং,রুপসা ওয়াবদা মোকছেদ গলি। ৪।সুরুজ @ রাঙা সুরুজ সাং,চানমারী ৫। জনি @ ইয়াবা জনি সাং,চানমারী কার্লভাট ৬। ইমন ওরফে মাদক ব্যাবসায়ী ইমন সাং,জিন্নাহপাড়া ৬নং গলি ৭। ইবরাহিম ওরফে নতুন বাজারের চোর ইবরাহিম সাং,নতুনবাজার ৮। বাবু@ কনডম বাবু সাং,চানমারী ৯।আবদুল্লাহ ছিনতাইকারী ও মাদক ব্যাবসায়ী সাং,খ্রিস্টান পাড়া,গ্যাদনপাড়া ১০। নাদিম লাদেন নাদিম সাং,হটাৎ বাজার লবনচরা ১১।মিঠু @ নাটা মিঠু ওরফে ইয়াবা মিঠু। মাদক নিয়ন্ত্রিত এলকা রুপসা ব্রিজ,লবনচরা এলাকার প্রতেকটা অলি-গলি, চানমারী বাজার, মাষ্টারপাড়া,ক্রিস্টান পাড়া, রুপসা ট্রাফিক মোড়, রপসা ঘাট,রুপসা ওয়াবদা,রুপসা চর,নতুনবাজার,কাস্টম ঘাট পর্যন্ত।
খুলনার সর্বস্তরের মানুষের একটাই দাবি এইসব মাদক চোরাকারবারি ও কিশোর গ্যাং এর হোতা আইনে আওতায় এনে কঠিন বিচারের দাবি জানান।