Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the all-in-one-wp-security-and-firewall domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home2/nababani/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
চলতি মৌসুমে চাঁ,নবাবগঞ্জ জেলায় আড়াই হাজার কোটি টাকার আম বাণিজ্যের সম্ভাবনা
ঢাকা ০৬:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চলতি মৌসুমে চাঁ,নবাবগঞ্জ জেলায় আড়াই হাজার কোটি টাকার আম বাণিজ্যের সম্ভাবনা

নবাবগঞ্জ জেলায় আড়াই হাজার কোটি টাকার আম বাণিজ্যের সম্ভাবনা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে নামতে শুরু করেছে গাছপাকা আম। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আম বাজারজাত হওয়া শুরু হয়েছে। চলতি মৌসুমে জেলায় আড়াই হাজার কোটি টাকার আম বাণিজ্যের সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, আবহাওয়ার কারণে দেশের অন্যান্য স্থানের আম বাজারে এলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম দেরিতে বাজারজাত শুরু হয়েছে। বর্তমানে গুটি ও গোপালভোগ আম কিছুটা নামলেও পুরোপুরি বাজারে পাওয়া যাচ্ছে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই।
এদিকে গত দুই বছরের মতো এবারও গাছ থেকে আম নামানোর সময়সীমা নির্ধারণ করেনি জেলা প্রশাসন। ফলে পরিপক্ব আম পাবেন ক্রেতারা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবার ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে ৬০ লাখ গাছে আম আবাদ হচ্ছে।
চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে। প্রতি কেজি আম ৭০ টাকা দরে বিক্রি হলে জেলায় প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার আম বাণিজ্য হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত বছর জেলায় ৩৭ হাজার ১৬৫ হেক্টর জমিতে আম উৎপাদন হয়েছিল ৩ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন।
তবে এবার আম বাণিজ্যে গত বছরের তুলনায় প্রায় সাড়ে ৭০০ কোটি টাকা বৃদ্ধির আশা করছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। এ বছরে আড়াই হাজার কোটি টাকা আম বাণিজ্যের আশা করছেন তারা। আম ব্যবসায়ী ও বাগান মালিকদের সরলতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ফড়িয়ারা আমের ওজন বেশি নিয়ে থাকেন।
এর ফলে আমবাগান মালিকরা বাজারে ওজন নিয়ে ব্যাপক বিড়ম্বনায় পড়েন। ৪৫-৫২ কেজিতে এক মণ ধরেন ব্যবসায়ীরা। ইতোমধ্যে জেলার বৃহৎ আমের মোকাম কানসাট, ভোলাহাট, রহনপুর ও সদরের পুরাতন তহাবাজারে প্রস্তুত করে ফেলেছেন আমের আড়ত, আবার কেউ আমের টুকরি, সুতলি, পেপারসহ খড় (ঘাস) মজুদ করছেন।
এই আম নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষ আগামী ৩-৪ মাস ব্যস্ত সময় পার করবেন। আম ব্যবসায়ীদের মতে, প্রথমে আসবে গোপালভোগ, তারপর গুটি থেকে ক্ষীরসাপাতি এবং সবশেষে আসবে আশ্বিনা আম।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার জানান, চলতি বছর আমের জন্য অন ইয়ার বা বেশি ফলনের বছর। এবার বাগানের ৯০ ভাগ গাছে আমের মুকুল এসেছিল, আমের ফলনও ভালো হয়েছে।
আবহাওয়া ভালো থাকলে এবার আমের লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই হিসাবে গড়ে প্রতি কেজি আম ৭০ টাকা দরে বিক্রি হলে জেলায় প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার আম বাণিজ্য হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: 24nababani@gmail.com
জনপ্রিয় সংবাদ

বটিয়াঘাটা প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠন; আহবায়ক দুলু সদস্য সচিব শাহীন

চলতি মৌসুমে চাঁ,নবাবগঞ্জ জেলায় আড়াই হাজার কোটি টাকার আম বাণিজ্যের সম্ভাবনা

আপডেট সময় ০৭:৪৩:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ মে ২০২৩
চাঁপাইনবাবগঞ্জে নামতে শুরু করেছে গাছপাকা আম। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আম বাজারজাত হওয়া শুরু হয়েছে। চলতি মৌসুমে জেলায় আড়াই হাজার কোটি টাকার আম বাণিজ্যের সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, আবহাওয়ার কারণে দেশের অন্যান্য স্থানের আম বাজারে এলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম দেরিতে বাজারজাত শুরু হয়েছে। বর্তমানে গুটি ও গোপালভোগ আম কিছুটা নামলেও পুরোপুরি বাজারে পাওয়া যাচ্ছে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই।
এদিকে গত দুই বছরের মতো এবারও গাছ থেকে আম নামানোর সময়সীমা নির্ধারণ করেনি জেলা প্রশাসন। ফলে পরিপক্ব আম পাবেন ক্রেতারা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবার ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে ৬০ লাখ গাছে আম আবাদ হচ্ছে।
চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে। প্রতি কেজি আম ৭০ টাকা দরে বিক্রি হলে জেলায় প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার আম বাণিজ্য হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত বছর জেলায় ৩৭ হাজার ১৬৫ হেক্টর জমিতে আম উৎপাদন হয়েছিল ৩ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন।
তবে এবার আম বাণিজ্যে গত বছরের তুলনায় প্রায় সাড়ে ৭০০ কোটি টাকা বৃদ্ধির আশা করছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। এ বছরে আড়াই হাজার কোটি টাকা আম বাণিজ্যের আশা করছেন তারা। আম ব্যবসায়ী ও বাগান মালিকদের সরলতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ফড়িয়ারা আমের ওজন বেশি নিয়ে থাকেন।
এর ফলে আমবাগান মালিকরা বাজারে ওজন নিয়ে ব্যাপক বিড়ম্বনায় পড়েন। ৪৫-৫২ কেজিতে এক মণ ধরেন ব্যবসায়ীরা। ইতোমধ্যে জেলার বৃহৎ আমের মোকাম কানসাট, ভোলাহাট, রহনপুর ও সদরের পুরাতন তহাবাজারে প্রস্তুত করে ফেলেছেন আমের আড়ত, আবার কেউ আমের টুকরি, সুতলি, পেপারসহ খড় (ঘাস) মজুদ করছেন।
এই আম নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষ আগামী ৩-৪ মাস ব্যস্ত সময় পার করবেন। আম ব্যবসায়ীদের মতে, প্রথমে আসবে গোপালভোগ, তারপর গুটি থেকে ক্ষীরসাপাতি এবং সবশেষে আসবে আশ্বিনা আম।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার জানান, চলতি বছর আমের জন্য অন ইয়ার বা বেশি ফলনের বছর। এবার বাগানের ৯০ ভাগ গাছে আমের মুকুল এসেছিল, আমের ফলনও ভালো হয়েছে।
আবহাওয়া ভালো থাকলে এবার আমের লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই হিসাবে গড়ে প্রতি কেজি আম ৭০ টাকা দরে বিক্রি হলে জেলায় প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার আম বাণিজ্য হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।