রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের প্রাইমারী গ্রুপের সদস্যবৃন্দের পৃথক দুটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ও বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় এ সভা দুটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন। সকালে অনুষ্ঠিত সভায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের লাল গোলাপ, কৃষ্ণচূড়া, শাপলা, শিমুল ক্লাস্টারের নেতৃবৃন্দ ও বিকেলে পদ্মা, মল্লিকা, আশার আলো, আলোর সন্ধান ক্লাস্টারের নেতৃবৃন্দ মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন মতামত তুলে ধরেন।
মাননীয় মেয়র মহোদয় নেতৃবৃন্দের বিভিন্ন মতামত মনোযোগ সহকারে শোনেন। সভায় বক্তারা সুন্দর বাসযোগ্য নগরী রাজশাহীর উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আগামীতে মাননীয় মেয়রের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এ প্রকল্পটির নামকরণ করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহীর জনসভায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের মেয়েদের উদ্দেশ্যে বলেন, এরা যেন ঝরে না পড়ে, তাদের জন্য আরো কী করা যায় তা ভাবতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করছেন। সরকার প্রতিটি ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের বাসস্থান নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে গৃহহীন মানুষের জন্য গৃহ বরাদ্দ করেছেন। রাজশাহীতে গৃহহীন মানুষের জন্য এরকম কাজ করতে চাই।
মেয়র আরো বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এ প্রকল্পটি সফলভাবে কাজ করছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে রাজশাহী মহানগরীর প্রায় ২শ সিডিসির ৫৮ হাজার সদস্যের প্রায় দেড় লাখ মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটেছে। এর মাধ্যমে নেতৃত্বের বিকাশ ঘটিয়ে নিজ নিজ কমিউনিটিতে ড্রেন, রাস্তা, নলকুপ স্থাপনসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের কার্যক্রম ছাড়াও সিএইচডিএফ এর গৃহ ঋণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। গৃহহীনদের বসবাসযোগ্য বাড়ি করে দিতে চাই। গৃহঋণের এ পরিধি আরও বৃদ্ধি করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আগামীতে সরকারের এ প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও যেন এর কার্যক্রম অব্যাহত থাকে সেলক্ষ্যে এটিকে একটি ব্যাংকে রূপদান কাজ এগিয়ে চলেছে। রাজশাহী বিশে^র পরিচ্ছন্ন, সবুজ নগরীর স্বীকৃতি পেয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রথম মেয়াদে ২০০৮-২০১৩ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই রাজশাহীতে শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখি। এ মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। রাজশাহীতে পদ্মা নদীতে বন্দর গড়ে তোলার কাজ এগিয়ে চলেছে। এটি বাস্তবায়িত হলে বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান প্রকল্পের সদস্য সচিব ও রাসিকের প্রধান প্রকৌশলী নুর ইসলাম তুষারের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন রাসিকের চীফ কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অফিসার আজিজুর রহমান। মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান প্রকল্পের উপদেষ্টা কবি আরিফুল হক কুমার।
সভায় বক্তব্য দেন লাল গোলাপ, কৃষ্ণচূড়া, শাপলা, শিমুল ক্লাস্টারের বেবি, মনিরা, সুলতা মন্ডল, সাপেদা এবং বিকেলে পদ্মা, মল্লিকা, আশার আলো, আলোর সন্ধান ক্লাস্টার নেত্রী প্রীতি রানী ঘোষ, আফসানা, মৌসুমী, মনি, আশিক জাহান, হ্যাপী, সাথী, জুলেখা, কাজল রেখা, সুরভী, জান্নাতুল। সভা সঞ্চালনা করেন সিডিসি টাউন ফেডারেশনের সভাপতি আয়েশা ইসলাম মুন্নি। মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন ক্লাস্টারের প্রাইমারী গ্রুপের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।#