Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the all-in-one-wp-security-and-firewall domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home2/nababani/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
দুইটি মামলা কাঁধে নিয়ে গোদাগাড়ীর ইউএনও’র বদলি, মিষ্টি বিতরণ
ঢাকা ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
টাকার বিনিময়ে বিক্রি করেছেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর

দুইটি মামলা কাঁধে নিয়ে গোদাগাড়ীর ইউএনও’র বদলি, মিষ্টি বিতরণ

ফাইল ছবি

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জানে আলমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলার পর তাকে বদলি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সিনিয়র সহকারী কমিশনার (চলতি দায়িত্বে) মহিদুল হক সাক্ষরিত এক আদেশে তার এ বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে।

ওই আদেশে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জানে আলমকে বগুড়া জেলার ধনুট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হয়েছে। আর ধনুট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার মহন্তকে গোদাগাড়ী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

গত ৬ মার্চ (সোমবার) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে রাজশাহী জেলা স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল ও সিনিয়র দায়রা জজ আদালতে জানে আলমের বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকার দুর্নীতি মামলা করেন আইনজীবী সালাহ উদ্দিন বিশ্বাস। মামলাটি আদালতে উত্থাপন করা হলে বিচারক আব্দুর রহিম শুনানি শেষে রাজশাহী জেলা সমন্বিত দুদককে তদন্তের নির্দেশ দেন।

এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি ইউএনও এর বিরুদ্ধে রাজশাহী পরিবেশ আদালতে মামলা করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে মো. জানে আলম ২০২০ সালের ৩ ডিসেম্বর যোগদান করেন। এরপর থেকে ঘুষ, অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হতে থাকেন। বর্তমানে তার প্রায় ৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ রয়েছে। যা দিয়ে তিনি বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়ি ও নামে-বেনামে জমি ক্রয় করেছেন। মামলার সঙ্গে এসবের ভিডিও সংযুক্ত করেছেন এই আইনজীবী।

মামলা সূত্রে আরও জানা যায়, আশ্রয়ন প্রকল্পের বাড়ি নির্মাণে জোরপূর্বক বিভিন্ন ইটভাটা থেকে ইট ও বালুমহাল থেকে বালু নেওয়াসহ নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে দায়সারা কাজ করেছেন ইউএনও। এ ছাড়া প্রকল্পের সব ঘর নির্মাণ সম্পন্ন না হলেও শতভাগ অগ্রগতির ভুয়া তথ্য প্রদর্শন করেছেন। বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের বিল-ভাউচার স্বাক্ষর করার জন্য ৯টি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের থেকে অবৈধভাবে অর্থ আদায় করেছেন।

টিআর-কাবিখার উন্নয়নমূলক কাজে ১০ শতাংশ হারে কমিশনও নিয়েছেন। এ ছাড়া আদিবাসীদের জমি কেড়ে নিয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করা হলেও আদিবাসীদের ঘর দেননি। টাকার বিনিময়ে বিক্রি করেছেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর। ঘুষ না পেলে অন্যায়ভাবে আইনের অপ্রয়োগ করে নির্যাতনের অভিযোগও করা হয়েছে।

এদিকে ইউএনও জানে আলমের বদলির আদেশ আসার পর অ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দিন বিশ্বাসের অনুসারী ও মামলার স্বাক্ষীরা গোদাগাড়ী উপজেলা সদরে মিষ্ট বিতরণ করেছেন।  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, অ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দিন বিশ্বাসের দুটি মামলার স্বাক্ষী গোদাগাড়ী পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম ও ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম নিজেরা উল্লাস প্রকাশ করে গোদাগাড়ী পৌর সদরের বিভিন্ন দোকানদার ও রাস্তার জনসাধারনকে মিষ্টি মুখ করাচ্ছেন।

আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: 24nababani@gmail.com
জনপ্রিয় সংবাদ

বটিয়াঘাটা প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠন; আহবায়ক দুলু সদস্য সচিব শাহীন

টাকার বিনিময়ে বিক্রি করেছেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর

দুইটি মামলা কাঁধে নিয়ে গোদাগাড়ীর ইউএনও’র বদলি, মিষ্টি বিতরণ

আপডেট সময় ০৬:১৫:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ মার্চ ২০২৩

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জানে আলমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলার পর তাকে বদলি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সিনিয়র সহকারী কমিশনার (চলতি দায়িত্বে) মহিদুল হক সাক্ষরিত এক আদেশে তার এ বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে।

ওই আদেশে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জানে আলমকে বগুড়া জেলার ধনুট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হয়েছে। আর ধনুট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার মহন্তকে গোদাগাড়ী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

গত ৬ মার্চ (সোমবার) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে রাজশাহী জেলা স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল ও সিনিয়র দায়রা জজ আদালতে জানে আলমের বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকার দুর্নীতি মামলা করেন আইনজীবী সালাহ উদ্দিন বিশ্বাস। মামলাটি আদালতে উত্থাপন করা হলে বিচারক আব্দুর রহিম শুনানি শেষে রাজশাহী জেলা সমন্বিত দুদককে তদন্তের নির্দেশ দেন।

এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি ইউএনও এর বিরুদ্ধে রাজশাহী পরিবেশ আদালতে মামলা করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে মো. জানে আলম ২০২০ সালের ৩ ডিসেম্বর যোগদান করেন। এরপর থেকে ঘুষ, অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হতে থাকেন। বর্তমানে তার প্রায় ৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ রয়েছে। যা দিয়ে তিনি বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়ি ও নামে-বেনামে জমি ক্রয় করেছেন। মামলার সঙ্গে এসবের ভিডিও সংযুক্ত করেছেন এই আইনজীবী।

মামলা সূত্রে আরও জানা যায়, আশ্রয়ন প্রকল্পের বাড়ি নির্মাণে জোরপূর্বক বিভিন্ন ইটভাটা থেকে ইট ও বালুমহাল থেকে বালু নেওয়াসহ নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে দায়সারা কাজ করেছেন ইউএনও। এ ছাড়া প্রকল্পের সব ঘর নির্মাণ সম্পন্ন না হলেও শতভাগ অগ্রগতির ভুয়া তথ্য প্রদর্শন করেছেন। বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের বিল-ভাউচার স্বাক্ষর করার জন্য ৯টি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের থেকে অবৈধভাবে অর্থ আদায় করেছেন।

টিআর-কাবিখার উন্নয়নমূলক কাজে ১০ শতাংশ হারে কমিশনও নিয়েছেন। এ ছাড়া আদিবাসীদের জমি কেড়ে নিয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করা হলেও আদিবাসীদের ঘর দেননি। টাকার বিনিময়ে বিক্রি করেছেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর। ঘুষ না পেলে অন্যায়ভাবে আইনের অপ্রয়োগ করে নির্যাতনের অভিযোগও করা হয়েছে।

এদিকে ইউএনও জানে আলমের বদলির আদেশ আসার পর অ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দিন বিশ্বাসের অনুসারী ও মামলার স্বাক্ষীরা গোদাগাড়ী উপজেলা সদরে মিষ্ট বিতরণ করেছেন।  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, অ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দিন বিশ্বাসের দুটি মামলার স্বাক্ষী গোদাগাড়ী পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম ও ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম নিজেরা উল্লাস প্রকাশ করে গোদাগাড়ী পৌর সদরের বিভিন্ন দোকানদার ও রাস্তার জনসাধারনকে মিষ্টি মুখ করাচ্ছেন।