আগামী ২৯ জানুয়ারি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা‘র রাজশাহীতে আগমন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের বিভাগীয় বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার নগরীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহীকে একসময় বিএনপির ঘাটি বলা হতো। এখন বিএনপি তাদের আর ঘাঁটি বলতে পারে না। বিএনপি ১০ ডিসেম্বর ঢাকা দখল করতে চেয়েছিলো। তার আগে ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে সমাবেশ করেছিল বিএনপি। তারা বলেছিল, সেটি তাদের সেমিফাইনাল। সেমিফাইনালে তাদের কথিত ঘাঁটিতে আমরা উপর থেকে ড্রোন থেকে তোলা ছবিতে দেখেছি, বেলা আড়াইটার সময় যখন যখন মির্জা ফখরুল বক্তব্য রাখছিলেন, তখন মাঠে ৮ থেকে ১০ হাজারের বেশি লোক ছিল না। মাঠ ছিল ফাঁকা ফাঁকা। আমরা আগামী ২৯ জানুয়ারি সেই মাদ্রাসা মাঠেই দেখিয়ে দেব, ৭ থেকে ১০ লাখ লোক আসবে, শুধু মাঠ নয়, পুরো রাজশাহী শহর লোকে লোকারণ্যে পরিণত হবে।
মেয়র আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। দেশটি বিশ্বের বিস্ময় পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে, স্বপ্নের মেট্রোরেল চালু হয়েছে। কিছুদিন পরে কর্ণফুলী নদীরে নিচের টানেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। সারাদেশে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ নির্মিত হচ্ছে।সম্প্রতি দ্বিতীয় দফায় ৫০টি মডেল মসজিদের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। পাবনার রূপপুরে পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এভাবে সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন দৃশ্যমান হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন এক এক করে বাস্তবায়ন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সভায় রাজশাহী মহানগরসহ বিভাগের ৮টি জেলার যুবলীগের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল। সঞ্চালনা করেন, আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন বাস্তবায়নের যোগ্যতা একমাত্র শেখ হাসিনার আছে। বিএনপির দেশ পরিচালনার যোগ্যতা নেই। বিএনপিকে এই যোগ্যতা প্রমাণ করতে হলে দূর্নীতি, নৈরাজ্য, মানুষ হত্যা দূর করতে হবে। তারা দেশকে ধ্বংস করতে ক্ষমতায় আসতে ষড়যন্ত্র করছে। ক্ষমতায় বিদেশি প্রভূদের কাছে গিয়ে লাভ হবে না। ক্ষমতায় আসতে হলে আগে জনগণের কাছে মাফ চান। নাকে ক্ষত দিয়ে আসেন।
আওয়ামী যুবলীগের এই চেয়ারম্যান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তার কারণে তার প্রতি এদেশের জনগণের আর্কষন অনেক বেড়ে গেছে। সেটাই আগামী ২৯ জানুয়ারির জনসভায় প্রমাণিত হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দেখার জন্য এদের মানুষ আকুল আগ্রহে বসে রয়েছে। এই জনসভায় জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ তার ঐতিহাসিক ভূমিকা আবারও প্রমাণিত করবে। এই সমাবেশ সফল করার জন্য আপনাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা আমরা প্রত্যাশা করছি।
তিনি আরও বলেন, আজকের পর আপনার আপনাদের নিজ নিজ ইউনিটে গিয়ে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেবেন। এই সমাবেশ আমাদেরকে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে। সমাবেশে শক্তি প্রদর্শন ও জনসমপৃক্ততার মাধ্যমে আমরা বিরোধী শক্তিকে জানাতে চাই, জননেত্রী শেখ হাসিনা সারা পৃথিবীতে বিশেষ করে এই মুহুর্তে বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয়, প্রথিত ও আদর্শিক নেত্রী। আপনাদের সর্বোচ্চ জনবল নিয়ে সমাবেশে শরীক হবেন, আজকে থেকেই সেই প্রস্তুতি নিতে হবে আপনাদের।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, যারা নতুন করে হাওয়া ভবন, খোয়াব ভবন তৈরী করতে চাই তাদেরকে এই যুবলীগ প্রতিহত করবে। বিএনপি-জামায়াতের স্বপ্ন পূরণ হতে দেবো না। প্রধানমন্ত্রীর আগমনে রাজশাহীর সকল জায়গা জনসমুদ্রে পরিণত হবে।
তিনি আরো বলেন, শেখ ফজলুল হক মনি যুবলীগকে শক্তিশালী করেছিলো। কিন্তু তাকেও হত্যা করা হয়েছিলো। মনির সুযোগ্য সন্তান পরশ ও নিখিলকে শেখ হাসিনা দায়িত্ব দিয়েছেন। রাজশাহীতে যুবলীগের যত ইউনিট আছে তাদেরকে মাঠে, গ্রামে, নগর-বন্দরে গিয়ে জনমত গঠন করে হাসিনার বর্ণিল আগমনে ভরে দিতে হবে। আগামী দিনের ক্ষমতা বদলের মালিক হবেন এদেশের জনগণ। ওরা যড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। ওদের বলতে চাই, সংবিধান বহির্ভুত এদেশের কোন নির্বাচন হবে না। আগামী নির্বাচনের সরকার প্রধান থাকবেন শেখ হাসিনা। বিএনপি নতুন করে আগুন জ্বালাতে, যানবাহন পোড়াতে চায়। এবার যুবলীগ তা ভেঙে দিবে। আগামী নির্বাচনে অতন্দ্র প্রহরী হয়ে আমাদেরকে কাজ করতে হবে। আগামীতে রাজশাহীর ৬ টি আসনেই আওয়ামী লীগকে জনগণ ম্যানডেট দেবেন।