আজ মঙ্গলবার (০১ নভেম্বর) জাতীয় যুব দিবস। ‘প্রশিক্ষিত যুব উন্নত দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে সারাদেশের মতো রাজশাহীতেও দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে উদযাপন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের রাজশাহী কার্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ্, এনডিসি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, যুবকরা অল্প কথায় সব বুঝতে পারে। যুবকদের অবদান আমাদের দেশের ইতিহাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে মিশে আছে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে যুবকদের অদম্য প্রচেষ্টায় আমরা মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃত করতে পেরেছিলাম। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে যুবকদের অসামান্য অবদানের জন্য দ্রততম সময়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। পৃথিবীর কোনো দেশই এত অল্প সময়ের মধ্যে স্বাধীন হয়নি।
জি এস এম জাফরউল্লাহ্ বলেন, বর্তমানে দেশের ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে ৪ কোটিই যুবক যাদের বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। এই যুবকরাই ভবিষ্যত বাংলাদেশের রূপকার। তিনি বলেন, একজন মৃত্তিকা শিল্পী যেমন নরম কাঁদা-মাটি দিয়ে তার নিপুণ হাতের স্পর্শে যা খুশি তাই তৈরি করতে পারে, ঠিক তেমনি যুবকদের দ্বারা সবকিছুই করা সম্ভব।
চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, এখন কম্পিউটার সায়েন্সের জয়জয়কার চলছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। যুবকদেরকেই দায়িত্ব নিতে হবে। ১৯৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ গড়তে হলে প্রশিক্ষিত যুবকরাই পারবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে। তারাই বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে।
দেশ প্রশিক্ষিত যুবকে ভরে উঠুক এবং সুখি ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে উঠুক বলে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, যুবকরা যদি প্রশিক্ষিত হয় তবেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহীন আক্তার রেনী, রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মো. রবিউল ইসলাম বক্তৃতা করেন।
আলোচনা সভা শেষে যুবকদের মাঝে যুবঋণের চেক, ক্রেস্ট ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়। এর আগে জাতীয় যুব দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়।