৭ দফা দাবিতে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, রাজশাহী মহানগর ও জেলা কমিটির নেতাকর্মীদের চলমান গণ অনশন ভাঙালেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রাজশাহী মহানগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে এ কর্মসূচি চলাকালে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতাকর্মীদের জুস পান করিয়ে গণ অনশন ভাঙান রাসিক মেয়র লিটন।
এ সময় বক্তব্যকালে রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সারা জীবনের সাধনা একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশটা আমাদের সকলের। এখানে সকল ধর্মের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম পালন করেন। আপনারা কখনও নিজেদের ছোট মনে করবেন না। আমি সব সময় আপনার সঙ্গে আছি এবং থাকব। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশে পরিণত হবে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা চিরতরে বন্ধসহ সরকারি দলের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ রাজশাহী মহানগর ও জেলা কমিটির আয়োজনে শনিবার সকাল ১১টা থেকে রাজশাহী মহানগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে গণ অনশন কর্মসূচি পালন করছিল। তাদের দাবিসমূহ হলো- সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন বৈষশ্য বিলোপ আইন প্রণয়ন, দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন যথাযথ বাস্তবায়ন, পার্বত্য শান্তিচুক্তি ও পার্বত্য ভূমি কমিশন আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন, সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ রাজশাহী মহানগরের সভাপতি ড. সুজিত সরকারের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বাগমারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অনীল কুমার সরকার। অনশনে আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রাজশাহী মহানগরের সভাপতি শরৎচন্দ্র সরকারসহ অন্যান্য নেত্রীবৃন্দ।