চিকিৎসকরা বলছেন, চোখ ওঠা রোগে বাড়তি জটিলতা নেই। বাজারে চলতি ওষুধেই কাজ হচ্ছে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বিশ্রাম, ড্রপ বা ওষুধ গ্রহণ করতে হবে। এটি সারতে সাধারণত এক থেকে দুই সপ্তাহ সময় নেয়। তাই এ সময় রোগীদের বিশ্রামের পাশাপাশি সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
চক্ষু বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘চোখ ওঠা রোগ স্বাভাবিক একটি বিষয়। বাচ্চাদের মধ্যে আগে বেশি দেখা যেত, তবে এখন সব বয়সেরই হচ্ছে। জনসংখ্যা বেড়েছে, সাথে কর্মজীবী। তাই ধুলাবালির সংস্পর্শে আসার সংখ্যাও বেড়েছে। তবে এই রোগ নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। কিছুদিন ঘরে থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিলেই ঠিক হয়ে যায়।’চিঅকিৎসকরা আরও বলেন- ‘এই রোগটি ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া দুই কারণেই হতে পারে। যাদের চোখ জ্বালাপোড়ার সঙ্গে ময়লা আসে তাহলে সেটা ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন। একে বলে ব্যাকটেরিয়াল কন্জাঙ্কটিভাইটিস। আর শুধু ভাইরাল ইনফেকশন হলে চোখ জ্বালাপোড়া করে এবং লাল হলে হয়ে যায়। এক্ষেত্রে চোখে হাত দেয়া যাবে না। এলার্জি হয় এমন খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।’
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘এটি যেহেতু বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় তাই অতিরিক্ত ধুলাবালির সংস্পর্শে গেলে যে কোনো সময় হতে পারে। তাই বাইরে গেলে সানগ্লাস ব্যবহার করতে হবে। যতটা সম্ভব ধুলাবালি এড়িয়ে চলতে হবে। ধুলাবালি থেকে শুধু চোখ ওঠা নয়, এলার্জিজনিত নানা ধরনের রোগ হতে পারে।’
একজন মেডিক্যাল অফিসার বলেন, ‘যেহেতু রোগটি ছোঁয়াচে, তাই যতটা সম্ভব আইসোলেশনে থাকা ভালো। ছোঁয়াচে এবং বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় বলে লোকজন থেকে দূরে থাকতে বলা হয়। সানগ্লাস পরে থাকতে হবে। চুলকানি হলে রোগী ঠান্ডা এবং এলার্জিজনিত রোগের ওষুধ খেতে পারেন। চোখের কিছু ড্রপ রয়েছে, ডাক্তাররা সেগুলো সাজেস্ট করেন। তবে অনেকেই বার বার চোখে হাত দেয় বা চুলকায়। এতে চোখের ক্ষতি হতে পারে। তবে ভয়ের তেমন কোনো কারণ নেই। সাধারণ ৬ থেকে ৭ দিনেই এটি ভালো হয়ে যায়।’