খোলা বাজারে বিক্রি (ওএমএস) ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় সারা দেশের মতো রাজশাহীতেও আজ বৃহস্পতিবার ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রয় শুরু হয়েছে।
জেলা প্রশাসন ও খাদ্য বিভাগের আয়োজনে সকালে রাজশাহীর পবা উপজেলার হড়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ্, এনডিসি প্রধান অতিথি হিসেবে খাদ্যবান্ধব এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
এ কমর্সূচির আওতায় আগামী তিন মাসে রাজশাহী বিভাগের ৭ লাখ ৭৬ হাজার পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল দেয়া হবে। এর মধ্যে রাজশাহী জেলায় পাবে ৮১ হাজার ৪০০টি পরিবার। এর আওতায় মাসে মাথাপিছু ৩০ কেজি করে চাল কেনা যাবে।
খাদ্যবান্ধন কর্মসূচীর উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথি বলেন, মাদার অব হিউম্যানিটি বা মানবতার জননী হিসেবে পরিচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছোট্ট ছোট্ট উদ্যোগের মাধ্যমে সারা বিশ্বে নিজের অবস্থানকে তুলে ধরেছেন। সারা বিশ্ব যখন খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত তখন বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে সেটা নেই।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, কেউ কেউ বলে, দেশে খাদ্যের পর্যাপ্ত মজুদ নাই। এটা ঠিক না, খাদ্যের সর্বোচ্চ মজুদ রয়েছে। বিশ্ব সংকটকে কাজে লাগিয়ে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল সুবিধা লুটতে চায়। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এই কার্যক্রমের সর্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে কাজ করে যাচ্ছেন। অচিরেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পৌঁছে যাওয়ার যুদ্ধে সকলের অংশগ্রহণ কামনা করেন তিনি।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. সালমা মমতাজ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফারুক হোসেন পাটুয়ারী, পবা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা লসমী চাকমা, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দিলদার মাহমুদ, নওহাটা পৌর মেয়র মো: হাফিজুর রহমান হাফিজ ও হড়গ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ।
উল্লেখ্য, সারা দেশে ৫০ লক্ষ মানুষকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করা হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায় নিম্ন আয়ের মানুষের খরচ কিছুটা লাঘব করার জন্য এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার।