ঢাকা ০৪:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
হলুদ ও কমলা র‌ঙের রাধাচূড়া দোল খাচ্ছে বাতাসে। শরতের এই ফুল যেন যাত্রা পথে অভিবাদন জানাচ্ছে। আর রং ছড়াচ্ছে জারুল ও ফুরুস।

বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ে এখন পুষ্পের সড়কদ্বীপ, আর সেই দ্বীপে ছড়াচ্ছে ফুলের সৌরভ।

ফাইল ছবি।

ফুল হলো সৌন্দর্যের প্রতীক।এই পৃথিবীতে ফুল ভালোবাসে না এমন মানুষ বোধহয় কমই আছে।ফুল থেকে মানুষ যদি শিক্ষা নিতো তাহলে আজকের পৃথিবীটা অনেক সুন্দর হতো। কারণ ফুল সব সময় মানুষকে উদার হতে শেখায়।সে হয় তার গন্ধ বিলায় না হয় তার সৌন্দর্য। যেকোন অনুষ্ঠান যেকোন পরিবেশ ফুলের উপস্থিতি মানে তার সৌন্দর্য দশগুন বেড়ে যাওয়া। মানুষ ও সেজে ওঠে নানা রঙের ফুল দিয়ে। ফুল পবিত্রতার ও প্রতীক।তাই কারো ভালো মনকে ও ফুলের সাথে তুলনা করা হয়।ফুলের সাথে মানুষের তীব্র আবেগ জরিয়ে থাকে। 
প্রকৃতির মাঝে হারাবো আবার কংক্রিটের জঙ্গলে ভালো লাগে না আর
ফিরে যেতে চাই সেই  প্রত্যন্ত গ্রামে আবার,
যেথা আম্রমুকুল ছাতিম আর মাটির সোঁদা গন্ধ চারিধার,
সারাদিন কল কাকলিতে ভরে থাকে পরিবেশ। মৌমাছি চলে ফুলে ফুলে মধু খাওয়ায় রেস।
এখন  মৌমাছি শুধু পুষ্পের সৌরভ নিতে
মধুর সন্ধানে গ্রামে ডানা মেলায় না। তারা কংক্রিটের শহরেও পথ প্রান্তরে  খুঁজছে আহার,আর মানুষ রাস্তায় যাতায়াতের সময় পাচ্ছে পুষ্পের ঘ্রাণ। পুষ্প কখনো তার নিজের জন্য ফুটে না,সে গন্ধ বিলাতে না চাইলেও  তার
স্নিগ্ধ গন্ধ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে।
সেরকমই  দেখা মীললো রাজধানী ঢাকায়

ফুলের সৌরভ ছড়াচ্ছে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ে
ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের অনন্য আকর্ষণ এখন সড়কদ্বীপ। এখান থেকেই ছড়াচ্ছে ফুলের সৌরভ। প্রকৃতিতে শরৎ আসতেই রঙ বেরঙের ফুলের এই রূপ যেন পথচারীদের মনে দোল দিয়ে যাচ্ছে। এই সড়কদ্বীপ সতেজ রাখছে পথচারীদের মন।

সরেজমিনে দেখা যায়, হলুদ ও কমলা র‌ঙের রাধাচূড়া দোল খাচ্ছে বাতাসে। শরতের এই ফুল যেন যাত্রা পথে অভিবাদন জানাচ্ছে। আর রং ছড়াচ্ছে জারুল ও ফুরুস। বর্ষায় ফোটা রঙিন এসব বাহারি ফুল জৌলুস ছড়াচ্ছে শর‌তেও। এমন হরেক রকমের রং বেরঙের ফুল চোখে পড়বে দীর্ঘ পথজুড়ে। দুরন্ত গাড়িতে চড়েও যেন চোখ ফেরানো যায় না।

স্বপ্নজয়ের পদ্মা সেতু অতিক্রম করার সময়ও উত্তাল পদ্মা আর প্রকৃতিতে ঋতু বৈচিত্র্য আঁচ করা যায়। নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা। আর জমিনে ফুলের এমন সৌরভ প্রকৃতিতে জানান দিচ্ছে শরৎ এসে গেছে।

 বাংলাদেশের প্রত্যেকে জেলা শহরের এই কংক্রিটে সড়কদ্বীপ গুলোতে যদি নানা প্রজাতির  ফুল গাছ রোপণ করে, তাহলে এই কংক্রিটের শহরগুলো হবে জীবন্ত পুষ্পের শহর। আর একসময় হবে পুষ্পের টানে আসা  প্রজাপতি ও মৌমাছির শহর।ফুল গাছ পরিচর্যা ও পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে বেশ তৎপর স্থানীয় প্রশাসন। মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আমি আশা করি সড়ক বিভাজনের এই ফুলের বাগান অন্যান্য মহাসড়কেও ছড়িয়ে পড়বে। এবং এভাবেই আমাদের প্রকৃতি রক্ষা পাবে।
রাজধানী ঢাকা থেকে মাওয়া পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার এই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়ে সড়ক যোগাযোগে ভিন্ন মাত্রা যুক্ত করেছে। পদ্মা সেতু চালুর পর দেশের প্রথম এই এক্সপ্রেসওয়ের ব্যস্ততা বেড়েছে কয়েকগুণ।
আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

টেকনাফে গাছের সাথে ঝুলন্ত ১ যুবকের লাশ উদ্ধার।

হলুদ ও কমলা র‌ঙের রাধাচূড়া দোল খাচ্ছে বাতাসে। শরতের এই ফুল যেন যাত্রা পথে অভিবাদন জানাচ্ছে। আর রং ছড়াচ্ছে জারুল ও ফুরুস।

বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ে এখন পুষ্পের সড়কদ্বীপ, আর সেই দ্বীপে ছড়াচ্ছে ফুলের সৌরভ।

আপডেট সময় ০৭:২২:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ অগাস্ট ২০২২
ফুল হলো সৌন্দর্যের প্রতীক।এই পৃথিবীতে ফুল ভালোবাসে না এমন মানুষ বোধহয় কমই আছে।ফুল থেকে মানুষ যদি শিক্ষা নিতো তাহলে আজকের পৃথিবীটা অনেক সুন্দর হতো। কারণ ফুল সব সময় মানুষকে উদার হতে শেখায়।সে হয় তার গন্ধ বিলায় না হয় তার সৌন্দর্য। যেকোন অনুষ্ঠান যেকোন পরিবেশ ফুলের উপস্থিতি মানে তার সৌন্দর্য দশগুন বেড়ে যাওয়া। মানুষ ও সেজে ওঠে নানা রঙের ফুল দিয়ে। ফুল পবিত্রতার ও প্রতীক।তাই কারো ভালো মনকে ও ফুলের সাথে তুলনা করা হয়।ফুলের সাথে মানুষের তীব্র আবেগ জরিয়ে থাকে। 
প্রকৃতির মাঝে হারাবো আবার কংক্রিটের জঙ্গলে ভালো লাগে না আর
ফিরে যেতে চাই সেই  প্রত্যন্ত গ্রামে আবার,
যেথা আম্রমুকুল ছাতিম আর মাটির সোঁদা গন্ধ চারিধার,
সারাদিন কল কাকলিতে ভরে থাকে পরিবেশ। মৌমাছি চলে ফুলে ফুলে মধু খাওয়ায় রেস।
এখন  মৌমাছি শুধু পুষ্পের সৌরভ নিতে
মধুর সন্ধানে গ্রামে ডানা মেলায় না। তারা কংক্রিটের শহরেও পথ প্রান্তরে  খুঁজছে আহার,আর মানুষ রাস্তায় যাতায়াতের সময় পাচ্ছে পুষ্পের ঘ্রাণ। পুষ্প কখনো তার নিজের জন্য ফুটে না,সে গন্ধ বিলাতে না চাইলেও  তার
স্নিগ্ধ গন্ধ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে।
সেরকমই  দেখা মীললো রাজধানী ঢাকায়

ফুলের সৌরভ ছড়াচ্ছে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ে
ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের অনন্য আকর্ষণ এখন সড়কদ্বীপ। এখান থেকেই ছড়াচ্ছে ফুলের সৌরভ। প্রকৃতিতে শরৎ আসতেই রঙ বেরঙের ফুলের এই রূপ যেন পথচারীদের মনে দোল দিয়ে যাচ্ছে। এই সড়কদ্বীপ সতেজ রাখছে পথচারীদের মন।

সরেজমিনে দেখা যায়, হলুদ ও কমলা র‌ঙের রাধাচূড়া দোল খাচ্ছে বাতাসে। শরতের এই ফুল যেন যাত্রা পথে অভিবাদন জানাচ্ছে। আর রং ছড়াচ্ছে জারুল ও ফুরুস। বর্ষায় ফোটা রঙিন এসব বাহারি ফুল জৌলুস ছড়াচ্ছে শর‌তেও। এমন হরেক রকমের রং বেরঙের ফুল চোখে পড়বে দীর্ঘ পথজুড়ে। দুরন্ত গাড়িতে চড়েও যেন চোখ ফেরানো যায় না।

স্বপ্নজয়ের পদ্মা সেতু অতিক্রম করার সময়ও উত্তাল পদ্মা আর প্রকৃতিতে ঋতু বৈচিত্র্য আঁচ করা যায়। নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা। আর জমিনে ফুলের এমন সৌরভ প্রকৃতিতে জানান দিচ্ছে শরৎ এসে গেছে।

 বাংলাদেশের প্রত্যেকে জেলা শহরের এই কংক্রিটে সড়কদ্বীপ গুলোতে যদি নানা প্রজাতির  ফুল গাছ রোপণ করে, তাহলে এই কংক্রিটের শহরগুলো হবে জীবন্ত পুষ্পের শহর। আর একসময় হবে পুষ্পের টানে আসা  প্রজাপতি ও মৌমাছির শহর।ফুল গাছ পরিচর্যা ও পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে বেশ তৎপর স্থানীয় প্রশাসন। মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আমি আশা করি সড়ক বিভাজনের এই ফুলের বাগান অন্যান্য মহাসড়কেও ছড়িয়ে পড়বে। এবং এভাবেই আমাদের প্রকৃতি রক্ষা পাবে।
রাজধানী ঢাকা থেকে মাওয়া পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার এই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়ে সড়ক যোগাযোগে ভিন্ন মাত্রা যুক্ত করেছে। পদ্মা সেতু চালুর পর দেশের প্রথম এই এক্সপ্রেসওয়ের ব্যস্ততা বেড়েছে কয়েকগুণ।