Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the all-in-one-wp-security-and-firewall domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home2/nababani/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
একজন কর্মকর্তার তদারকিতে বদলেগেছে পশ্চিম রেলের চিত্র
ঢাকা ০৭:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একজন কর্মকর্তার তদারকিতে বদলেগেছে পশ্চিম রেলের চিত্র

প্রতিবছর ঈদ এলেই বেড়ে যায় কালোবাজারিদের দৌরাত্ম্য। নানা কৌশলে রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে যোগসাজশে টিকিট নিয়ে অবৈধ বাণিজ্যে লিপ্ত হয় তারা।
কিন্তু এবার গেলে পশ্চিমে মা ব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদারের সার্বক্ষণিক তদারকিতে বদলে গেছে রাজশাহীসহ পশ্চিমাঞ্চল রেলের চিত্র।
এবার ঈদ এই অঞ্চলে টিকিট কালোবাজারি প্রায় শূন্যের কোঠায়।
 তিনি নিজেই প্রতিদিন কাকডাকা ভোরে  রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে টিকিটের সার্বিক বিষয়ে খোঁজ নেন।  টিকিট কাটা যাত্রীদের সাথে লাইনে দাঁড়িয়ে কুশল বিনিময়, সাধ্যমত আপ্যায়ন করছেন প্রতিনিয়ত। এতে করে যাত্রীরা যেমন খুশি হচ্ছেন অন্যদিকে বিশৃঙ্খলাও নেই বললেই চলে।
জানা গেছে, আগে রেলওয়ের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজেদের নামে ৫-১০টি টিকিট নিতেন। পরে সেগুলো কালোবাজারিদের দিয়ে দিতেন। তারা সেগুলো অধিক দামে বিক্রি করতেন।  তিনি এসব অনিয়ম বন্ধ করে দিয়েছেন। রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট কোনও কর্মকর্তা-কর্মচারী এসব অন্যায় আবদার নিয়ে আসলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
কোরবানের ঈদে যাত্রীসেবায় কঠোর মনিটরিং এবং টিকিট কালোবাজারি রোধে মাঠে রয়েছেন তিনি। এছাড়াও রেলওয়ে স্টেশনে কঠোর নজরদারিতে আছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ট্রেনে যাত্রীসেবায় অসুবিধা দূর করা এবং ট্রেন ভ্রমণের সময় বিভিন্ন স্থানে পাথর ছুঁড়ে মারার বিষয়ে সতর্ক থাকা, টিকিট কালোবাজারি রোধসহ বিভিন্ন বিষয়ে সতর্ক করে মাইকে প্রচার করা হচ্ছে বারবার।
রেলের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যদি যাত্রীসেবায় অসহযোগিতা এবং টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত থাকে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রশাসনিক শাস্তি ও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছরই ট্রেনের টিকিটের চাহিদা বেশি থাকার কারণে অতিরিক্ত কোচ সংযোজনসহ নানা উদ্যোগ নেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে স্টেশনগুলোকে কেন্দ্র করে কালোবাজারিরা সক্রিয় থাকে। ঈদের সময় এ চক্র আরও তৎপর হয়। এজন্য চলতি বছর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ টিকিট সংগ্রহের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র দেখানো বাধ্যতামূলক করেছেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

নরসিংদীর মাধবদীতে আবাসিক হোটেলে আবারও চলছে অ’বৈধ কার্যকলাপ।

একজন কর্মকর্তার তদারকিতে বদলেগেছে পশ্চিম রেলের চিত্র

আপডেট সময় ০১:২৭:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ জুলাই ২০২২
প্রতিবছর ঈদ এলেই বেড়ে যায় কালোবাজারিদের দৌরাত্ম্য। নানা কৌশলে রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে যোগসাজশে টিকিট নিয়ে অবৈধ বাণিজ্যে লিপ্ত হয় তারা।
কিন্তু এবার গেলে পশ্চিমে মা ব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদারের সার্বক্ষণিক তদারকিতে বদলে গেছে রাজশাহীসহ পশ্চিমাঞ্চল রেলের চিত্র।
এবার ঈদ এই অঞ্চলে টিকিট কালোবাজারি প্রায় শূন্যের কোঠায়।
 তিনি নিজেই প্রতিদিন কাকডাকা ভোরে  রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে টিকিটের সার্বিক বিষয়ে খোঁজ নেন।  টিকিট কাটা যাত্রীদের সাথে লাইনে দাঁড়িয়ে কুশল বিনিময়, সাধ্যমত আপ্যায়ন করছেন প্রতিনিয়ত। এতে করে যাত্রীরা যেমন খুশি হচ্ছেন অন্যদিকে বিশৃঙ্খলাও নেই বললেই চলে।
জানা গেছে, আগে রেলওয়ের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজেদের নামে ৫-১০টি টিকিট নিতেন। পরে সেগুলো কালোবাজারিদের দিয়ে দিতেন। তারা সেগুলো অধিক দামে বিক্রি করতেন।  তিনি এসব অনিয়ম বন্ধ করে দিয়েছেন। রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট কোনও কর্মকর্তা-কর্মচারী এসব অন্যায় আবদার নিয়ে আসলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
কোরবানের ঈদে যাত্রীসেবায় কঠোর মনিটরিং এবং টিকিট কালোবাজারি রোধে মাঠে রয়েছেন তিনি। এছাড়াও রেলওয়ে স্টেশনে কঠোর নজরদারিতে আছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ট্রেনে যাত্রীসেবায় অসুবিধা দূর করা এবং ট্রেন ভ্রমণের সময় বিভিন্ন স্থানে পাথর ছুঁড়ে মারার বিষয়ে সতর্ক থাকা, টিকিট কালোবাজারি রোধসহ বিভিন্ন বিষয়ে সতর্ক করে মাইকে প্রচার করা হচ্ছে বারবার।
রেলের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যদি যাত্রীসেবায় অসহযোগিতা এবং টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত থাকে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রশাসনিক শাস্তি ও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছরই ট্রেনের টিকিটের চাহিদা বেশি থাকার কারণে অতিরিক্ত কোচ সংযোজনসহ নানা উদ্যোগ নেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে স্টেশনগুলোকে কেন্দ্র করে কালোবাজারিরা সক্রিয় থাকে। ঈদের সময় এ চক্র আরও তৎপর হয়। এজন্য চলতি বছর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ টিকিট সংগ্রহের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র দেখানো বাধ্যতামূলক করেছেন।