হে পদ্মা প্রলয়ংকারী, হে ভীসনা, ভৈরাবী সুন্দরী
হে প্রগলভা,হে প্রবলা, সমুদ্রের যোগ্য সহচরী।
তুমি শুধু নীবিড় আগ্রহ আর পার গো সহীতে একা, তুমি সাগরের প্রিয়তমা, অয়ী দুবীনিতে।
এখানে একই সঙ্গে আপনি উপভোগ করতে পারবেন নদীর রিম ঝিম ,কোমল বাতাস,আর জেলেদের মাছ ধরা, এই জনপদের বাসিন্দাদের পদ্মা নদীতে যাতায়াতের একমাত্র বাহন নৌকা। দিনের বিভিন্ন সময়ে পাখিদের আনাগোনা ও প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য্য ।
যাঁরা শুধু নদী ভালোবাসেন, ভালোবাসেন সবুজ, নির্মল বাতাস, নির্জন অরণ্য, পাখির গান, জন্মভুমি স্বদেশ প্রকৃতির ঘ্রাণ, নদীর বুকে বছর ধরে জেলেদের জালে ধরা পড়া বিভিন্ন মাছের সমাহার, বৃষ্টির দিনে নদীতে শিশিরের টুপটাপ শব্দ, জুম ঘরে অনবরত ঝরে পড়া বৃষ্টির রিমঝিম ছন্দ, নানা রঙের মেঘেদের অবহেলায় উড়ে বেড়ানো, দিয়ারা চরের উপর চরের সিঁড়ি, বৃষ্টির গান, রোদের ঝিলিক, তাদের জন্য পছন্দের জায়গা। নদীর পাড়ে বসে প্রকৃতির রংধনুর অপরূপ সৌন্দর্য্য ভরা এখানে যতভাবে উপভোগ করা যায় আর কোথাও বসে আপনি সেটা পারবেন না।
কীভাবে যাবেন: রাজশাহী জেলা সদর থেকে ৩০কিলোমিটার পশ্চিমে গোদাগাড়ী মডেল থানার সামনে এই পদ্মা পাড় এলাকা।বাঙালির আজন্ম দুর্বলতা আছে বোধ হয় এই পদ্মা নদী ও বরেন্দ্রভূমি অঞ্চলের প্রতি।
এখনো পাবেন অতীতের অনেকের ছোট বেলার একটা স্বাদ। ইতিহাসের সঙ্গে যদি থাকে বাংলা সাহিত্যের প্রতি দুর্বলতা তাহলে রাজশাহী, গোদাগাড়ীর চিরসবুজের মায়া আপনাকে কিছুতেই ছাড়বে না। রবীন্দ্রনাথ, , জীবনানন্দের স্মৃতির সঙ্গে বা স্কুল জীবনে শিশু কালে কাগজে মোড়ানো বৃদ্ধা কাকার ঝালমুড়ি নিজের স্মৃতি জড়িয়ে রাখাটা এখানে না এলে পূরণ হবে না।