সরকারের অন্যান্য বিভাগের ন্যায় প্রযুক্তি ও উপযুক্ত দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ। সরকারের ভিশন-২০২১ এর দীর্ঘমেয়াদি ১০টি লক্ষ্যের মধ্যে প্রতিটি থানায় ২০২১ সালের মধ্যে ইলেকট্রনিক এফআইআর ও জিডি চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। আজ সেটি পূর্ণতা পেলো।
মঙ্গলবার (২১ জুন) বিকেলে ৫টা রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অনলাইন জিডি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এছাড়া পদ্মা সেতু উত্তর ও দক্ষিণ থানার উদ্বোধন, বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃক দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মিত ১২০টি গৃহ হস্তান্তর, পুলিশ হাসপাতালসমূহের আধুনিকায়ন প্রকল্পের আওতায় ১২টি পুলিশ হাসপাতাল, ৬টি নারী ব্যারাকের উদ্বোধন করেন তিনি।
উল্লেখ্য, অনলাইন জিডি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রতিটি থানা ও তাদের নিয়ন্ত্রণকারী সার্কেল, জোন কিংবা জেলা বা মেট্রো ইউনিটসহ সকল পর্যায়ে প্রায় ৬ হাজার ৬০০ পুলিশ কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে প্রশিক্ষিত করে অনলাইন জিডি চালু করার সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ পুলিশ বর্তমানে প্রতিরোধমূলক পুলিশিংয়ের ক্ষেত্রে ব্যাপক সক্ষমতা অর্জন করেছে। প্রযুক্তির সদ্ব্যবহারের কারণে এই প্রযুক্তি ব্যবহারের সক্ষমতা পুলিশের অর্জন করা মুজিববর্ষের শ্রেষ্ঠ উপহার বলে উল্লেখ করছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা অনলাইন জিডি ব্যাবহারে দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে অনুসন্ধানে গুণগত মান উন্নয়ন ও তদন্তে গতিশীলতা আনতে সক্ষম হবেন। একই সাথে তদারককারী কর্মকর্তারা এ সফটওয়্যারের সহায়তায় অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবেন। এতে বিচারপ্রার্থী সাধারণ জনগণ উপকৃত হবে। তাছাড়া সেবা প্রার্থী জনগণ সহজে এ সুবিধা ব্যবহার করতে পারবেন।
অনলাইন জিডির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন-নিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আক্তার হোসেন ও পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড.বেনজীর আহমেদ প্রমুখ।