ডিজিটাল বাংলাদেশে , ডিজিটাল জনশুমারি।
আগামী ১৫ জুন থেকে দেশে শুরু হচ্ছে ষষ্ঠ ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২ । দেশে প্রথম এবার ভিজিটার পদ্ধতিতে জনশুমারি কার্যক্রম শুরু হবে বলে জাতীয় সংসদে এ কথা জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. এ মান্নান।
দেশের প্রথম ডিজিটাল এই জন ও গৃহশুমারি উপলক্ষ্যে ১৪ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন বলেও জানান মন্ত্রী।
সপ্তাহব্যাপী ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২’ কার্যক্রম ২১ জুন শেষ হবে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে।
শুমারি শুরুর আগে ১৪ জুন রাত ১২টাকে ‘শুমারি রেফারেন্স পয়েন্ট/সময়’ হিসেবে ধার্য করা হয়েছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের বরাত দিয়ে সোমবার এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে এ কথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, এবারই প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনশুমারি কার্যক্রম পরিচালিত হতে যাচ্ছে। একটি ওয়েবভিত্তিক ইনটিগ্রেটেড সেনসাস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইসিএমএস) প্রস্তুতসহ জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেমে (জিআইএস) গণনা এলাকার বিভিন্ন পর্যায়ের কন্ট্রোল ম্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে।
জনশুমারির তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রমে শুমারি কর্মী হিসেবে সারা দেশে প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার গণনাকারী, ৬৪ হাজার সুপারভাইজার এবং বিবিএস-এর সাড়ে ৪ হাজারের বেশি কর্মচারী এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকবেন। এছাড়াও বিবিএসের বাইরে বিভিন্ন সরকারি দফতরের প্রায় ৯০০ জন কর্মচারী জোনাল অফিসার হিসেবে দায়িত্বপালন করবে। জনশুমারির তথ্য সংগ্রহ চলবে ১৫ থেকে ২১ জুন
শুমারিতে সঠিক তথ্য দিতে উদ্বুদ্ধকরণ বিষয়ক গান, নাটিকা, ডকুড্রামা, শুমারি কাউন্ট ডাউন, ডকুমেন্টারি দেশের সব সরকারি-বেসরকারি গণমাধ্যমে প্রচার করা হবে। জেলা তথ্য অফিসের মাধ্যমে স্থানীয় ক্যাবল টিভিতে জনশুমারি প্রচার, প্রচার সামগ্রী বিতরণ, ডকুমেন্টারি প্রচারসহ শুমারি চলাকালে মাইকিং করা হবে।
উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় ১৯৭৪ সালে প্রথম আদমশুমারি ও গৃহগণনা পরিচালিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় দশ বছর পর-পর ১৯৮১, ১৯৯১, ২০০১ এবং ২০১১ সালে যথাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম আদমশুমারি ও গৃহগণনা অনুষ্ঠিত হয়।