Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the all-in-one-wp-security-and-firewall domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home2/nababani/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
রাজশাহীর পদ্মায় বাড়ছে পানি ,ভাঙ্গছে পাড়
ঢাকা ০৯:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীর পদ্মায় বাড়ছে পানি ,ভাঙ্গছে পাড়

ফাইল ছবি

 পদ্মানদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। উজান থেকে গত এক সপ্তাহ ধরে নদীতে পানি আসছে। নতুন পানিতে ভেসে আসছে কচুরিপানা। তা দেখে নদীভাঙনের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, ভাঙন ঠেকাতে তাদের প্রস্তুতি আছে। ভাঙন দেখা দিলে জরুরি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
 রাজশাহী শহরের জন্য পদ্মার পানির বিপৎসীমা ১৮ দশমিক ৫০ মিটার। সর্বশেষ ২০১৩ সালে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছিল। গতবছর ভরা মৌসুমে পানির উচ্চতা হয়েছিল ১৭ দশমিক ৭১ মিটার। এতেই শহরের পদ্মাপাড়ের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছিল। জেলার গোদাগাড়ী, পবা, চারঘাট ও বাঘার চরাঞ্চলে পানি ঢুকেছিল। অনেকের ঘরবাড়ি নদীতে হারিয়ে গেছে।
রাজশাহী পাউবোর গেজ রিডার এনামুল হক শহরের টি-বাঁধ এলাকায় পদ্মার পানির উচ্চতা পরিমাপকালে জানান, এবার শুষ্ক মৌসুমে পদ্মার টি-বাঁধ পয়েন্টে সবচেয়ে কম পানির উচ্চতা ছিল ৮ দশমিক ৭৩ মিটার। চলতি মাসেরই ১৩ ও ১৪ তারিখে ছিল এই উচ্চতা। এরপর ১৭ মে থেকে পানি একটু একটু করে বাড়তে শুরু করেছে। গত ১৭ মে ভোর ৬টায় পানির উচ্চতা ছিল ৮ দশমিক ৭৫ মিটার। এরপর ১৮ মে ৮ দশমিক ৮২ মিটার, ১৯ মে ৯ মিটার ২০ মে ৯ দশমিক ১৫ মিটার, ২১ মে ৯ দশমিক ২৪ মিটার, ২২ মে ৯ দশমিক ২৬ মিটার, ২৩ মে ৯ দশমিক ২৯ মিটার, ২৪ মে ৯ দশমিক ৩৮ মিটার, ২৫ মে ৯ দশমিক ৪৪ মিটার হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় পানির উচ্চতা স্থিতিশীল ছিল। এনামুল হক বলেন, গত কয়েক বছরের হিসাব অনুযায়ী মে মাসের শেষভাগ থেকে জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত পানির উচ্চতা এ রকমই থাকবে। নদীতে পানি এখন একটু বাড়বে, একটু কমবে -এভাবেই এই সময়টা যাবে। তবে জুনের ২০ তারিখের পর পানি বাড়তে শুরু করবে।
এদিকে নদীতে নতুন পানি দেখে আতঙ্ক বাড়ছে ভাঙ্গনপ্রবণ এলাকার বাসিন্দাদের মাঝে। রাজশাহীর চারঘাট থেকে ভাটিতে বাঘা উপজেলার চার কিলোমিটার এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকায় সেখানে এখন তাঁর সংরক্ষণ কাজ চলছে। কিন্তু পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ না হওয়ায় কাজ চলছে ঢিমেতালে। পানির তোড়ে অসমাপ্ত কাজ নদীতে ধসে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এ ছাড়া গোদাগাড়ী উপজেলার নিমতলা, খাবিজাগাতি, আলীপুর ও মোল্লাপাড়া এলাকায় গতবছর ব্যাপক নদীভাঙন হয়। এবারও সেখানে নদীভাঙনের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। তাই ওই এলাকায় স্থায়ীভাবে নদী তীর সংরক্ষণে প্রকল্প গ্রহণের জন্য সম্প্রতি স্থানীয়রা পদ্মা পারেই দীর্ঘ মানববন্ধন করেছেন।ওই এলাকার বাসিদা বাংলাদেশের
ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী জেলা বাংলাদেশ ও আকাশ পার্টির রাজশাহী জেলাসভাপতি রফিকুল ইসলাম পিয়ারুল বলেন, আমাদের এই এলাকার পদ্মা পারে দীর্ঘ সময় ধরে মানুষজন বসবাস করে আসছেন।
নদীপাড়ের জমিতে সবজিচাষ, আমবাগান ও গবাদিপশু পালন করে তারা জীবিকানির্বাহ করেন। এই এলাকাটি গতবছর থেকে ভাঙছে বলে সবাই উদ্বিগ্ন ।
এলাকাটি ভেঙে গেলে মানুষের জীবিকার পথ বন্ধ হয়ে যাবে। মানুষগুলো জমি কিনে অন্য জায়গায় আর বাড়ি করতে পারবেনা। তারা ভিক্ষুকে পরিণত হবে।
তাই আমরা তাঁর রক্ষায় দ্রুত প্রবর চাচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাউবে রাজশাই উপ-বিভাগীয় প্রকৌশল সারওয়ার-ই জাহান বলেন গোদাগাড়ীর নদী তীর সংরক্ষণে নিয়মিত কোন প্রকল্প নেই। একা গ্রহণের জন্য আমরা বোর্ডে লিখেছি। এই প্রকল্প অনুমোদনে আগে এবার যদি ভাঙন দেখা দেয় তাহলে সেখানে যেন জরুরিভিত্তিতে জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকাে যায় তার জন্যও প্রস্তুতি আছে। বাঘা-চারঘাটের কাজ দ্রুত এগি নেয়ার চেষ্টা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, অসমাপ্ত কাজের মাঝে যদি  ভাঙ্গন দেখা দেয় তাহলে সেখানে জিওব্যাগ ফেলা হবে।
জনপ্রিয় সংবাদ

নরসিংদীর মাধবদীতে আবাসিক হোটেলে আবারও চলছে অ’বৈধ কার্যকলাপ।

রাজশাহীর পদ্মায় বাড়ছে পানি ,ভাঙ্গছে পাড়

আপডেট সময় ০৬:৩১:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ মে ২০২২
 পদ্মানদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। উজান থেকে গত এক সপ্তাহ ধরে নদীতে পানি আসছে। নতুন পানিতে ভেসে আসছে কচুরিপানা। তা দেখে নদীভাঙনের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, ভাঙন ঠেকাতে তাদের প্রস্তুতি আছে। ভাঙন দেখা দিলে জরুরি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
 রাজশাহী শহরের জন্য পদ্মার পানির বিপৎসীমা ১৮ দশমিক ৫০ মিটার। সর্বশেষ ২০১৩ সালে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছিল। গতবছর ভরা মৌসুমে পানির উচ্চতা হয়েছিল ১৭ দশমিক ৭১ মিটার। এতেই শহরের পদ্মাপাড়ের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছিল। জেলার গোদাগাড়ী, পবা, চারঘাট ও বাঘার চরাঞ্চলে পানি ঢুকেছিল। অনেকের ঘরবাড়ি নদীতে হারিয়ে গেছে।
রাজশাহী পাউবোর গেজ রিডার এনামুল হক শহরের টি-বাঁধ এলাকায় পদ্মার পানির উচ্চতা পরিমাপকালে জানান, এবার শুষ্ক মৌসুমে পদ্মার টি-বাঁধ পয়েন্টে সবচেয়ে কম পানির উচ্চতা ছিল ৮ দশমিক ৭৩ মিটার। চলতি মাসেরই ১৩ ও ১৪ তারিখে ছিল এই উচ্চতা। এরপর ১৭ মে থেকে পানি একটু একটু করে বাড়তে শুরু করেছে। গত ১৭ মে ভোর ৬টায় পানির উচ্চতা ছিল ৮ দশমিক ৭৫ মিটার। এরপর ১৮ মে ৮ দশমিক ৮২ মিটার, ১৯ মে ৯ মিটার ২০ মে ৯ দশমিক ১৫ মিটার, ২১ মে ৯ দশমিক ২৪ মিটার, ২২ মে ৯ দশমিক ২৬ মিটার, ২৩ মে ৯ দশমিক ২৯ মিটার, ২৪ মে ৯ দশমিক ৩৮ মিটার, ২৫ মে ৯ দশমিক ৪৪ মিটার হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় পানির উচ্চতা স্থিতিশীল ছিল। এনামুল হক বলেন, গত কয়েক বছরের হিসাব অনুযায়ী মে মাসের শেষভাগ থেকে জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত পানির উচ্চতা এ রকমই থাকবে। নদীতে পানি এখন একটু বাড়বে, একটু কমবে -এভাবেই এই সময়টা যাবে। তবে জুনের ২০ তারিখের পর পানি বাড়তে শুরু করবে।
এদিকে নদীতে নতুন পানি দেখে আতঙ্ক বাড়ছে ভাঙ্গনপ্রবণ এলাকার বাসিন্দাদের মাঝে। রাজশাহীর চারঘাট থেকে ভাটিতে বাঘা উপজেলার চার কিলোমিটার এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকায় সেখানে এখন তাঁর সংরক্ষণ কাজ চলছে। কিন্তু পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ না হওয়ায় কাজ চলছে ঢিমেতালে। পানির তোড়ে অসমাপ্ত কাজ নদীতে ধসে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এ ছাড়া গোদাগাড়ী উপজেলার নিমতলা, খাবিজাগাতি, আলীপুর ও মোল্লাপাড়া এলাকায় গতবছর ব্যাপক নদীভাঙন হয়। এবারও সেখানে নদীভাঙনের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। তাই ওই এলাকায় স্থায়ীভাবে নদী তীর সংরক্ষণে প্রকল্প গ্রহণের জন্য সম্প্রতি স্থানীয়রা পদ্মা পারেই দীর্ঘ মানববন্ধন করেছেন।ওই এলাকার বাসিদা বাংলাদেশের
ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী জেলা বাংলাদেশ ও আকাশ পার্টির রাজশাহী জেলাসভাপতি রফিকুল ইসলাম পিয়ারুল বলেন, আমাদের এই এলাকার পদ্মা পারে দীর্ঘ সময় ধরে মানুষজন বসবাস করে আসছেন।
নদীপাড়ের জমিতে সবজিচাষ, আমবাগান ও গবাদিপশু পালন করে তারা জীবিকানির্বাহ করেন। এই এলাকাটি গতবছর থেকে ভাঙছে বলে সবাই উদ্বিগ্ন ।
এলাকাটি ভেঙে গেলে মানুষের জীবিকার পথ বন্ধ হয়ে যাবে। মানুষগুলো জমি কিনে অন্য জায়গায় আর বাড়ি করতে পারবেনা। তারা ভিক্ষুকে পরিণত হবে।
তাই আমরা তাঁর রক্ষায় দ্রুত প্রবর চাচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাউবে রাজশাই উপ-বিভাগীয় প্রকৌশল সারওয়ার-ই জাহান বলেন গোদাগাড়ীর নদী তীর সংরক্ষণে নিয়মিত কোন প্রকল্প নেই। একা গ্রহণের জন্য আমরা বোর্ডে লিখেছি। এই প্রকল্প অনুমোদনে আগে এবার যদি ভাঙন দেখা দেয় তাহলে সেখানে যেন জরুরিভিত্তিতে জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকাে যায় তার জন্যও প্রস্তুতি আছে। বাঘা-চারঘাটের কাজ দ্রুত এগি নেয়ার চেষ্টা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, অসমাপ্ত কাজের মাঝে যদি  ভাঙ্গন দেখা দেয় তাহলে সেখানে জিওব্যাগ ফেলা হবে।