রাজশাহী মহানগরীর লক্ষীপুরে একটি ঔষধের দোকানে হামলার ঘটনায় মামলা নেয়নি ওসি। প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন রাজশাহীর সকল ঔষধ ব্যবসায়ীবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ বলেন, ১০ এপ্রিল রাজশাহী লক্ষীপুর আস্থা ফার্মেসীতে অর্তকিত হামলা চালায় দূর্বিতরা। উক্ত ঘটনায় সেইদিন রাজপাড়া থানায় ঘটনার বরাতে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু উপরের অদৃশ্য চাপে ওসি মামলা নিতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন। অথচ এই হামলার সম্পূর্ণ সিসিটিভি ফুটেজ ফার্মেসীর পক্ষে স্বাক্ষ্য দেয়। তবুও পুলিশ কেন আমাদের মামলা না নিয়ে হামলাকারীদের মামলা নিলো তা আমাদের বোধ্যগম্য হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, গত ১০ এপ্রিলের ঘটনার সময় উপস্থিত ঔষধ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জানা সংক্ষিপ্ত বিররনী তুলে ধরে বলেন, সেইদিন আস্থা ফার্মেসীর মালিক ও দোকানের কর্মচারীরা স্বাভাবিক দিনের মত ব্যবসার কাজে ব্যস্ত ছিলো। এক দম্পতি সেদিন ঔষধ নেয়ার
জন্য কিছু ঔষধের হিসাব করছিলাে, হঠাৎ তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বলতে থাকে ঔষধের দাম
বেশি, ঔষধ গুলাে অন্য দোকান থেকে নিবাে। তার কথার প্রেক্ষিতে দোকানি তাকে আর
কিছুই বলে নাই। তবে তারা দোকানদারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে,
এক পর্যায়ে তারা চলে যায়। তার কিছুক্ষন পর তারা আবারাে ফিরে আসে এবং
গালিগালাজ করতে থাকে দোকানীরা কোন কাষ্টমারকে কিছু না বললেও তারা
দোকানীদের উপর চড়াও হতে থাকে একপর্যয়ে তারা আস্থা ফার্মেসীর মালিক বাবুকে মারধর করতে শুরু করে এবং সিটিটিভির ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় প্রায় ৮ থেকে ৯ জন পুরুষ মহিলা হামলাকারী তাদের উপর চড়াও হয়ে হামলা করে । ফিল্মি স্টাইলে দোকালে হামলা চালায় তারা।
নিরুপাই হয়ে পুলিশের দারস্থ হলেও পুলিশ নিরব ভুমিকা পালন করে। ওসি রাজপাড়া
এ ঘটনার আসামীর পক্ষের পক্ষপাতিত্বে করে অন্যায় ভাবে তাদের মামলা নেয়। কোন
অদৃশ্য শক্তির বলে পুলিশও নিরুপায় তা আমাদের জানা নেই। তবে আমরা এই ঘটনার
সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিচাই ।।
সংবাদ সম্মেলনে ঔষধ ব্যবসায়ীরা আগামী ৩কার্যদিবসের মধ্যে থানা যদি আস্থা ঔষধ ফার্মেসীর মালিকের মামলা না নেয় তবে আগামী ২১ শে এপ্রিল অর্ধদিবস ঔষধের দোকান বন্ধ করে প্রতিবাদ জানানো এবং আগামীতে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ার দেয়া হয়।
আজ (১৭এপ্রিল) রবিবার বেলা ১২টায় লক্ষীপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ কেমিষ্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট অ্যাসোসিয়েশন রাজশাহী শাখার কার্যালয়ে ঔষধ ব্যবসায়ীদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রফিকুল ইসলাম শামীম, মাফাচিয়েতুল ইসলাম, আনসারুল ইসলাম, শফিকুজ্জামান সুব্র ও আলম খান ডাবলু প্রমুখ।
এ বিষয়ে রাজপাড়া থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ব্যবসায়ীরা অভিযোগ দিয়েছে সেটা তদন্ত করছি। হামলাকারীদের পক্ষে মামলা নিলেন কেন, জানতে চাইলে তিনি কারা হামলাকারী তা তদন্তের বিষয়। এ সময় সাংবাদিকের কথার অগ্রাহ্য বা তাচ্ছিল্যভাবে জবাব দেন তিনি।