বাংলা পঞ্জিকায় শেষ দিন ‘চৈত্র সংক্রান্তি’। আজ বুধবার (১৩ এপ্রিল) শেষে সমাপ্তি ঘটবে ১৪২৮। এ চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে বাংলাদেশে প্রাচীনকাল থেকে চলে আসছে নানা অনুষ্ঠান-পূজা-পার্বণ-মেলা। তারই ধারাবাহিকতায় চৈত্র সংক্রান্তি পালনে রাজধানীসহ সারাদেশে চলছে নানা ধরনের অনুষ্ঠান।
জানা গেছে, চৈত্র সংক্রান্তি উৎসব ১৪২৯ উপলক্ষে পালাগানের আয়োজন করেছে উন্মুক্ত লাইব্রেরি। আজ রাত ৮টায় সঙ্গীত পরিবেশন করবেন আরিফ দেওয়ান, রোজিনা দেওয়ান, গাজির পট।
চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন। আজ সন্ধ্যা সাতটায় জাতীয় নাট্যশালা পরীক্ষণ থিয়েটার হলে এ আয়োজন করা হবে।
এদিন কবিতা, গান ও আলাপনের আয়োজন করেছে হারবোলা নামের একটি সংগঠন। বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পরিবাগে সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে এ আয়োজন করা হয়েছে।
চৈত্র সংক্রান্তিতে আলপনার আয়োজন করেছে দাগ আর্ট স্টেশন। সকাল ১০টায় নারায়ণগঞ্জ চারুকলায় প্রবেশ পথে এ আয়োজন করা হয়েছে। এতে সহযোগিতা করছে নারায়ণগঞ্জ চারুকলা ইনস্টিটিউট।
বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট জাগো নিউজকে বলেন, এ বছর চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে আমাদের কোনো আয়োজন নেই। তবে মঙ্গলশোভাযাত্রার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পেয়েছি। এটা ধর্ম নিরপেক্ষ বাংলাদেশ। সেজন্যই পাকিস্তান থেকে সরে আসছি আমরা। এখন যে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট দিয়ে বিশাল অনুষ্ঠান হয়। সেখানে কিন্তু কোনো হুমকি থাকে না, সব হুমকি পহেলা বৈশাখে। ২টার মধ্যে নাকি অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে। এ ধরনের খড়গ কেন আসবে এটা আমার প্রশ্ন।
এদিকে আগামীকাল পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে রচিত পোস্টার নকশার প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে মঙ্গল শোভাযাত্রা গবেষণা ও প্রসার কেন্দ্র। পোস্টার তৈরির জন্য নকশা প্রণয়ন কর্মশালার উদ্বোধন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান।
এছাড়াও সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে পালন করছে চৈত্র সংক্রান্তি। একইভাবে সারাদেশে বিভাগীয় শহর ও উপজেলাগুলোতেও লাঠি খেলা, পুথি পাঠ, পুতুলনাচ, পালাগান,গম্ভীরা ও রায়বেশের মতো লোকসংস্কৃতির নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে চৈত্র সংক্রান্তি উৎসব।