ঢাকা ১০:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাদ্দাফির কাছ থেকে অর্থ গ্রহণের অভিযোগে বিচার শুরু সারকোজির

সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজির বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য অবৈধ অর্থ নেওয়ার অভিযোগে আজ সোমবার থেকে বিচার শুরু হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচারণার জন্য লিবিয়ার প্রয়াত প্রেসিডেন্ট মুয়াম্মার গাদ্দাফির কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়েছিলেন তিনি। এ জন্য দুজনের মধ্যে অবৈধ চুক্তিও ছিল। তবে সারকোজি এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।

 

সারকোজি ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সের ক্ষমতায় ছিলেন। ক্ষমতা ছাড়ার পর দুটি পৃথক মামলায় তিনি অভিযুক্ত হয়েছেন। সারকোজির বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও তিনি ফ্রান্সের রাজনীতিতে প্রভাবশালী এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর সঙ্গে নিয়মিত সাক্ষাৎ করেন তিনি।

৬৯ বছর বয়সী সারকোজির বিরুদ্ধে আরও একটি মামলায় অভিযোগ করা ছাড়াও দুটি মামলায় তদন্ত চলছে। গত ডিসেম্বরে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ আদালত দুর্নীতি ও প্রভাব বিস্তারের দায়ে তাঁর সাজা বহাল রাখেন। সারকোজিকে কারাগারে যাওয়ার পরিবর্তে এক বছরের জন্য ইলেকট্রনিক ব্রেসলেট পরার নির্দেশ দেওয়া হয়, যা দেশটির সাবেক রাষ্ট্রপ্রধানের জন্য প্রথম। এর মধ্যেই অবৈধ অর্থ নেওয়ার অভিযোগে বিচার শুরু হচ্ছে।

তদন্তকারীদের অভিযোগ, নির্বাচনে জিততে লিবিয়া সরকারের কাছ থেকে অবৈধ অর্থ নেন সারকোজি। লিবিয়ার গুপ্তচর, একজন সাজাপ্রাপ্ত সন্ত্রাসী, অস্ত্র ব্যবসায়ী এবং গাদ্দাফি সারকোজির নির্বাচনী প্রচারণায় সহায়তা করেছিলেন। দোষী সাব্যস্ত হলে সারকোজির ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

 

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নীলফামারী ছাত্রঅধিকার পরিষদের ২০২৫ সালের কমিটি গঠন সভাপতি একে উদার, সেক্রেটারি রাকিব হোসাইন

গাদ্দাফির কাছ থেকে অর্থ গ্রহণের অভিযোগে বিচার শুরু সারকোজির

আপডেট সময় ১১:২৩:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫

সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজির বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য অবৈধ অর্থ নেওয়ার অভিযোগে আজ সোমবার থেকে বিচার শুরু হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচারণার জন্য লিবিয়ার প্রয়াত প্রেসিডেন্ট মুয়াম্মার গাদ্দাফির কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়েছিলেন তিনি। এ জন্য দুজনের মধ্যে অবৈধ চুক্তিও ছিল। তবে সারকোজি এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।

 

সারকোজি ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সের ক্ষমতায় ছিলেন। ক্ষমতা ছাড়ার পর দুটি পৃথক মামলায় তিনি অভিযুক্ত হয়েছেন। সারকোজির বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও তিনি ফ্রান্সের রাজনীতিতে প্রভাবশালী এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর সঙ্গে নিয়মিত সাক্ষাৎ করেন তিনি।

৬৯ বছর বয়সী সারকোজির বিরুদ্ধে আরও একটি মামলায় অভিযোগ করা ছাড়াও দুটি মামলায় তদন্ত চলছে। গত ডিসেম্বরে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ আদালত দুর্নীতি ও প্রভাব বিস্তারের দায়ে তাঁর সাজা বহাল রাখেন। সারকোজিকে কারাগারে যাওয়ার পরিবর্তে এক বছরের জন্য ইলেকট্রনিক ব্রেসলেট পরার নির্দেশ দেওয়া হয়, যা দেশটির সাবেক রাষ্ট্রপ্রধানের জন্য প্রথম। এর মধ্যেই অবৈধ অর্থ নেওয়ার অভিযোগে বিচার শুরু হচ্ছে।

তদন্তকারীদের অভিযোগ, নির্বাচনে জিততে লিবিয়া সরকারের কাছ থেকে অবৈধ অর্থ নেন সারকোজি। লিবিয়ার গুপ্তচর, একজন সাজাপ্রাপ্ত সন্ত্রাসী, অস্ত্র ব্যবসায়ী এবং গাদ্দাফি সারকোজির নির্বাচনী প্রচারণায় সহায়তা করেছিলেন। দোষী সাব্যস্ত হলে সারকোজির ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।