ঢাকা ০৯:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৪৮ ঘণ্টার অবরোধে পুড়লো ৩১ যানবাহন

রুহুল কবির রিজভী ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন

বিএনপি-জামায়াতের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শেষ হয়েছে। অবরোধে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাত্রীবাহী বাসসহ অন্তত ৩১টি যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১৯টি যানবাহন পুড়েছে প্রথমদিন। দ্বিতীয় দিন পোড়ানো হয়েছে ১২টি যানবাহন। এছাড়া, পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ এবং বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে।

গত রোববার (৫ নভেম্বর) ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) ভোর ৬টা পর্যন্ত টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ডাকা হয়। তবে অবরোধ শুরুর আগেই রাজধানীতে বাসে আগুন দেওয়া শুরু করে দুর্বৃত্তরা।

এমনকি অবরোধের আগের রাত শনিবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুনের ঘটনা ঘটে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।

এদিকে মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিরতি দিয়ে বুধবার (৮ নভেম্বর) ভোর ৬টা থেকে শুক্রবার (১০ নভেম্বর) ভোর ৬টা পর্যন্ত তৃতীয় দফায় টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের ডাক দিয়েছে বিএনপি। তাদের কর্মসূচির সঙ্গে মিল রেখে জামায়াতে ইসলামীও অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে।

অজ্ঞাত স্থান থেকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন করে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। রিজভী বলেন, বুধবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি।

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহের ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বড় ধরনের সমাবেশ করে বিএনপি, জামায়াত ও আওয়ামী লীগ। সেদিন দুপুরের দিকে বিএনপির সমাবেশে আসা লোকজনের সঙ্গে কাকরাইল মোড়ের কাছে আওয়ামী লীগের সমাবেশগামী লোকজনের সংঘর্ষ শুরু হয়।

পুলিশ সেখানে হস্তক্ষেপ করার পর এক পর্যায়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা হয় এবং বেশকিছু গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। উপস্থিত সাংবাদিকদেরও ব্যাপক মারধর করা হয়।

এরপর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও উপর্যুপরি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে বিএনপির সমাবেশ ভন্ডুল করে দেয়। এর ফলে সংঘর্ষ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

এক পর্যায়ে এক পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়, পুলিশের বহু সদস্যকে পিটিয়ে আহত করা হয় এবং পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়ে কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।

সমাবেশ বানচালের প্রতিবাদে পরদিন ২৯ অক্টোবর বিএনপি হরতাল পালন করে। হরতালের দিন সকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি এখন কারাগারে আছেন।

হরতালের পর একদিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা ৩ দিনের অবরোধ কর্মসূচি দেয় বিএনপি-জামায়াত। ওই কয়েকদিনে মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেনসহ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার অভিযান এখনো অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। সবশেষ গ্রেপ্তার করা হয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুকে। এছাড়া গত কয়েকদিনে সাবেক জাতীয় ফুটবলার আমিনুল হকসহ বিএনপির জাতীয় পর্যায়ের অনেক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

বান্দরবানকে স্মার্ট পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে: ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ।

৪৮ ঘণ্টার অবরোধে পুড়লো ৩১ যানবাহন

আপডেট সময় ০৪:৩৮:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর ২০২৩

বিএনপি-জামায়াতের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শেষ হয়েছে। অবরোধে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাত্রীবাহী বাসসহ অন্তত ৩১টি যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১৯টি যানবাহন পুড়েছে প্রথমদিন। দ্বিতীয় দিন পোড়ানো হয়েছে ১২টি যানবাহন। এছাড়া, পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ এবং বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে।

গত রোববার (৫ নভেম্বর) ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) ভোর ৬টা পর্যন্ত টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ডাকা হয়। তবে অবরোধ শুরুর আগেই রাজধানীতে বাসে আগুন দেওয়া শুরু করে দুর্বৃত্তরা।

এমনকি অবরোধের আগের রাত শনিবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুনের ঘটনা ঘটে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।

এদিকে মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিরতি দিয়ে বুধবার (৮ নভেম্বর) ভোর ৬টা থেকে শুক্রবার (১০ নভেম্বর) ভোর ৬টা পর্যন্ত তৃতীয় দফায় টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের ডাক দিয়েছে বিএনপি। তাদের কর্মসূচির সঙ্গে মিল রেখে জামায়াতে ইসলামীও অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে।

অজ্ঞাত স্থান থেকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন করে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। রিজভী বলেন, বুধবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি।

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহের ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বড় ধরনের সমাবেশ করে বিএনপি, জামায়াত ও আওয়ামী লীগ। সেদিন দুপুরের দিকে বিএনপির সমাবেশে আসা লোকজনের সঙ্গে কাকরাইল মোড়ের কাছে আওয়ামী লীগের সমাবেশগামী লোকজনের সংঘর্ষ শুরু হয়।

পুলিশ সেখানে হস্তক্ষেপ করার পর এক পর্যায়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা হয় এবং বেশকিছু গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। উপস্থিত সাংবাদিকদেরও ব্যাপক মারধর করা হয়।

এরপর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও উপর্যুপরি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে বিএনপির সমাবেশ ভন্ডুল করে দেয়। এর ফলে সংঘর্ষ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

এক পর্যায়ে এক পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়, পুলিশের বহু সদস্যকে পিটিয়ে আহত করা হয় এবং পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়ে কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।

সমাবেশ বানচালের প্রতিবাদে পরদিন ২৯ অক্টোবর বিএনপি হরতাল পালন করে। হরতালের দিন সকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি এখন কারাগারে আছেন।

হরতালের পর একদিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা ৩ দিনের অবরোধ কর্মসূচি দেয় বিএনপি-জামায়াত। ওই কয়েকদিনে মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেনসহ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার অভিযান এখনো অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। সবশেষ গ্রেপ্তার করা হয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুকে। এছাড়া গত কয়েকদিনে সাবেক জাতীয় ফুটবলার আমিনুল হকসহ বিএনপির জাতীয় পর্যায়ের অনেক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।