ঢাকা ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
গ্রেফতারকৃত ড্রাইভার মোঃ হৃদয় বেপারী ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছিল

২৪ ঘন্টায় ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনসহ হত্যাকারীকে গ্রেফতার করেছে ডিবি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় ১২:১৮:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ মার্চ ২০২২
  • ৪৩৩ বার পড়া হয়েছে

রাজাধানীর বাড্ডায় গলাকেটে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনসহ ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকারীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম মোঃ হৃদয় বেপারী।

মঙ্গলবার (১৫ মার্চ ২০২২) বিকাল ৪:১০ টায় মধ্যবাড্ডা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে হৃদয়কে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা গুলশান জোনাল টিম।

আজ বুধবার (১৬ মার্চ ২০২২) বেলা ১১:৩০টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার, বিপিএম (বার)।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, সেভেন সার্কেল বাংলাদেশ লিমিটেডের এমআইএস ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন আফরোজা সুলতানা। গত ১৩ মার্চ ২০২২ তারিখে মধ্য বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকার নিজ ভাড়া বাসায় তার গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়। এ ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বাড্ডা থানায় একটি মামলা রুজু হয়। গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ ও গুলশান ক্রাইম বিভাগ যৌথভাবে তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের সহায়তায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে এ ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে ও গ্রেফতার করে হত্যাকারীকে। গ্রেফতারকৃতের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকুটি উদ্ধার করা হয়। ভিকটিমের বাসার পাশের বালুর নিচ হতে লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকারও উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত ড্রাইভার মোঃ হৃদয় বেপারী ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছিল। সে ২০১৫ সাল হতে ভিকটিম আফরোজা সুলতানার ড্রাইভার হিসেবে কাজ করতো। সে অনলাইন জুয়ায় আসক্ত ছিল, ছিল ঋণগ্রস্ত।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত হদয়ের ধারণা ছিল তার ম্যাডামের নিকট অনেক টাকা ও স্বর্ণালংকার আছে। অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্যেই সে উক্ত হত্যাকান্ডটি ঘটায়।

ব্রিফিংকালে ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম ও ডিবি-উত্তর) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার); গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান, বিপিএম, পিপিএম; উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস্ বিভাগ) মোঃ ফারুক হোসেন; গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ কামরুজ্জামান সরদার; গুলশান জোনাল টিমের টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ মাহবুবুল হক সজীব ও মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস্ বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবু তালেবসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান, বিপিএম, পিপিএম এর নির্দেশনায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ কামরুজ্জামান সরদার এর তত্ত্বাবধানে, গুলশান জোনাল টিমের টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ মাহবুবুল হক সজীব এর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

বান্দরবানকে স্মার্ট পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে: ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ।

গ্রেফতারকৃত ড্রাইভার মোঃ হৃদয় বেপারী ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছিল

২৪ ঘন্টায় ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনসহ হত্যাকারীকে গ্রেফতার করেছে ডিবি

আপডেট সময় ১২:১৮:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ মার্চ ২০২২

রাজাধানীর বাড্ডায় গলাকেটে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনসহ ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকারীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম মোঃ হৃদয় বেপারী।

মঙ্গলবার (১৫ মার্চ ২০২২) বিকাল ৪:১০ টায় মধ্যবাড্ডা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে হৃদয়কে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা গুলশান জোনাল টিম।

আজ বুধবার (১৬ মার্চ ২০২২) বেলা ১১:৩০টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার, বিপিএম (বার)।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, সেভেন সার্কেল বাংলাদেশ লিমিটেডের এমআইএস ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন আফরোজা সুলতানা। গত ১৩ মার্চ ২০২২ তারিখে মধ্য বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকার নিজ ভাড়া বাসায় তার গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়। এ ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বাড্ডা থানায় একটি মামলা রুজু হয়। গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ ও গুলশান ক্রাইম বিভাগ যৌথভাবে তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের সহায়তায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে এ ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে ও গ্রেফতার করে হত্যাকারীকে। গ্রেফতারকৃতের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকুটি উদ্ধার করা হয়। ভিকটিমের বাসার পাশের বালুর নিচ হতে লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকারও উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত ড্রাইভার মোঃ হৃদয় বেপারী ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছিল। সে ২০১৫ সাল হতে ভিকটিম আফরোজা সুলতানার ড্রাইভার হিসেবে কাজ করতো। সে অনলাইন জুয়ায় আসক্ত ছিল, ছিল ঋণগ্রস্ত।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত হদয়ের ধারণা ছিল তার ম্যাডামের নিকট অনেক টাকা ও স্বর্ণালংকার আছে। অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্যেই সে উক্ত হত্যাকান্ডটি ঘটায়।

ব্রিফিংকালে ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম ও ডিবি-উত্তর) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার); গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান, বিপিএম, পিপিএম; উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস্ বিভাগ) মোঃ ফারুক হোসেন; গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ কামরুজ্জামান সরদার; গুলশান জোনাল টিমের টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ মাহবুবুল হক সজীব ও মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস্ বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবু তালেবসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান, বিপিএম, পিপিএম এর নির্দেশনায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ কামরুজ্জামান সরদার এর তত্ত্বাবধানে, গুলশান জোনাল টিমের টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ মাহবুবুল হক সজীব এর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।