ঢাকা ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিক্ষায় জাতির মেরুদণ্ড, শিক্ষায় আলো।

রাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিলেন ৫৫ বছর বয়সী বেলায়েত শেখ ।

ফাইল ছবি।

গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকার কেওয়া পশ্চিমখণ্ড গ্রামের মৃত হাসেন আলী শেখ ও জয়গন বিবির ছেলে বেলায়েত শেখ ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করার পর এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ৫৫ বছর বয়সী বেলায়েত শেখ।
 মঙ্গলবার সকালে (রাবি) মমতাজ উদ্দিন আহমেদ একাডেমিক ভবনের ৪০৬ নম্বর কক্ষে এক ঘণ্টার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন তিনি।

পরীক্ষা শেষে বেলায়েত শেখ সাংবাদিকদের বলেন, ১৭ দিন ধরে অসুস্থ থাকায় পরীক্ষার জন্য ভালোমতো প্রস্তুতি নিতে পারেননি। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ভালো হয়েছে।

বেলায়েত শেখ বলেন, ছোটবেলা থেকে তার সাংবাদিকতায় পড়াশোনা করার ইচ্ছে। এখানে ভর্তির সুযোগ পেলে সাংবাদিকতা বিভাগে পড়বেন বলে জানান তিনি। ৫৫ বছর বয়সে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষকরা তাকে  অনেক আন্তরিকতা দেখিয়েছেন, তাতে সে অভিভূত হয়েছেন।

বেলায়েত শেখ ১৯৮৩ সালে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। কিন্তু বাবার অসুস্থতার কারণে লেখা পড়া ছেড়ে পরিবারের হাল ধরেন তিনি। তার লেখাপড়া করার ইচ্ছা ছোট থেকেই ছিল। কিন্তু পরিবারের অভাব অনাটনের কারণে সেটা সম্ভব হয় নি।   ৫০ বছরে পা দিয়ে ভর্তি হন নবম শ্রেণিতে। এরপর উচ্চমাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হওয়ার পর ৫৫ বছর বয়সে এবার তিনি অংশ নিলেন রাজশাহী  বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগের ভর্তি পরীক্ষায়।

নিজের হতাশা এবং আক্ষেপের জায়গা থেকে বেলায়েত শেখ বলেন, ‘সংসারের হাল ধরতে গিয়ে যেহেতু নিজে পড়তে পারিনি, তাই চেয়েছিলাম ভাইদের লেখাপড়া করিয়ে উচ্চশিক্ষিত করব। কিন্তু সেটাও পারিনি। এরপর নিজের সন্তানদের পড়াতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেক্ষেত্রেও হয়েছি ব্যর্থ। বড় ছেলে অনার্সে দুই সেমিস্টারের পর আর পড়েনি। মেয়েটা মেধাবী ছিল। ভেবেছিলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াব। কিন্তু সেটাও পারিনি। পরে নিজের ক্ষোভ থেকেই আমি লেখাপড়া শুরু করি।
” সর্বপরী পড়াশোনা করার কোন বয়স লাগেনা,  মনস্তত্ত্ববল, ইচ্ছা শক্তি থাকলে সবকিছু করা সম্ভব। যা প্রমাণ করলো ৫৫ বছর বয়সী ছাত্র বেলায়েত শেখ।
জনপ্রিয় সংবাদ

বান্দরবানকে স্মার্ট পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে: ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ।

শিক্ষায় জাতির মেরুদণ্ড, শিক্ষায় আলো।

রাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিলেন ৫৫ বছর বয়সী বেলায়েত শেখ ।

আপডেট সময় ১০:৪৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ জুলাই ২০২২
গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকার কেওয়া পশ্চিমখণ্ড গ্রামের মৃত হাসেন আলী শেখ ও জয়গন বিবির ছেলে বেলায়েত শেখ ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করার পর এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ৫৫ বছর বয়সী বেলায়েত শেখ।
 মঙ্গলবার সকালে (রাবি) মমতাজ উদ্দিন আহমেদ একাডেমিক ভবনের ৪০৬ নম্বর কক্ষে এক ঘণ্টার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন তিনি।

পরীক্ষা শেষে বেলায়েত শেখ সাংবাদিকদের বলেন, ১৭ দিন ধরে অসুস্থ থাকায় পরীক্ষার জন্য ভালোমতো প্রস্তুতি নিতে পারেননি। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ভালো হয়েছে।

বেলায়েত শেখ বলেন, ছোটবেলা থেকে তার সাংবাদিকতায় পড়াশোনা করার ইচ্ছে। এখানে ভর্তির সুযোগ পেলে সাংবাদিকতা বিভাগে পড়বেন বলে জানান তিনি। ৫৫ বছর বয়সে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষকরা তাকে  অনেক আন্তরিকতা দেখিয়েছেন, তাতে সে অভিভূত হয়েছেন।

বেলায়েত শেখ ১৯৮৩ সালে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। কিন্তু বাবার অসুস্থতার কারণে লেখা পড়া ছেড়ে পরিবারের হাল ধরেন তিনি। তার লেখাপড়া করার ইচ্ছা ছোট থেকেই ছিল। কিন্তু পরিবারের অভাব অনাটনের কারণে সেটা সম্ভব হয় নি।   ৫০ বছরে পা দিয়ে ভর্তি হন নবম শ্রেণিতে। এরপর উচ্চমাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হওয়ার পর ৫৫ বছর বয়সে এবার তিনি অংশ নিলেন রাজশাহী  বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগের ভর্তি পরীক্ষায়।

নিজের হতাশা এবং আক্ষেপের জায়গা থেকে বেলায়েত শেখ বলেন, ‘সংসারের হাল ধরতে গিয়ে যেহেতু নিজে পড়তে পারিনি, তাই চেয়েছিলাম ভাইদের লেখাপড়া করিয়ে উচ্চশিক্ষিত করব। কিন্তু সেটাও পারিনি। এরপর নিজের সন্তানদের পড়াতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেক্ষেত্রেও হয়েছি ব্যর্থ। বড় ছেলে অনার্সে দুই সেমিস্টারের পর আর পড়েনি। মেয়েটা মেধাবী ছিল। ভেবেছিলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াব। কিন্তু সেটাও পারিনি। পরে নিজের ক্ষোভ থেকেই আমি লেখাপড়া শুরু করি।
” সর্বপরী পড়াশোনা করার কোন বয়স লাগেনা,  মনস্তত্ত্ববল, ইচ্ছা শক্তি থাকলে সবকিছু করা সম্ভব। যা প্রমাণ করলো ৫৫ বছর বয়সী ছাত্র বেলায়েত শেখ।