ঢাকা ০৬:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহী গোদাগাড়ীতে ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

ফাইল ছবি

রাজশাহী জেলা গোদাগাড়ী উপজেলায় রোজ সোমবার ৭/৩/২০২২  বেলা ১১টার সময় ১৯৭১সাল ৭ই মার্চ এর ঐতিহাসিক ভাষণ ও বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শকে ধারণ করতে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এক আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,জনাব মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী  মাননীয় সংসদ সদস্য রাজশাহী ১আসন গোদাগাড়ী, তানোর।বিশেষ অতিথি, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চেয়ারম্যান গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ।সভাপতি, মোহাম্মদ জানে আলম নির্বাহী কর্মকর্তা গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ।উপস্থিত ছিলেন , জননেতা জনাব মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম আলম  সাধারণ সম্পাদক গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামীলীগ।উপস্থিত ছিলেন, জনাব মোঃ আসাদুজ্জামান সহকারী পুলিশ সুপার গোদাগাড়ী, রাজশাহী।উপস্থিত ছিলেন, জনাব মোঃ কামরুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোদাগাড়ী মডেল থানা ।উপস্থিত ছিলেন , জনাব মোঃ আব্দুর  জব্বার কাউন্সিলর  ১নং ওয়ার্ড গোদাগাড়ী পৌরসভা।১৯৭১ সালে ৭ মার্চ এসেছিল এক ধারাবাহিক রাজনৈতিক আন্দোলনের পটভূমিতে। পাকিস্তানের চব্বিশ বছরের ইতিহাস ছিলো শোষণ-বঞ্চনার। দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত কৃত্রিম রাষ্ট্রটি শুরু থেকেই ছিল বাঙালিবৈরি। বাঙালি তার অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম চালিয়ে গেছে অব্যাহতভাবে। এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হয়ে ওঠেন বাঙ্গালি জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। সত্তরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয়ের পরই এটা স্পষ্ট হচ্ছিল যে, পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে না। তারা নানা কৌশলে কালক্ষেপণ করছিল আর বাঙালির বিরুদ্ধে হামলে পড়ার জন্য সামরিক প্রস্তুতি গ্রহণ করছিল। বঙ্গবন্ধু এসব জানতেন। তাই ৭ মার্চের ভাষণে তিনি বাঙালি জাতিকে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতির নির্দেশনা দিয়েছেন।পৃথিবীর সেরা রাজনৈতিক ভাষণের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ব্যতিক্রমী এবং অনন্য। অন্য সব সেরা ভাষণ ছিল লিখিত। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি লিখিত ছিল না। তিনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে তার মনের কথা জনতার উদ্দেশ্যে বলেছেন।  ভাষণ শেখ মুজিব শুরু করেছিলেন জনতাকে ‘আপনি’ সম্বোধনের মাধ্যমে। বলেছিলেন ‘আপনারা সবই জানেন এবং বোঝেন’। তিনি জনতাকে তার সহযাত্রী মনে করেছিলেন। যে সহযাত্রীর সব কিছু সম্পর্কেই ওয়াকিবহাল। উভয়ের দুঃখ-বেদনা আশা-আকাঙ্ক্ষা এক। কেউ কারও চেয়ে কম জানে না বা বোঝে না। প্রকৃত নেতা কখনও তার কর্মী-সমর্থকদের ‘কম বুদ্ধিমান’ মনে করেন না। যেমন করেননি বঙ্গবন্ধু। তিনি শুধু বাস্তবতার দিকগুলো তুল ধরেছেন। সাধারণ মানুষের অনুভূতিগুলোকে নিজের অনুভূতির সঙ্গে ঝালিয়ে নিয়েছেন। একপর্যারে উপস্থিত জনতার সঙ্গে এতোটাই একাত্ম হয়ে পড়েছেন, কখন যে জনতা ‘আপনি’ থেকে ‘তুমি’তে পরিণত হয়ে গেছে তা না-বক্তা, না-শ্রোতা কেউই খেয়াল করেননি। ভাষণের একপর্যায়ে তিনি বলেছিলেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

বান্দরবানকে স্মার্ট পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে: ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ।

রাজশাহী গোদাগাড়ীতে ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

আপডেট সময় ১২:৫৮:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ মার্চ ২০২২

রাজশাহী জেলা গোদাগাড়ী উপজেলায় রোজ সোমবার ৭/৩/২০২২  বেলা ১১টার সময় ১৯৭১সাল ৭ই মার্চ এর ঐতিহাসিক ভাষণ ও বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শকে ধারণ করতে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এক আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,জনাব মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী  মাননীয় সংসদ সদস্য রাজশাহী ১আসন গোদাগাড়ী, তানোর।বিশেষ অতিথি, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চেয়ারম্যান গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ।সভাপতি, মোহাম্মদ জানে আলম নির্বাহী কর্মকর্তা গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ।উপস্থিত ছিলেন , জননেতা জনাব মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম আলম  সাধারণ সম্পাদক গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামীলীগ।উপস্থিত ছিলেন, জনাব মোঃ আসাদুজ্জামান সহকারী পুলিশ সুপার গোদাগাড়ী, রাজশাহী।উপস্থিত ছিলেন, জনাব মোঃ কামরুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোদাগাড়ী মডেল থানা ।উপস্থিত ছিলেন , জনাব মোঃ আব্দুর  জব্বার কাউন্সিলর  ১নং ওয়ার্ড গোদাগাড়ী পৌরসভা।১৯৭১ সালে ৭ মার্চ এসেছিল এক ধারাবাহিক রাজনৈতিক আন্দোলনের পটভূমিতে। পাকিস্তানের চব্বিশ বছরের ইতিহাস ছিলো শোষণ-বঞ্চনার। দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত কৃত্রিম রাষ্ট্রটি শুরু থেকেই ছিল বাঙালিবৈরি। বাঙালি তার অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম চালিয়ে গেছে অব্যাহতভাবে। এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হয়ে ওঠেন বাঙ্গালি জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। সত্তরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয়ের পরই এটা স্পষ্ট হচ্ছিল যে, পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে না। তারা নানা কৌশলে কালক্ষেপণ করছিল আর বাঙালির বিরুদ্ধে হামলে পড়ার জন্য সামরিক প্রস্তুতি গ্রহণ করছিল। বঙ্গবন্ধু এসব জানতেন। তাই ৭ মার্চের ভাষণে তিনি বাঙালি জাতিকে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতির নির্দেশনা দিয়েছেন।পৃথিবীর সেরা রাজনৈতিক ভাষণের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ব্যতিক্রমী এবং অনন্য। অন্য সব সেরা ভাষণ ছিল লিখিত। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি লিখিত ছিল না। তিনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে তার মনের কথা জনতার উদ্দেশ্যে বলেছেন।  ভাষণ শেখ মুজিব শুরু করেছিলেন জনতাকে ‘আপনি’ সম্বোধনের মাধ্যমে। বলেছিলেন ‘আপনারা সবই জানেন এবং বোঝেন’। তিনি জনতাকে তার সহযাত্রী মনে করেছিলেন। যে সহযাত্রীর সব কিছু সম্পর্কেই ওয়াকিবহাল। উভয়ের দুঃখ-বেদনা আশা-আকাঙ্ক্ষা এক। কেউ কারও চেয়ে কম জানে না বা বোঝে না। প্রকৃত নেতা কখনও তার কর্মী-সমর্থকদের ‘কম বুদ্ধিমান’ মনে করেন না। যেমন করেননি বঙ্গবন্ধু। তিনি শুধু বাস্তবতার দিকগুলো তুল ধরেছেন। সাধারণ মানুষের অনুভূতিগুলোকে নিজের অনুভূতির সঙ্গে ঝালিয়ে নিয়েছেন। একপর্যারে উপস্থিত জনতার সঙ্গে এতোটাই একাত্ম হয়ে পড়েছেন, কখন যে জনতা ‘আপনি’ থেকে ‘তুমি’তে পরিণত হয়ে গেছে তা না-বক্তা, না-শ্রোতা কেউই খেয়াল করেননি। ভাষণের একপর্যায়ে তিনি বলেছিলেন।