ঢাকা ০৭:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীতে  লক্ষ্যমাত্রার ১৩ গুণ বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন

সরকারের কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায়

রাজশাহী জেলায় চলতি মৌসুমে এবার চাহিদার ১৩ গুণ বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হবে বলে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি কমিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধির তাগিদে সরকারের কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় সার, উন্নত জাতের বীজ ও নগদ অর্থ প্রদান করায় এবার বাড়বে পেঁয়াজের উৎপাদন।
রাজশাহী কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তিনটি মৌসুমে রাজশাহীতে ২১ হাজার ৩০০ হেক্টোর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এখান থেকে পেঁয়াজের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৩২ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন।
এর মধ্যে তাহেরপুরী জাতের মুড়িকাটা পেঁয়াজ সাত হাজার ৬০০ হেক্টোর জমিতে, এক লাখ ৩৬ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন, তাহেরপুরী জাতের চারা পেঁয়াজ ১২ হাজার ৪০০ হেক্টোর জমিতে দুই লাখ ৬০ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন এবং গ্রীস্মকালীন নাসিক এন-৫৩ জাতের এক হাজার ৩০০ হেক্টোর জমিতে ৩৫ হাজার ১০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রাজশাহীর উপপরিচালক মোজদার হোসেন বলেন, বর্তমানে মুড়িকাটা ও নাসিক এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ উঠছে। রাজশাহীতে রোববার পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার মেট্রিক টন নতুন পেঁয়াজ বাজারে চলে এসেছে। এর মধ্যে দুই দিনেই রাজশাহীর কৃষকরা প্রায় সাত হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ জমি থেকে তুলে বাজারে পাঠিয়েছে।
তিনি বলেন, হটাৎ করে পিয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় কৃষকরা সময়ের আগেই পেঁয়াজ তুলে বাজারে পাঠাচ্ছে। দুই-একদিনের মধ্যে নতুন পেঁয়াজে বাজার ভরে যাবে। ফলে এতে দামও কমে আসবে।
বাজারে ইতোমধ্যেই দাম কমতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে মোজদার হোসেন বলেন, রোববার রাজশাহীর খুচরা বাজারে নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি। একদিনের ব্যবধানে সোমবার সেই পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি।
রাজশাহীতে মে মাসে ওঠে তাহেরপুরী জাতের চারা পেঁয়াজ। এটি দেশি পেঁয়াজ। এর উৎপাদনই হয় ২ লাখ ৬০ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন। এই পেঁয়াজকে আবার বীজ হিসেবেও লাগানো যায়। ওই বীজ থেকে যে পেঁয়াজ হয় তাকে মুড়িকাটা পেঁয়াজ হিসেবে পরিচিত। যা বর্তমানে বাজারে আসছে। এর উৎপাদন হয় ১ লাখ ৩৬ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন।
 রাজশাহীর প্রায় ৩০ লাখ মানুষের দৈনিক ৩০ গ্রাম করে পেঁয়াজের চাহিদা ধরা হয়। এতে জেলায় দৈনিক পেঁয়াজের চাহিদা প্রায় ৯০ মেট্রিক টন। সারা বছরে চাহিদা হয় ৩২ হাজার ৮৫০ মেট্রিক টন। আর জেলায় পেঁয়াজের উৎপাদন হয় প্রায় ৪ লাখ ৩২ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন। এটি জেলার চাহিদার তুলনায় প্রায় ১৩ গুণ বেশি।
তিনি আরো বলেন, জেলায় উদ্বৃত্ত থাকে ৩ লাখ ৯২ হাজার ১৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ। রাজশাহীর সারা বছরের চাহিদা মিটিয়ে এই পেঁয়াজ আমরা দেশের ১৬ কোটি ৮০ লাখ মানুষকে একদিন খাওয়াতে পারব।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

বান্দরবানকে স্মার্ট পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে: ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ।

রাজশাহীতে  লক্ষ্যমাত্রার ১৩ গুণ বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন

আপডেট সময় ০৫:২৫:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩
রাজশাহী জেলায় চলতি মৌসুমে এবার চাহিদার ১৩ গুণ বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হবে বলে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি কমিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধির তাগিদে সরকারের কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় সার, উন্নত জাতের বীজ ও নগদ অর্থ প্রদান করায় এবার বাড়বে পেঁয়াজের উৎপাদন।
রাজশাহী কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তিনটি মৌসুমে রাজশাহীতে ২১ হাজার ৩০০ হেক্টোর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এখান থেকে পেঁয়াজের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৩২ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন।
এর মধ্যে তাহেরপুরী জাতের মুড়িকাটা পেঁয়াজ সাত হাজার ৬০০ হেক্টোর জমিতে, এক লাখ ৩৬ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন, তাহেরপুরী জাতের চারা পেঁয়াজ ১২ হাজার ৪০০ হেক্টোর জমিতে দুই লাখ ৬০ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন এবং গ্রীস্মকালীন নাসিক এন-৫৩ জাতের এক হাজার ৩০০ হেক্টোর জমিতে ৩৫ হাজার ১০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রাজশাহীর উপপরিচালক মোজদার হোসেন বলেন, বর্তমানে মুড়িকাটা ও নাসিক এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ উঠছে। রাজশাহীতে রোববার পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার মেট্রিক টন নতুন পেঁয়াজ বাজারে চলে এসেছে। এর মধ্যে দুই দিনেই রাজশাহীর কৃষকরা প্রায় সাত হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ জমি থেকে তুলে বাজারে পাঠিয়েছে।
তিনি বলেন, হটাৎ করে পিয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় কৃষকরা সময়ের আগেই পেঁয়াজ তুলে বাজারে পাঠাচ্ছে। দুই-একদিনের মধ্যে নতুন পেঁয়াজে বাজার ভরে যাবে। ফলে এতে দামও কমে আসবে।
বাজারে ইতোমধ্যেই দাম কমতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে মোজদার হোসেন বলেন, রোববার রাজশাহীর খুচরা বাজারে নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি। একদিনের ব্যবধানে সোমবার সেই পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি।
রাজশাহীতে মে মাসে ওঠে তাহেরপুরী জাতের চারা পেঁয়াজ। এটি দেশি পেঁয়াজ। এর উৎপাদনই হয় ২ লাখ ৬০ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন। এই পেঁয়াজকে আবার বীজ হিসেবেও লাগানো যায়। ওই বীজ থেকে যে পেঁয়াজ হয় তাকে মুড়িকাটা পেঁয়াজ হিসেবে পরিচিত। যা বর্তমানে বাজারে আসছে। এর উৎপাদন হয় ১ লাখ ৩৬ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন।
 রাজশাহীর প্রায় ৩০ লাখ মানুষের দৈনিক ৩০ গ্রাম করে পেঁয়াজের চাহিদা ধরা হয়। এতে জেলায় দৈনিক পেঁয়াজের চাহিদা প্রায় ৯০ মেট্রিক টন। সারা বছরে চাহিদা হয় ৩২ হাজার ৮৫০ মেট্রিক টন। আর জেলায় পেঁয়াজের উৎপাদন হয় প্রায় ৪ লাখ ৩২ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন। এটি জেলার চাহিদার তুলনায় প্রায় ১৩ গুণ বেশি।
তিনি আরো বলেন, জেলায় উদ্বৃত্ত থাকে ৩ লাখ ৯২ হাজার ১৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ। রাজশাহীর সারা বছরের চাহিদা মিটিয়ে এই পেঁয়াজ আমরা দেশের ১৬ কোটি ৮০ লাখ মানুষকে একদিন খাওয়াতে পারব।