ঢাকা ০৯:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পর্যটনের বিকাশ হলে দেশের সব জেলায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে

রাজশাহীতে পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন সংক্রান্ত বিভাগীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ফাইল ছবি

বাংলাদেশের পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন সংক্রান্ত রাজশাহী বিভাগের অন্তর্ভুক্ত জেলাসমূহের সরকারি ও বেসরকারি পর্যটন অংশীজনদের সমন্বয়ে বিভাগীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) বেলা ১২টায় রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের আয়োজনে বিভাগীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) জাবেদ আহমেদ এঁর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ্ এনডিসি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ্ বলেন, পর্যটনের জন্য বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ দরকার। এছাড়াও অবকাঠামোসহ উন্নত যোগাযোগ ও সেবা দরকার। পর্যটকদের আগমন পদ্ধতি যতো সহজ হবে, এই খাত ততো বেশি বিকোশিত হবে। পর্যটন এখন শুধু পর্যটন নয়, কর্মসংস্থান সৃষ্টিরও বড় সুযোগ। পর্যটনের বিকাশ হলে দেশের সব জেলায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এসব বিষয় মাথায় রেখেই মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে বলে জানা তিনি।
বিভাগীয় কমিশনার আরো বলেন, কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে পর্যটন শিল্প পুনরুদ্ধারে দেশের অভ্যন্তরীণ পর্যটক একটি বড় শক্তি হিসেবে পরিগণিত হতে পারে। সেই লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তৈরি বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের কার্যক্রম প্রান্তিক পর্যায়ে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কোন বিকল্প নেই।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ বলেন, দেশের পর্যটন খাতের উন্নয়নে ২০ বছর মেয়াদী এ মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শুরু করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে দেশের পর্যটন শিল্পের বর্তমান অবস্থা, এর শক্তি কতটুকু, দুর্বলতা কোথায়, সম্ভাবনা কেমন, কোন ধরনের সংকট রয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্ধারণ করা হবে বাংলাদেশের পর্যটনের ভিশন, মিশন, স্ট্র্যাটেজিক অবজেক্টিভস, প্রায়োরিটিস ও লিংকেজ। তৃতীয় পর্যায়ে জোন বা এরিয়া নির্দিষ্ট করে অঞ্চল ভিত্তিক পরিকল্পনা প্রস্তুত করা হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বাংলাদেশের পর্যটনের উন্নয়নের লক্ষ্যে যে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে তাতে সব পর্যায়ের অংশীদারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বদলে যাবে দেশের পর্যটন শিল্পের চিত্র।
উক্ত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. জিয়াউল হক, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) এ,এন,এম, মঈনুল ইসলাম, রাজশাহী বিভাগের স্থানীয় সরকার পরিচালক মো. এনামুল হক ও উপ-পরিচালক ড. চিত্রলেখা নাজনীন, রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল, বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশ রাজশাহীর পুলিশ সুপার সাইদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী, দৈনিক সোনার দেশ পত্রিকার (ভারপ্রাপ্ত) সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাত, রাজশাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. সাইদুর রহমান।
এছাড়াও কর্মশালায় রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা পর্যটন বিষয়ক কমিটির সদস্য, প্রেসক্লাবের প্রতিনিধি, সব উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সব পৌরসভা চেয়ারম্যান, সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সব সহকারী কমিশনার (ভূমি), বন বিভাগের কর্মকর্তা, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী, স্থানীয় সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষাবিদ, শিক্ষক প্রতিনিধি, স্থানীয় ট্যুর অপারেটর, বাস মালিক সমিতির প্রতিনিধি, হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট মালিক সমিতির প্রতিনিধি, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, ট্রাভেল এজেন্টদের প্রতিনিধি, চেম্বারস অব কমার্সের প্রতিনিধি, শিল্পকলা একাডেমির প্রতিনিধি, অন্য পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, কর্মশালার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অংশীদারিত্ব বৃদ্ধিকরণ। এছাড়াও কর্মশালার অন্যান্য লক্ষ্যগুলো হলো- বাংলাদেশের পর্যটক আকর্ষণীয় স্থানের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, নতুন পর্যটন আকর্ষণীয় স্থান চিহ্নিতকরণ, সংরক্ষণ ও উন্নয়ন, পর্যটন খাতে স্থানীয় পর্যায়ের বেসরকারি বিনিয়োগ উদ্বুদ্ধকরণ, স্থানীয় উন্নয়ন কার্যক্রমে পর্যটনকে অন্তর্ভুক্তিকরণ, কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে পর্যটন শিল্প পুনঃউদ্ধারের কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিতকরণ, হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, সাফারি পার্ক, অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, পর্যটন কেন্দ্র ইত্যাদি পরিচালনার জন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও পর্যটনকর্মীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
জনপ্রিয় সংবাদ

বান্দরবানকে স্মার্ট পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে: ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ।

পর্যটনের বিকাশ হলে দেশের সব জেলায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে

রাজশাহীতে পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন সংক্রান্ত বিভাগীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় ০৮:২১:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ ২০২২
বাংলাদেশের পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন সংক্রান্ত রাজশাহী বিভাগের অন্তর্ভুক্ত জেলাসমূহের সরকারি ও বেসরকারি পর্যটন অংশীজনদের সমন্বয়ে বিভাগীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) বেলা ১২টায় রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের আয়োজনে বিভাগীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) জাবেদ আহমেদ এঁর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ্ এনডিসি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ্ বলেন, পর্যটনের জন্য বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ দরকার। এছাড়াও অবকাঠামোসহ উন্নত যোগাযোগ ও সেবা দরকার। পর্যটকদের আগমন পদ্ধতি যতো সহজ হবে, এই খাত ততো বেশি বিকোশিত হবে। পর্যটন এখন শুধু পর্যটন নয়, কর্মসংস্থান সৃষ্টিরও বড় সুযোগ। পর্যটনের বিকাশ হলে দেশের সব জেলায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এসব বিষয় মাথায় রেখেই মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে বলে জানা তিনি।
বিভাগীয় কমিশনার আরো বলেন, কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে পর্যটন শিল্প পুনরুদ্ধারে দেশের অভ্যন্তরীণ পর্যটক একটি বড় শক্তি হিসেবে পরিগণিত হতে পারে। সেই লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তৈরি বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের কার্যক্রম প্রান্তিক পর্যায়ে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কোন বিকল্প নেই।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ বলেন, দেশের পর্যটন খাতের উন্নয়নে ২০ বছর মেয়াদী এ মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শুরু করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে দেশের পর্যটন শিল্পের বর্তমান অবস্থা, এর শক্তি কতটুকু, দুর্বলতা কোথায়, সম্ভাবনা কেমন, কোন ধরনের সংকট রয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্ধারণ করা হবে বাংলাদেশের পর্যটনের ভিশন, মিশন, স্ট্র্যাটেজিক অবজেক্টিভস, প্রায়োরিটিস ও লিংকেজ। তৃতীয় পর্যায়ে জোন বা এরিয়া নির্দিষ্ট করে অঞ্চল ভিত্তিক পরিকল্পনা প্রস্তুত করা হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বাংলাদেশের পর্যটনের উন্নয়নের লক্ষ্যে যে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে তাতে সব পর্যায়ের অংশীদারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বদলে যাবে দেশের পর্যটন শিল্পের চিত্র।
উক্ত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. জিয়াউল হক, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) এ,এন,এম, মঈনুল ইসলাম, রাজশাহী বিভাগের স্থানীয় সরকার পরিচালক মো. এনামুল হক ও উপ-পরিচালক ড. চিত্রলেখা নাজনীন, রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল, বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশ রাজশাহীর পুলিশ সুপার সাইদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী, দৈনিক সোনার দেশ পত্রিকার (ভারপ্রাপ্ত) সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাত, রাজশাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. সাইদুর রহমান।
এছাড়াও কর্মশালায় রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা পর্যটন বিষয়ক কমিটির সদস্য, প্রেসক্লাবের প্রতিনিধি, সব উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সব পৌরসভা চেয়ারম্যান, সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সব সহকারী কমিশনার (ভূমি), বন বিভাগের কর্মকর্তা, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী, স্থানীয় সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষাবিদ, শিক্ষক প্রতিনিধি, স্থানীয় ট্যুর অপারেটর, বাস মালিক সমিতির প্রতিনিধি, হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট মালিক সমিতির প্রতিনিধি, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, ট্রাভেল এজেন্টদের প্রতিনিধি, চেম্বারস অব কমার্সের প্রতিনিধি, শিল্পকলা একাডেমির প্রতিনিধি, অন্য পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, কর্মশালার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অংশীদারিত্ব বৃদ্ধিকরণ। এছাড়াও কর্মশালার অন্যান্য লক্ষ্যগুলো হলো- বাংলাদেশের পর্যটক আকর্ষণীয় স্থানের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, নতুন পর্যটন আকর্ষণীয় স্থান চিহ্নিতকরণ, সংরক্ষণ ও উন্নয়ন, পর্যটন খাতে স্থানীয় পর্যায়ের বেসরকারি বিনিয়োগ উদ্বুদ্ধকরণ, স্থানীয় উন্নয়ন কার্যক্রমে পর্যটনকে অন্তর্ভুক্তিকরণ, কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে পর্যটন শিল্প পুনঃউদ্ধারের কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিতকরণ, হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, সাফারি পার্ক, অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, পর্যটন কেন্দ্র ইত্যাদি পরিচালনার জন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও পর্যটনকর্মীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।