ঢাকা ০৮:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীতে দুই দিনব্যাপী বিভাগীয় উদ্ভাবনী মেলা শুরু

রাজশাহীতে বিভাগীয় পর্যায়ে দুই দিনব্যাপী উদ্ভাবনী মেলা ২০২৪

রাজশাহীতে বিভাগীয় পর্যায়ে দুই দিনব্যাপী উদ্ভাবনী মেলা ২০২৪ আজ শুরু হয়েছে। রবিবার (২৪ মার্চ) সকাল দশটায় বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে এ মেলার উদ্বোধন করেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় আয়োজিত এ মেলা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এ উপলক্ষ্যে সকাল এগারোটায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে স্মার্ট বাংলাদেশ ও উদ্ভাবন: ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা করেছিল তখন আমাদের ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল মাত্র এক শতাংশ। আমরা তখন বুঝতাম-ই না ডিজিটাল বাংলাদেশ আসলে কী? আজকে আমরা সেই ডিজিটাল বাংলাদেশে পৌঁছে গেছি। বর্তমানে আমাদের দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী প্রায় ৯৯ শতাংশ।
প্রধান অতিথি বলেন, আজ দেশের যে উন্নয়ন দেখছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা না থাকলে তা কোনোদিনই সম্ভব হতো না। স্মার্ট বাংলাদেশের যাত্রা যদিও শুরু করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, কিন্তু তা বাস্তবায়নে কাজ করছেন শেখ হাসিনা। ১৯৭০ সালে যখন ঘূর্ণিঝড়ে পাঁচ লাখ মানুষ মারা গেল, ঠিক তখনই বঙ্গবন্ধু আর্থ রিচার্স স্যাটেলাইট টেকনোলজি (ইআরটিএস) কর্মসূচি ব্যবহার করে কীভাবে মানুষের জীবন আর প্রাণহানি কমানো যায় সেই লক্ষ্যে কাজ করেছেন। সেই সময় টাকা নেই, মানুষ নেই, কোনো টেকনোলজি নেই তারপরও তাঁর মাথায় এই চিন্তাশক্তি এসেছিল।
প্রধান অতিথি বলেন, সরকার স্মার্ট বাংলাদেশে কিছু লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। সরকার স্মার্ট নাগরিকের ডিজিটাল দক্ষতা ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ, ২০৩১ সালের ৭৫ শতাংশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৯০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। স্মার্ট ডিভাইসের ব্যবহার ২০২৫ সালের মধ্যে ৬০ শতাংশ, ২০৩১ সালে ৮০ শতাংশ এবং ২০৪১ সালে ১০০ শতাংশে উন্নীত করবে। ক্যাশলেস লেনদেন ২০২৫ সালে ৩০ শতাংশে এবং ২০৩১ সালে শতভাগে উন্নীত হবে। ক্যাশলেস হলে কেউ ঘুষ নিতে পারবে না।
অনুষ্ঠানে কী-নোট পেপার উপস্থাপন করেন রুয়েটের ফ্যাকাল্টি অব ইলেকট্রিক্যাল এন্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এর ডীন ড. মো: রবিউল ইসলাম। আলোচক ছিলেন রাজশাহী কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো: আব্দুল মালেক সরকার।
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন ও আইসিটি) তরফদার মোঃ আক্তার জামীল এর সভাপতিত্বে অনুুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শেখ মোমেনা মনি, রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি ফয়সল মাহমুদ, আরএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. রশীদুল হাসান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব খালিদ মেহেদী হাসান। অনুষ্ঠানে বিভাগের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মেলায় রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের দপ্তরসমূহে বাস্তবায়নকৃত উদ্ভাবনী উদ্যোগগুলোর মধ্য হতে ২৮টি স্টল উদ্ভাবনী ধারণা প্রদর্শন করে।
এর আগে প্রধান অতিথি সকল অতিথিদের নিয়ে মেলার স্টল পরিদর্শন করেন। আগামীকাল বেলা ১২টায় মেলার সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

বান্দরবানকে স্মার্ট পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে: ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ।

রাজশাহীতে দুই দিনব্যাপী বিভাগীয় উদ্ভাবনী মেলা শুরু

আপডেট সময় ০৫:০৮:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪

রাজশাহীতে বিভাগীয় পর্যায়ে দুই দিনব্যাপী উদ্ভাবনী মেলা ২০২৪ আজ শুরু হয়েছে। রবিবার (২৪ মার্চ) সকাল দশটায় বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে এ মেলার উদ্বোধন করেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় আয়োজিত এ মেলা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এ উপলক্ষ্যে সকাল এগারোটায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে স্মার্ট বাংলাদেশ ও উদ্ভাবন: ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা করেছিল তখন আমাদের ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল মাত্র এক শতাংশ। আমরা তখন বুঝতাম-ই না ডিজিটাল বাংলাদেশ আসলে কী? আজকে আমরা সেই ডিজিটাল বাংলাদেশে পৌঁছে গেছি। বর্তমানে আমাদের দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী প্রায় ৯৯ শতাংশ।
প্রধান অতিথি বলেন, আজ দেশের যে উন্নয়ন দেখছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা না থাকলে তা কোনোদিনই সম্ভব হতো না। স্মার্ট বাংলাদেশের যাত্রা যদিও শুরু করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, কিন্তু তা বাস্তবায়নে কাজ করছেন শেখ হাসিনা। ১৯৭০ সালে যখন ঘূর্ণিঝড়ে পাঁচ লাখ মানুষ মারা গেল, ঠিক তখনই বঙ্গবন্ধু আর্থ রিচার্স স্যাটেলাইট টেকনোলজি (ইআরটিএস) কর্মসূচি ব্যবহার করে কীভাবে মানুষের জীবন আর প্রাণহানি কমানো যায় সেই লক্ষ্যে কাজ করেছেন। সেই সময় টাকা নেই, মানুষ নেই, কোনো টেকনোলজি নেই তারপরও তাঁর মাথায় এই চিন্তাশক্তি এসেছিল।
প্রধান অতিথি বলেন, সরকার স্মার্ট বাংলাদেশে কিছু লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। সরকার স্মার্ট নাগরিকের ডিজিটাল দক্ষতা ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ, ২০৩১ সালের ৭৫ শতাংশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৯০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। স্মার্ট ডিভাইসের ব্যবহার ২০২৫ সালের মধ্যে ৬০ শতাংশ, ২০৩১ সালে ৮০ শতাংশ এবং ২০৪১ সালে ১০০ শতাংশে উন্নীত করবে। ক্যাশলেস লেনদেন ২০২৫ সালে ৩০ শতাংশে এবং ২০৩১ সালে শতভাগে উন্নীত হবে। ক্যাশলেস হলে কেউ ঘুষ নিতে পারবে না।
অনুষ্ঠানে কী-নোট পেপার উপস্থাপন করেন রুয়েটের ফ্যাকাল্টি অব ইলেকট্রিক্যাল এন্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এর ডীন ড. মো: রবিউল ইসলাম। আলোচক ছিলেন রাজশাহী কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো: আব্দুল মালেক সরকার।
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন ও আইসিটি) তরফদার মোঃ আক্তার জামীল এর সভাপতিত্বে অনুুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শেখ মোমেনা মনি, রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি ফয়সল মাহমুদ, আরএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. রশীদুল হাসান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব খালিদ মেহেদী হাসান। অনুষ্ঠানে বিভাগের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মেলায় রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের দপ্তরসমূহে বাস্তবায়নকৃত উদ্ভাবনী উদ্যোগগুলোর মধ্য হতে ২৮টি স্টল উদ্ভাবনী ধারণা প্রদর্শন করে।
এর আগে প্রধান অতিথি সকল অতিথিদের নিয়ে মেলার স্টল পরিদর্শন করেন। আগামীকাল বেলা ১২টায় মেলার সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।