ঢাকা ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীতে কোটি টাকা মুক্তিপন না পেয়ে যুবককে হত্যা, লাশ মিলল সেপটিক ট্যাংকে

নিহত যুবকের নাম মাহফুজুর হোসেন সুজন

রাজশাহীতে নিখোঁজের ১০ দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে নগরীর শাহমখদুম থানার সন্তোষপুরের একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ আরিফুল হক চৌধুরী রিপন (৪০) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।

নিহত যুবকের নাম মাহফুজুর হোসেন সুজন (৩৮)। তার বাড়ি মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার হড়গ্রাম মুন্সিপাড়া এলাকায়। নিহত সুজনের বাবার নাম মোহাম্মদ মর্তুজা হোসেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির আরিফুল হক চৌধুরী ওরফে রিপন নাটোরের লালপুর উপজেলার আবদুলপুর গ্রামের মৃত হামিদুল হকের ছেলে। তিনি নগরীর শাহমখদুম থানার সন্তোষপুর মহল্লার একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। রিপন সুজনের বন্ধু। কৌশলে অপহরণ করার পর মুক্তিপণ না পেয়ে সুজনকে হত্যা করা হয়েছে বলে রিপন পুলিশকে জানিয়েছে।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বিজয় বসাক জানান, নিহত সুজন ও গ্রেপ্তার রিপন দুই বন্ধু। তাদের মধ্যে ব্যবসায়ীক সম্পর্ক ছিল। সুজনের বাবা মর্তুজা হোসেন বুধবার নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, গত ১ অক্টোবর সুজনকে অপহরণ করা হয়েছে। সুজনকে ফিরিয়ে দিতে অপহরণকারী প্রথমে এক কোটি এবং পরে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছেন।

বিজয় বসাক বলেন, জিডির ভিত্তিতে নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানা ও গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তদন্তে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় জানা যায়, মুক্তিপন দাবি করা ব্যক্তির অবস্থান রিপনের ভাড়া বাসায়। এরপর পুলিশ রিপনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

পরে রিপন জানান, অপহরণের পরদিন ২ অক্টোবর সুজনকে হত্যা করে লাশ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। পরে বুধবার রাতে কাশিয়াডাঙ্গা ও শাহমখদুম থানা এবং ডিবি পুলিশ রিপনকে নিয়ে তার ভাড়া বাসায় অভিযানে যায়। এ সময় রিপনের দেখানো সেপটি ট্যাংক থেকে সুজন লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে সুজনের লাশের ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।

বিজয় বসাক আরও জানান, এ ঘটনায় রিপনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগে মামলা করেছেন নিহতের বাবা। আসামি রিপনকে বৃহস্পতিবারই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগেও রিপনের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ রয়েছে।

তিনি বলেন, সুজন মুরগি ও মৎস খামারের ব্যবসা করে। তার পিতা অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা। সম্প্রতি তিনি সোনালি ব্যাংকের কর্মকর্তার পদ থেকে অবসর নিয়ে পেনশনের টাকা পেয়েছেন। সেই টাকা হাতিয়ে নিতে সুজন অপহরণ করে তার পরিবারের কাছে এক কোটি টাকা মুক্তিপন দাবি করা হয় বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

 

আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

বান্দরবানকে স্মার্ট পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে: ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ।

রাজশাহীতে কোটি টাকা মুক্তিপন না পেয়ে যুবককে হত্যা, লাশ মিলল সেপটিক ট্যাংকে

আপডেট সময় ০৪:১৭:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৩

রাজশাহীতে নিখোঁজের ১০ দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে নগরীর শাহমখদুম থানার সন্তোষপুরের একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ আরিফুল হক চৌধুরী রিপন (৪০) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।

নিহত যুবকের নাম মাহফুজুর হোসেন সুজন (৩৮)। তার বাড়ি মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার হড়গ্রাম মুন্সিপাড়া এলাকায়। নিহত সুজনের বাবার নাম মোহাম্মদ মর্তুজা হোসেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির আরিফুল হক চৌধুরী ওরফে রিপন নাটোরের লালপুর উপজেলার আবদুলপুর গ্রামের মৃত হামিদুল হকের ছেলে। তিনি নগরীর শাহমখদুম থানার সন্তোষপুর মহল্লার একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। রিপন সুজনের বন্ধু। কৌশলে অপহরণ করার পর মুক্তিপণ না পেয়ে সুজনকে হত্যা করা হয়েছে বলে রিপন পুলিশকে জানিয়েছে।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বিজয় বসাক জানান, নিহত সুজন ও গ্রেপ্তার রিপন দুই বন্ধু। তাদের মধ্যে ব্যবসায়ীক সম্পর্ক ছিল। সুজনের বাবা মর্তুজা হোসেন বুধবার নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, গত ১ অক্টোবর সুজনকে অপহরণ করা হয়েছে। সুজনকে ফিরিয়ে দিতে অপহরণকারী প্রথমে এক কোটি এবং পরে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছেন।

বিজয় বসাক বলেন, জিডির ভিত্তিতে নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানা ও গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তদন্তে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় জানা যায়, মুক্তিপন দাবি করা ব্যক্তির অবস্থান রিপনের ভাড়া বাসায়। এরপর পুলিশ রিপনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

পরে রিপন জানান, অপহরণের পরদিন ২ অক্টোবর সুজনকে হত্যা করে লাশ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। পরে বুধবার রাতে কাশিয়াডাঙ্গা ও শাহমখদুম থানা এবং ডিবি পুলিশ রিপনকে নিয়ে তার ভাড়া বাসায় অভিযানে যায়। এ সময় রিপনের দেখানো সেপটি ট্যাংক থেকে সুজন লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে সুজনের লাশের ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।

বিজয় বসাক আরও জানান, এ ঘটনায় রিপনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগে মামলা করেছেন নিহতের বাবা। আসামি রিপনকে বৃহস্পতিবারই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগেও রিপনের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ রয়েছে।

তিনি বলেন, সুজন মুরগি ও মৎস খামারের ব্যবসা করে। তার পিতা অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা। সম্প্রতি তিনি সোনালি ব্যাংকের কর্মকর্তার পদ থেকে অবসর নিয়ে পেনশনের টাকা পেয়েছেন। সেই টাকা হাতিয়ে নিতে সুজন অপহরণ করে তার পরিবারের কাছে এক কোটি টাকা মুক্তিপন দাবি করা হয় বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।