ঢাকা ০৫:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেজর হলেন অকুতোভয় নারী ভাগ্যের কাছে হার না মানা ফাতেমা

ফাইল ছবি।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত অবস্থায়
শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে হার মানিয়ে এবার সেনাবাহিনীর মেজর হিসেবে পদোন্নতি পেলেন ভাগ্যের কাছে হার না মানা কানিজ ফাতেমা। সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ তাকে ব্যাজ পরিয়ে দেন।

শনিবার (৪ জুন) সকালে ঢাকা সেনানিবাসে ৬৯ বিএমএ দীর্ঘমেয়াদী কোর্সের কমিশন প্রদানের আয়োজন করা হয় ক্যাপ্টেন কানিজ ফাতেমাকে ঘিরে।

গল্পের শুরুটা ২০১১ সালে। দেশ সেবার স্বপ্ন নিয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন কানিজ ফাতেমা। ২০১২ সালে ১৮ সেপ্টেম্বর প্রশিক্ষণ চলাকালীন দুর্ঘটনায় মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙে যায় তার।

পক্ষাঘাতগ্রস্ত হওয়ায় বাহিনীর স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি তার পক্ষে। কিন্তু, এ অকুতোভয় নারী, ভাগ্যের কাছে হার না মেনে, হুইল চেয়ারে চলাফেরা করা অবস্থাতেই দায়িত্ব পালন করে গেছেন। পদে পদে ভেঙেছেন প্রতিবন্ধকতা।

তার এ উদ্দীপনাকে সম্মান জানিয়ে ৬৯ বিএমএ দীর্ঘমেয়াদী কোর্সের সঙ্গে ২০১৩ সালে বিশেষ বিবেচনায় কানিজ ফাতেমাকে কমিশন প্রদান করে সেনাবাহিনী।

২০০০ সালে সর্বপ্রথম সেনাবাহিনীতে নারী অফিসার নিয়োগ শুরু হয়। ২০১৫ থেকে নারী সৈনিকের সংযোজন, নারী অফিসারদের ইউনিট কমান্ড প্রদান, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে গুরুত্বপূর্ণ পদে নারী অফিসারদের নিয়োগ দেওয়া শুরু হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

বান্দরবানকে স্মার্ট পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে: ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ।

মেজর হলেন অকুতোভয় নারী ভাগ্যের কাছে হার না মানা ফাতেমা

আপডেট সময় ০৫:০৮:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জুন ২০২২

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত অবস্থায়
শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে হার মানিয়ে এবার সেনাবাহিনীর মেজর হিসেবে পদোন্নতি পেলেন ভাগ্যের কাছে হার না মানা কানিজ ফাতেমা। সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ তাকে ব্যাজ পরিয়ে দেন।

শনিবার (৪ জুন) সকালে ঢাকা সেনানিবাসে ৬৯ বিএমএ দীর্ঘমেয়াদী কোর্সের কমিশন প্রদানের আয়োজন করা হয় ক্যাপ্টেন কানিজ ফাতেমাকে ঘিরে।

গল্পের শুরুটা ২০১১ সালে। দেশ সেবার স্বপ্ন নিয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন কানিজ ফাতেমা। ২০১২ সালে ১৮ সেপ্টেম্বর প্রশিক্ষণ চলাকালীন দুর্ঘটনায় মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙে যায় তার।

পক্ষাঘাতগ্রস্ত হওয়ায় বাহিনীর স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি তার পক্ষে। কিন্তু, এ অকুতোভয় নারী, ভাগ্যের কাছে হার না মেনে, হুইল চেয়ারে চলাফেরা করা অবস্থাতেই দায়িত্ব পালন করে গেছেন। পদে পদে ভেঙেছেন প্রতিবন্ধকতা।

তার এ উদ্দীপনাকে সম্মান জানিয়ে ৬৯ বিএমএ দীর্ঘমেয়াদী কোর্সের সঙ্গে ২০১৩ সালে বিশেষ বিবেচনায় কানিজ ফাতেমাকে কমিশন প্রদান করে সেনাবাহিনী।

২০০০ সালে সর্বপ্রথম সেনাবাহিনীতে নারী অফিসার নিয়োগ শুরু হয়। ২০১৫ থেকে নারী সৈনিকের সংযোজন, নারী অফিসারদের ইউনিট কমান্ড প্রদান, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে গুরুত্বপূর্ণ পদে নারী অফিসারদের নিয়োগ দেওয়া শুরু হয়।