ঢাকা ০৯:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ঢাকায় ভারত-বাংলাদেশের নগরিক সম্মিলনী অনুষ্ঠানে মেয়র লিটন

মুক্তিযুদ্ধে শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী ও ভারতীয় নাগরিকদের অকুন্ঠ সমর্থন, আমরা কোনদিন ভুলব না

  • ফারহানা খাতুন
  • আপডেট সময় ০৭:১৫:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২
  • ১৮৭ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং ভারত বাংলাদেশ বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী সংঘ কর্তৃক আয়োজিত ভারত ও বাংলাদেশের বিশিষ্ট নাগরিক সম্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার রাত ৮টায় ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এএইচ চৌধুরী মিলনায়তনে এই নাগরিক সম্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ১৯৭১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী ও অবশ্যই সর্বস্তরের ভারতীয় নাগরিকদের যে অকুন্ঠ সমর্থন আমরা পেয়েছি তা আমরা কোনোদিন ভুলতে পারবো না।
মেয়র আরো বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর নভেম্বরে যখন আমার বাবা কামারুজ্জামানকেও হত্যা করা হয়, তখন আমরা দুইভাই ভারতের কোলকাতায় পড়াশোনা করছিলাম। যে পড়াশোনা তখন অর্থনৈতিক কারনে হুমকির মুখে পরেছিলো। কিন্তু সেদিন আমাদের পড়াশোনা বন্ধ হয়নি কারণ আমাদের পড়াশোনা চালানোর পুরো দ্বায়িত্ব সেদিন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধির নির্দেশে ভারতীয় সরকার নিয়েছিলেন। তাই ভারতীয় জনগণ ও সরকারের কাছে, বিশেষ করে শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধির কাছে আমি দুইভাবে কৃতজ্ঞ। এক বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে আর একটা আমাদের দুইভাইয়ের একান্ত ব্যক্তিগত কারণে।
অনুষ্ঠানে রাসিক মেয়র লিটন আরো বলেন, আমরা মুসলিমরা বিশ্বাস করি কোনো মানুষের প্রতি কেউ যদি অন্যায় করে, আর সেই ব্যাক্তি যদি তাকে ক্ষমা না করেন তাহলে সৃষ্টিকর্তাও তাকে ক্ষমা করেন না। আজ পাকিস্তান সেই পাপের প্রায়শ্চিত্ত করছে। ১৯৭১ সালে তারা আমাদের সাথে যে অন্যায় করেছে, তারা আমাদের উপর যে অত্যাচার করেছে, আজ সেই পাপে তারা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।
নাগরিক সম্মিলনী অনুষ্ঠানে ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী সংঘ এর সভাপতি শিশির বাজোরিয়া, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসিরুদ্দিন ইউসুফ, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, লেখিকা সৈয়দা আনোয়ারা হক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস। অনুষ্ঠান ভারত ও বাংলাদেশের দুই দেশের বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

বান্দরবানকে স্মার্ট পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে: ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ।

ঢাকায় ভারত-বাংলাদেশের নগরিক সম্মিলনী অনুষ্ঠানে মেয়র লিটন

মুক্তিযুদ্ধে শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী ও ভারতীয় নাগরিকদের অকুন্ঠ সমর্থন, আমরা কোনদিন ভুলব না

আপডেট সময় ০৭:১৫:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং ভারত বাংলাদেশ বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী সংঘ কর্তৃক আয়োজিত ভারত ও বাংলাদেশের বিশিষ্ট নাগরিক সম্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার রাত ৮টায় ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এএইচ চৌধুরী মিলনায়তনে এই নাগরিক সম্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ১৯৭১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী ও অবশ্যই সর্বস্তরের ভারতীয় নাগরিকদের যে অকুন্ঠ সমর্থন আমরা পেয়েছি তা আমরা কোনোদিন ভুলতে পারবো না।
মেয়র আরো বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর নভেম্বরে যখন আমার বাবা কামারুজ্জামানকেও হত্যা করা হয়, তখন আমরা দুইভাই ভারতের কোলকাতায় পড়াশোনা করছিলাম। যে পড়াশোনা তখন অর্থনৈতিক কারনে হুমকির মুখে পরেছিলো। কিন্তু সেদিন আমাদের পড়াশোনা বন্ধ হয়নি কারণ আমাদের পড়াশোনা চালানোর পুরো দ্বায়িত্ব সেদিন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধির নির্দেশে ভারতীয় সরকার নিয়েছিলেন। তাই ভারতীয় জনগণ ও সরকারের কাছে, বিশেষ করে শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধির কাছে আমি দুইভাবে কৃতজ্ঞ। এক বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে আর একটা আমাদের দুইভাইয়ের একান্ত ব্যক্তিগত কারণে।
অনুষ্ঠানে রাসিক মেয়র লিটন আরো বলেন, আমরা মুসলিমরা বিশ্বাস করি কোনো মানুষের প্রতি কেউ যদি অন্যায় করে, আর সেই ব্যাক্তি যদি তাকে ক্ষমা না করেন তাহলে সৃষ্টিকর্তাও তাকে ক্ষমা করেন না। আজ পাকিস্তান সেই পাপের প্রায়শ্চিত্ত করছে। ১৯৭১ সালে তারা আমাদের সাথে যে অন্যায় করেছে, তারা আমাদের উপর যে অত্যাচার করেছে, আজ সেই পাপে তারা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।
নাগরিক সম্মিলনী অনুষ্ঠানে ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী সংঘ এর সভাপতি শিশির বাজোরিয়া, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসিরুদ্দিন ইউসুফ, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, লেখিকা সৈয়দা আনোয়ারা হক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস। অনুষ্ঠান ভারত ও বাংলাদেশের দুই দেশের বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।