![](https://www.nababani.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
গোদামে যাওয়ার পথে সিলেট-বিয়ানীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে চিনি বোঝাই একটি ট্রাক গায়েব হয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, ট্রাকটি ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েছে। শনিবার ভোর আনুমানিক ৫টার সময় চারখাই পুলিশ ফাঁড়ির অদূরে একটি সাদা প্রাইভেট কার, একটি পিক-আপ ভ্যান ও চারটি মোটরসাইকেলে ১৫-১৮ জনের একটি ছিনতাইকারী চক্র চিনি বাহী ট্রাকটির গতি রোধ করে।পরর্তিতে ছিনতাইকারীরা অস্ত্রের মুখে ট্রাকের চালককে জিম্মি করে চিনি বোঝাই ট্রাকটি পৌরসভায় নিয়ে নিয়ে আসতে বাধ্য করে । পৃথক দুইটি স্হানে ট্রাকের চিনি নামিয়ে চক্রের সদস্যরা গা ঢাকা দিয়েছে।
সূত্র জানায়, পৌরসহরের আলহাজ্ব বায়েজিদুর রাহমান ট্রাস্ট নিয়ন্ত্রিত সিসিটিভি ফুটেজে চিনি বোঝাই ট্রাক শ্রীধরা গ্রামে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। এসময় ছিনতাইকারী চক্রের কয়েজনকে দিকনির্দেশনা দিতে দেখা যায়। সিসিটিভি ফুটেজ ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী চক্রের সদস্যদের পরিচয় সনাক্ত করতে সক্ষম হন।
ছিনতাই হওয়া চিনির মালিক ব্যবসায়ী বদরুল ইসলাম জনান, চারখাই বাজারে তার ব্যবসা প্রতিষ্টান রয়েছে। গত কয়েকদিনে তিনি সরকারের বিধি অনুযায়ী বিভিন্ন স্থান থেকে ১৪৭৭ বস্তা চিনি নিলামের মাধ্যমে ক্রয় করেন। এর মধ্যে ৪শত বস্তা চিনি তিনি শাহগলী বাজারের জনৈক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেন। উক্ত চিনি হস্তান্তরের সময় মহাসড়ক থেকে চিনি বোঝাই ট্রাক ছিনতাই হওয়ার বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করেন। বদরুল ইসলাম বলেন, ছিনতাই হওয়া চিনির বাজার মূল্য প্রায় ২৪ লাখ টাকা।
ব্যবসায়ি বদরুল ইসলামের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ছিনতাই হওয়া চিনি উদ্ধারে নেমেছে থানা পুলিশ। তাদের একাধিক দল পৃথক স্থানে অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে, পুলিশের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত প্রাইভেট কারটি সাদা রঙের (ঢাকা মেট্রো-খ) নাম্বার ১১-৯৪৪৬ কারটি পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ব্যবহার করেন বলে জানা গেছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শ্রীধরা গ্রামের ভিন্ন ঘরে রাখা ছিনতাইয়ের চিনি উদ্ধার করতে স্থানীয়দের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ। এছাড়া খাসাড়িপাড়া এলাকার একটি বাড়ি থেকে দুই বস্তা চিনি উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ সন্ধ্যা আনুমানিক সাতটার সময় শ্রীধরা গ্রামে বিয়ানীবাজার থানার এসআই শাহজাদা ফয়সল উপস্থিত ছিলেন, এসময় বিভিন্ন জনের সাথে মোঠো ফোনে কথা বলে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায়। তবে চিনি ছিনতাই চিনি উদ্ধার সংক্রান্ত কোনো তথ্য তার কাছে নেই বলে এই প্রতিবেদককে জনান।