ঢাকা ০৯:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পবার প্রায় সব ইউনিয়ন থেকেই ডায়রিয়া রোগী আসছেন

পবা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগী

  • পবা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় ০৭:২৭:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ মার্চ ২০২২
  • ৩৮২ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ছবি

রাজশাহীর পবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হঠাৎ করে ডায়রিয়া রোগী বেড়ে গেছে। গত দুই দিনে এই হাসপাতালে ৩০ জনের বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। হঠাৎ করে এত ডায়রিয়া রোগীর চাপ এই হাসপাতালে আগে কখনও দেখা যায়নি বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
বুধবার সকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, শয্যার চেয়ে রোগী বেশি হওয়ায় মেঝেতে বিছানা পেতে ডায়রিয়া রোগীর চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। কয়েকজন রোগীর সাথে কথা বলে জানা যায়, চলমান তাপদাহের কারণে তৃষ্ণা মেটাতে কেউ কেউ খোলা জায়গায় শরবত ও আখের রস পান করেছেন। এরপরই তারা পানিবাহিত এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
হাসপাতালে দেখা গেছে, পবার প্রায় সব ইউনিয়ন থেকেই ডায়রিয়া রোগী আসছেন। তবে  সবচেয়ে বেশি রোগী পবার হুজুরীপাড়া ইউনিয়নের কৈকুড়ি গ্রামের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রোগী সামলাতে গিয়ে হিমশিম খাওয়ার জোগাড় হওয়ায় এবং রোগীর চাপ কমে আসার কোনো লক্ষণ না থাকায় এই গ্রামে স্বাস্থ্যকর্মী পাঠিয়ে জনগণকে সচেতন করা হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক শামসুন্নাহার বলেন, রোগীদের সিংহভাগই হুজুরীপাড়া ইউনিয়নের কৈকুড়ি গ্রামের। তারা তীব্র পানিশূন্যতাসহ বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসছে। তিনি বলেন, নোংরা পরিবেশে তৈরি করা পানীয়তে ব্যবহার হচ্ছে দূষিত পানি। এসব পান করার ফলে তরুণদের মধ্যে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেশি। তবে হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ ও স্যালাইন রয়েছে। সেবা দিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা।#
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বান্দরবানকে স্মার্ট পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে: ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ।

পবার প্রায় সব ইউনিয়ন থেকেই ডায়রিয়া রোগী আসছেন

পবা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগী

আপডেট সময় ০৭:২৭:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ মার্চ ২০২২
রাজশাহীর পবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হঠাৎ করে ডায়রিয়া রোগী বেড়ে গেছে। গত দুই দিনে এই হাসপাতালে ৩০ জনের বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। হঠাৎ করে এত ডায়রিয়া রোগীর চাপ এই হাসপাতালে আগে কখনও দেখা যায়নি বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
বুধবার সকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, শয্যার চেয়ে রোগী বেশি হওয়ায় মেঝেতে বিছানা পেতে ডায়রিয়া রোগীর চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। কয়েকজন রোগীর সাথে কথা বলে জানা যায়, চলমান তাপদাহের কারণে তৃষ্ণা মেটাতে কেউ কেউ খোলা জায়গায় শরবত ও আখের রস পান করেছেন। এরপরই তারা পানিবাহিত এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
হাসপাতালে দেখা গেছে, পবার প্রায় সব ইউনিয়ন থেকেই ডায়রিয়া রোগী আসছেন। তবে  সবচেয়ে বেশি রোগী পবার হুজুরীপাড়া ইউনিয়নের কৈকুড়ি গ্রামের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রোগী সামলাতে গিয়ে হিমশিম খাওয়ার জোগাড় হওয়ায় এবং রোগীর চাপ কমে আসার কোনো লক্ষণ না থাকায় এই গ্রামে স্বাস্থ্যকর্মী পাঠিয়ে জনগণকে সচেতন করা হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক শামসুন্নাহার বলেন, রোগীদের সিংহভাগই হুজুরীপাড়া ইউনিয়নের কৈকুড়ি গ্রামের। তারা তীব্র পানিশূন্যতাসহ বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসছে। তিনি বলেন, নোংরা পরিবেশে তৈরি করা পানীয়তে ব্যবহার হচ্ছে দূষিত পানি। এসব পান করার ফলে তরুণদের মধ্যে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেশি। তবে হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ ও স্যালাইন রয়েছে। সেবা দিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা।#