ঢাকা ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আগামী জুন মাসে পদ্মা সেতু খুলে দেওয়া হবে ।

পদ্মা সেতুতে রাতে জ্বলে উঠবে রঙিন আলোর ছটা।

ফাইল ছবি

পদ্মা সেতুতে রাতে জল উঠবে রঙিন আলোর ছটা।চোখ ধাঁধানো এই আলো শুধু পদ্মা পাড়ের মানুষকেই  আকৃষ্ট নয়, পর্যটকদেরও মনমুগ্ধ করে তুলবে।
আগামী জুন মাসে পদ্মা সেতু খুলে দেওয়া হবে ।

যান-চলাচলের জন্য পদ্মা সেতু জুনে খুলে দিতে চলতি মাসেই কার্পেটিংয়ের শেষ লেয়ারের কাজ শেষ হবে। গ্যাসলাইন স্থাপনও শেষ। ল্যাম্পপোস্টের কাজের অগ্রগতি প্রায় ৯০ শতাংশ। আর মূল সেতুর অগ্রগতি ৯৭ শতাংশ। সেতুর শেষ ধাপের অ্যালুমিনিয়ামের রেলিংগুলো সমুদ্রপথে যুক্তরাজ্য থেকে ১৫ মে দেশে পৌঁছার কথা রয়েছে।

পদ্মা সেতুর নির্মাণযজ্ঞ একেবারে শেষপর্যায়ে এখন। সেতুটি যান চলাচল উপযোগী করতে চলছে ব্যস্ততা। সেতুর কার্পেটিং শেষ পর্যায়ে এখন। ওয়াটার প্রুভিং চারটি লেয়ারের পর দেওয়া হচ্ছে দুই লেয়ারের ১০০ মিলিমিটার পুরুত্বের বিশ্বমানের কার্পেটিং। এর অগ্রগতি ৭৮ শতাংশ। চলতি মাসেই কার্পেটিং শেষ হবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের। আর মূল সেতুর দুই পাশের সংযোগ সেতুর সব ল্যাম্পপোস্ট বসে গেছে। মূল সেতুতে বাকি ৩৫টি।

এদিকে বিমানে উড়িয়ে যুক্তরাজ্য থেকে সেতুর অ্যালুমিনিয়ামের ২০৪ মিটার রেলিং প্রকল্প এলাকায় পৌঁছে গেছে। বাকি রেলিংগুলো সমুদ্রপথে যুক্তরাজ্য থেকে ২৬ মার্চ রওনা হয়েছে। ১৫ মে দেশে পৌঁছার কথা রয়েছে। দায়িত্বশীল প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, প্যারপেট ওয়ালের নাট সিস্টেমের এই রেলিং লাগাতে ২-৩ সপ্তাহ লাগবে

জুনেই সেতুকে যান চলাচল উপযোগী করতে শেষ পর্যায়ের কাজ সফলভাবেই এগোচ্ছে বলে জানালেন এই মহাযজ্ঞের মূল কারিগর মো. শফিকুল ইসলাম।

তবে আর্কিটেকচারাল লাইটিংয়ের কাজ জুনে সড়কপথ উদ্বোধনের পরই শুরু হবে।

পদ্মা সেতু বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উপর নির্মাণাধীন একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। এর মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের সঙ্গে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলা যুক্ত হবে। ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব অংশের সংযোগ ঘটবে। দুই স্তর বিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাস ব্রিজটির ওপরের স্তরে থাকবে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরটিতে থাকবে একটি একক রেলপথ।

পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর অববাহিকায় ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্পান ইতোমধ্যে বসানো হয়েছে। ৬ দশমিক ১৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৮ দশমিক ১০ মিটার প্রস্থ পরিকল্পনায় নির্মিত হচ্ছে দেশটির সবচেয়ে বড় এ সেতু। পদ্মা সেতু নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি। সেতুটির নির্মাণ ব্যয় ৩০ হাজার কোটি টাকারও বেশি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বান্দরবানকে স্মার্ট পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে: ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ।

আগামী জুন মাসে পদ্মা সেতু খুলে দেওয়া হবে ।

পদ্মা সেতুতে রাতে জ্বলে উঠবে রঙিন আলোর ছটা।

আপডেট সময় ১১:৫১:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ এপ্রিল ২০২২
পদ্মা সেতুতে রাতে জল উঠবে রঙিন আলোর ছটা।চোখ ধাঁধানো এই আলো শুধু পদ্মা পাড়ের মানুষকেই  আকৃষ্ট নয়, পর্যটকদেরও মনমুগ্ধ করে তুলবে।
আগামী জুন মাসে পদ্মা সেতু খুলে দেওয়া হবে ।

যান-চলাচলের জন্য পদ্মা সেতু জুনে খুলে দিতে চলতি মাসেই কার্পেটিংয়ের শেষ লেয়ারের কাজ শেষ হবে। গ্যাসলাইন স্থাপনও শেষ। ল্যাম্পপোস্টের কাজের অগ্রগতি প্রায় ৯০ শতাংশ। আর মূল সেতুর অগ্রগতি ৯৭ শতাংশ। সেতুর শেষ ধাপের অ্যালুমিনিয়ামের রেলিংগুলো সমুদ্রপথে যুক্তরাজ্য থেকে ১৫ মে দেশে পৌঁছার কথা রয়েছে।

পদ্মা সেতুর নির্মাণযজ্ঞ একেবারে শেষপর্যায়ে এখন। সেতুটি যান চলাচল উপযোগী করতে চলছে ব্যস্ততা। সেতুর কার্পেটিং শেষ পর্যায়ে এখন। ওয়াটার প্রুভিং চারটি লেয়ারের পর দেওয়া হচ্ছে দুই লেয়ারের ১০০ মিলিমিটার পুরুত্বের বিশ্বমানের কার্পেটিং। এর অগ্রগতি ৭৮ শতাংশ। চলতি মাসেই কার্পেটিং শেষ হবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের। আর মূল সেতুর দুই পাশের সংযোগ সেতুর সব ল্যাম্পপোস্ট বসে গেছে। মূল সেতুতে বাকি ৩৫টি।

এদিকে বিমানে উড়িয়ে যুক্তরাজ্য থেকে সেতুর অ্যালুমিনিয়ামের ২০৪ মিটার রেলিং প্রকল্প এলাকায় পৌঁছে গেছে। বাকি রেলিংগুলো সমুদ্রপথে যুক্তরাজ্য থেকে ২৬ মার্চ রওনা হয়েছে। ১৫ মে দেশে পৌঁছার কথা রয়েছে। দায়িত্বশীল প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, প্যারপেট ওয়ালের নাট সিস্টেমের এই রেলিং লাগাতে ২-৩ সপ্তাহ লাগবে

জুনেই সেতুকে যান চলাচল উপযোগী করতে শেষ পর্যায়ের কাজ সফলভাবেই এগোচ্ছে বলে জানালেন এই মহাযজ্ঞের মূল কারিগর মো. শফিকুল ইসলাম।

তবে আর্কিটেকচারাল লাইটিংয়ের কাজ জুনে সড়কপথ উদ্বোধনের পরই শুরু হবে।

পদ্মা সেতু বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উপর নির্মাণাধীন একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। এর মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের সঙ্গে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলা যুক্ত হবে। ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব অংশের সংযোগ ঘটবে। দুই স্তর বিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাস ব্রিজটির ওপরের স্তরে থাকবে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরটিতে থাকবে একটি একক রেলপথ।

পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর অববাহিকায় ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্পান ইতোমধ্যে বসানো হয়েছে। ৬ দশমিক ১৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৮ দশমিক ১০ মিটার প্রস্থ পরিকল্পনায় নির্মিত হচ্ছে দেশটির সবচেয়ে বড় এ সেতু। পদ্মা সেতু নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি। সেতুটির নির্মাণ ব্যয় ৩০ হাজার কোটি টাকারও বেশি।