ঢাকা ১০:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় একজন পথচারী দায়িত্বরত সার্জেন্ট মো. ইকরামুল আলমকে জানান

পথ হারিয়ে দিশেহারা ছোট্ট মেয়ে রিমি, সঠিক পথ দেখালো ট্রাফিক পুলিশ।

ফাইল ছবি

বাবা মায়ের ওপর অভিমান করে পথ হারিয়ে দিশেহারা ছোট্ট মেয়ে সানজিদা আক্তার রিমি। বয়স মাত্র ১৩ বছর। অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। বাবা-মায়ের ওপর অভিমান করে এ প্রথম এসেছে ঢাকা শহরে। এসেই সে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক পুলিশ তাকে প্রয়োজনীয় কাউন্সেলিং করে বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে। অভিমান করে বাড়ি ছেড়ে চলে আসা ছোট্ট মেয়েকে পেয়ে খুশিতে আত্মহারা তার বাবা-মা।

সোমবার (১৮ এপ্রিল) ট্রাফিক-মহাখালী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আশফাক আহমেদ জানান, রোববার (১৭ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে মহাখালী বাস টার্মিনাল এলাকার সামনে মেয়েটিকে এলোমেলোভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। সেখানে উপস্থিত লোকজন মেয়েটিকে বাসে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাদের আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় একজন পথচারী দায়িত্বরত সার্জেন্ট মো. ইকরামুল আলমকে জানান। তিনি তখন মেয়েটিকে মহাখালী ট্রাফিক জোন অফিসে নিয়ে আসেন।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েটি জানায়, তার নাম সানজিদা আক্তার রিমি। বয়স ১৩ বছর। সে অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। তার বাড়ি গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানায়। শনিবার (১৬ এপ্রিল) রাতে বিভিন্ন কারণে বাবা-মায়ের সঙ্গে সে অভিমান করে। পরদিন ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মেয়েটি একা চন্দ্রা মোড় থেকে মহাখালী বাস টার্মিনালের বাসে করে প্রথমবারের মতো ঢাকা শহরে চলে আসে। মহাখালী বাস টার্মিনাল এলাকায় নেমে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে।

সহকারী পুলিশ কমিশনার আশফাক আহমেদ বলেন, পরবর্তীসময়ে মোবাইল নম্বর নিয়ে তার বাবা-মার সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা হয়। মেয়ের খোঁজ পেয়ে তারা তড়িঘড়ি করে বাড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করেন। তার বাবা-মা ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আসার আগ পর্যন্ত তাকে বিভিন্ন উৎসাহমূলক কথাবার্তা বলা হয় যাতে সে স্বাভাবিক হতে পারে ও খুশি মনে বাবা-মায়ের সঙ্গে ফিরে যেতে পারে। তার বাবা-মা ঢাকায় পৌঁছানোর পর মহাখালী ট্রাফিক জোন অফিসে এসে মেয়েকে সুস্থ -স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

তিনি আরও বলেন, বাবা-মা ও সন্তানের মধ্যে যেন বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকে। এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয় সে ব্যাপারে তাদের কাউন্সেলিং করা হয়।

মেয়েটির বাবা-মা যে তাদের মেয়েকে ঢাকা শহরের ব্যস্ততম বাস টার্মিনাল মহাখালী থেকে অক্ষত ও সুস্থ অবস্থায় ট্রাফিক পুলিশের সহায়তায় ফিরে পেয়েছে এজন্য মহাখালী ট্রাফিক জোনের পুলিশ সদস্যদের প্রতি তারা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন ও বাংলাদেশ পুলিশের প্রতি ধন্যবাদ জানান।

ট্যাগস :

নগরীর উন্নয়ন কার্যক্রম বিষয়ে রাসিক মেয়র ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মতবিনিময়

আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় একজন পথচারী দায়িত্বরত সার্জেন্ট মো. ইকরামুল আলমকে জানান

পথ হারিয়ে দিশেহারা ছোট্ট মেয়ে রিমি, সঠিক পথ দেখালো ট্রাফিক পুলিশ।

আপডেট সময় ০৪:৪৮:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল ২০২২
বাবা মায়ের ওপর অভিমান করে পথ হারিয়ে দিশেহারা ছোট্ট মেয়ে সানজিদা আক্তার রিমি। বয়স মাত্র ১৩ বছর। অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। বাবা-মায়ের ওপর অভিমান করে এ প্রথম এসেছে ঢাকা শহরে। এসেই সে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক পুলিশ তাকে প্রয়োজনীয় কাউন্সেলিং করে বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে। অভিমান করে বাড়ি ছেড়ে চলে আসা ছোট্ট মেয়েকে পেয়ে খুশিতে আত্মহারা তার বাবা-মা।

সোমবার (১৮ এপ্রিল) ট্রাফিক-মহাখালী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আশফাক আহমেদ জানান, রোববার (১৭ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে মহাখালী বাস টার্মিনাল এলাকার সামনে মেয়েটিকে এলোমেলোভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। সেখানে উপস্থিত লোকজন মেয়েটিকে বাসে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাদের আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় একজন পথচারী দায়িত্বরত সার্জেন্ট মো. ইকরামুল আলমকে জানান। তিনি তখন মেয়েটিকে মহাখালী ট্রাফিক জোন অফিসে নিয়ে আসেন।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েটি জানায়, তার নাম সানজিদা আক্তার রিমি। বয়স ১৩ বছর। সে অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। তার বাড়ি গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানায়। শনিবার (১৬ এপ্রিল) রাতে বিভিন্ন কারণে বাবা-মায়ের সঙ্গে সে অভিমান করে। পরদিন ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মেয়েটি একা চন্দ্রা মোড় থেকে মহাখালী বাস টার্মিনালের বাসে করে প্রথমবারের মতো ঢাকা শহরে চলে আসে। মহাখালী বাস টার্মিনাল এলাকায় নেমে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে।

সহকারী পুলিশ কমিশনার আশফাক আহমেদ বলেন, পরবর্তীসময়ে মোবাইল নম্বর নিয়ে তার বাবা-মার সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা হয়। মেয়ের খোঁজ পেয়ে তারা তড়িঘড়ি করে বাড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করেন। তার বাবা-মা ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আসার আগ পর্যন্ত তাকে বিভিন্ন উৎসাহমূলক কথাবার্তা বলা হয় যাতে সে স্বাভাবিক হতে পারে ও খুশি মনে বাবা-মায়ের সঙ্গে ফিরে যেতে পারে। তার বাবা-মা ঢাকায় পৌঁছানোর পর মহাখালী ট্রাফিক জোন অফিসে এসে মেয়েকে সুস্থ -স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

তিনি আরও বলেন, বাবা-মা ও সন্তানের মধ্যে যেন বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকে। এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয় সে ব্যাপারে তাদের কাউন্সেলিং করা হয়।

মেয়েটির বাবা-মা যে তাদের মেয়েকে ঢাকা শহরের ব্যস্ততম বাস টার্মিনাল মহাখালী থেকে অক্ষত ও সুস্থ অবস্থায় ট্রাফিক পুলিশের সহায়তায় ফিরে পেয়েছে এজন্য মহাখালী ট্রাফিক জোনের পুলিশ সদস্যদের প্রতি তারা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন ও বাংলাদেশ পুলিশের প্রতি ধন্যবাদ জানান।