ঢাকা ০৬:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
রাজশাহীতে হাইটেক পার্ক নির্মাণে ২৮১ কোটি ১৯ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন হয় ২০১৬ সালে

তারুণ্যদের পদচারণায় মুখরিত রাজশাহীর হাইটেক পার্ক

ফাইল ছবি

তরুণ-তরুণীদের পদচারণায় মুখর রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক। বর্তমানে প্রায় ৪০০ তরুণ-তরুণী এই হাইটেক পার্কের ১৭টি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন।
কেউ সফটওয়্যার ডেভেলপ করছেন, কেউ বাইরের দেশের চাহিদামতো ফাইল নিয়ে কাজ করছেন। কেউবা আবার রাজশাহীতে বসেই বিশ্বের নামীদামি সাইট রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করেন। পুরোপুরি কাজ শেষ না হলেও কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে এই হাইটেক পার্ক।
সেখানে কর্মরত ফ্লিট বাংলাদেশের কর্মী আফরোজা আরবি তুষি বলেন, ‘যখন ছাত্রী ছিলাম, তখন ভয় পেতাম যে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষে ভালো একটা ক্যারিয়ার গড়তে হলে হয় ঢাকায় যেতে হবে, না হয় ক্যারিয়ারই হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ভাইবোনদের দেখেছি ক্যারিয়ারের জন্য ঢাকায় চলে যেতে।
 আমার খুব ইচ্ছা ছিল পরিবার-পরিজন নিয়ে রাজশাহীতে থেকেই একটা ক্যারিয়ার গড়ার। আমাকে সেই সুযোগটা দিয়েছে ফ্লিট বাংলাদেশ। আর ফ্লিট বাংলাদেশকে সেই সুযোগ দিয়েছে হাইটেক পার্ক। এখানকার পরিবেশও ভালো।’
রাজশাহীতে হাইটেক পার্ক নির্মাণে ২৮১ কোটি ১৯ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন হয় ২০১৬ সালে। পরের বছরের ১৮ জুলাই রাজশাহী মহানগরী বুলনপুর এলাকায় ৩১ দশমিক ৬৩ একর জমির ওপর এর নির্মাণকাজ শুরু হয়। পার্কের প্রধান দুই অংশের মধ্যে শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের কাজ শেষ হয় গত বছর।
তারপর ১০টি প্রতিষ্ঠানকে স্পেস বরাদ্দ দেয়া হয় তাদের কাজ শুরু করার জন্য। এরপর কাজ মোটামুটি শেষ হলে জয় সিলিকন টাওয়ারেও স্পেস বরাদ্দ শুরু হয়েছে। সেখানে ৭টি প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে স্পেস বরাদ্দ পেয়েছে। সব মিলিয়ে কাজ করছে ১৭টি প্রতিষ্ঠান।
হাইটেক পার্কে মোবাইল গেমস এবং অন্যান্য সফটওয়্যারসেবা দিতে কাজ করছে ‘টেক রাজশাহী’। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী মাহফুজুর রহমান জানান, তাঁর প্রতিষ্ঠানে ১৪২ জন কর্মী আছে। এর মধ্যে হাইটেক পার্কে ২৮ জন কাজ করছেন।
মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠানের নামের সঙ্গে রাজশাহী শব্দ আছে। প্রতিষ্ঠানটির অফিসও শেষ পর্যন্ত রাজশাহীতে হলো। হাইটেক পার্কটির অবস্থান এবং অন্যান্য আধুনিক সুবিধার পাশাপাশি এখানে একটি অফিস থাকা মানে প্রতিষ্ঠানের “ব্র্যান্ড ভ্যালু” অনেকখানি বেড়ে যাওয়া।’
‘এমডি ইনফো’ নামের আরেক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুঞ্জুরুল মুর্শেদ বলেন, ‘আমরা আবেদন করেছিলাম। এর পরিপ্রেক্ষিতে জয় সিলিকন টাওয়ার ও শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন ভবনে আমাদের স্পেস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে জয় সিলিকন টাওয়ারেও কাজ শুরু হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে আমাদের এক হাজার কর্মী। তবে অফিসে কাজ করছেন ১৫০ জন। আমাদের ৯৫ শতাংশ কর্মীর বাড়ি রাজশাহীতেই।’
হাইটেক পার্কের উপপরিচালক প্রকৌশলী মাহফুজুল করিম বলেন, রাজশাহী হাইটেক পার্কের দুটি ভাগ আছে। জয় সিলিকন টাওয়ার ও শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন ভবন। এই দুই ভবনের মধ্য জয় সিলিকন টাওয়ারের কাজ শেষ হয়েছে।
সেখানে ৯টি প্রতিষ্ঠান এখন কাজও করছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৪০০ লোক এখানে কাজ করছে। হাইটেক পার্কের পুরো নির্মাণকাজ শেষ হলে অন্তত ১৪ হাজার তরুণ-তরুণী এখানে কাজ করবে।’
জনপ্রিয় সংবাদ

বান্দরবানকে স্মার্ট পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে: ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ।

রাজশাহীতে হাইটেক পার্ক নির্মাণে ২৮১ কোটি ১৯ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন হয় ২০১৬ সালে

তারুণ্যদের পদচারণায় মুখরিত রাজশাহীর হাইটেক পার্ক

আপডেট সময় ০২:২৫:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জুন ২০২২
তরুণ-তরুণীদের পদচারণায় মুখর রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক। বর্তমানে প্রায় ৪০০ তরুণ-তরুণী এই হাইটেক পার্কের ১৭টি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন।
কেউ সফটওয়্যার ডেভেলপ করছেন, কেউ বাইরের দেশের চাহিদামতো ফাইল নিয়ে কাজ করছেন। কেউবা আবার রাজশাহীতে বসেই বিশ্বের নামীদামি সাইট রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করেন। পুরোপুরি কাজ শেষ না হলেও কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে এই হাইটেক পার্ক।
সেখানে কর্মরত ফ্লিট বাংলাদেশের কর্মী আফরোজা আরবি তুষি বলেন, ‘যখন ছাত্রী ছিলাম, তখন ভয় পেতাম যে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষে ভালো একটা ক্যারিয়ার গড়তে হলে হয় ঢাকায় যেতে হবে, না হয় ক্যারিয়ারই হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ভাইবোনদের দেখেছি ক্যারিয়ারের জন্য ঢাকায় চলে যেতে।
 আমার খুব ইচ্ছা ছিল পরিবার-পরিজন নিয়ে রাজশাহীতে থেকেই একটা ক্যারিয়ার গড়ার। আমাকে সেই সুযোগটা দিয়েছে ফ্লিট বাংলাদেশ। আর ফ্লিট বাংলাদেশকে সেই সুযোগ দিয়েছে হাইটেক পার্ক। এখানকার পরিবেশও ভালো।’
রাজশাহীতে হাইটেক পার্ক নির্মাণে ২৮১ কোটি ১৯ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন হয় ২০১৬ সালে। পরের বছরের ১৮ জুলাই রাজশাহী মহানগরী বুলনপুর এলাকায় ৩১ দশমিক ৬৩ একর জমির ওপর এর নির্মাণকাজ শুরু হয়। পার্কের প্রধান দুই অংশের মধ্যে শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের কাজ শেষ হয় গত বছর।
তারপর ১০টি প্রতিষ্ঠানকে স্পেস বরাদ্দ দেয়া হয় তাদের কাজ শুরু করার জন্য। এরপর কাজ মোটামুটি শেষ হলে জয় সিলিকন টাওয়ারেও স্পেস বরাদ্দ শুরু হয়েছে। সেখানে ৭টি প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে স্পেস বরাদ্দ পেয়েছে। সব মিলিয়ে কাজ করছে ১৭টি প্রতিষ্ঠান।
হাইটেক পার্কে মোবাইল গেমস এবং অন্যান্য সফটওয়্যারসেবা দিতে কাজ করছে ‘টেক রাজশাহী’। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী মাহফুজুর রহমান জানান, তাঁর প্রতিষ্ঠানে ১৪২ জন কর্মী আছে। এর মধ্যে হাইটেক পার্কে ২৮ জন কাজ করছেন।
মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠানের নামের সঙ্গে রাজশাহী শব্দ আছে। প্রতিষ্ঠানটির অফিসও শেষ পর্যন্ত রাজশাহীতে হলো। হাইটেক পার্কটির অবস্থান এবং অন্যান্য আধুনিক সুবিধার পাশাপাশি এখানে একটি অফিস থাকা মানে প্রতিষ্ঠানের “ব্র্যান্ড ভ্যালু” অনেকখানি বেড়ে যাওয়া।’
‘এমডি ইনফো’ নামের আরেক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুঞ্জুরুল মুর্শেদ বলেন, ‘আমরা আবেদন করেছিলাম। এর পরিপ্রেক্ষিতে জয় সিলিকন টাওয়ার ও শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন ভবনে আমাদের স্পেস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে জয় সিলিকন টাওয়ারেও কাজ শুরু হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে আমাদের এক হাজার কর্মী। তবে অফিসে কাজ করছেন ১৫০ জন। আমাদের ৯৫ শতাংশ কর্মীর বাড়ি রাজশাহীতেই।’
হাইটেক পার্কের উপপরিচালক প্রকৌশলী মাহফুজুল করিম বলেন, রাজশাহী হাইটেক পার্কের দুটি ভাগ আছে। জয় সিলিকন টাওয়ার ও শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন ভবন। এই দুই ভবনের মধ্য জয় সিলিকন টাওয়ারের কাজ শেষ হয়েছে।
সেখানে ৯টি প্রতিষ্ঠান এখন কাজও করছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৪০০ লোক এখানে কাজ করছে। হাইটেক পার্কের পুরো নির্মাণকাজ শেষ হলে অন্তত ১৪ হাজার তরুণ-তরুণী এখানে কাজ করবে।’