![](https://www.nababani.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
দুর্ঘটনার পর আলামত হিসেবে জব্দ করা একটি মোটরসাইকেল। রাজশাহীর তানোর থানা থেকে সেই মোটরসাইকেল গায়েব হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে মোটরসাইকেলের মালিক বেলাল হোসেন বুলু গতকাল সোমবার রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।লিখিত অভিযোগে বেলাল বলেন, দুর্ঘটনার পর মানিক নামের এক উপপরিদর্শক (এসআই) তাঁর মোটরসাইকেল জব্দ করে থানায় নেন। মনজিলার চিকিৎসা করানোর পর তিনি থানা থেকে মোটরসাইকেলটি বুঝে নিতে বলেছিলেন। তাঁর কথা অনুযায়ী তিনি মনজিলার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। পরে গত ২৬ জুন ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সালিস বৈঠকও হয়। সেখানে বেলাল ক্ষতিপূরণ হিসেবে মনজিলাকে ১০ হাজার টাকা দেন।
এরপর এই আপস-মীমাংসার কাগজ নিয়ে থানায় যান মোটরসাইকেল নিতে। সেখানে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়াকে মীমাংসার কপি দিয়ে মোটরসাইকেল চান। কিন্তু ওসি বলেন, তাঁর মোটরসাইকেলের ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। সেদিন বেলাল থানায় তাঁর মোটরসাইকেলটি দেখতে পান। তিনি ওসিকে সেটি দেখিয়ে দিলে ওসি বলেন, তিনি খোঁজখবর নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি বেলালকে ১৫ দিন পর ডাকেন।
১৫ দিন পর বেলাল আবার থানায় যান। তখন আর থানায় মোটরসাইকেলটি দেখতে পাননি। মোটরসাইকেলের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি কামরুজ্জামান তাঁকে বলেন, ‘এসআই মানিক বদলি হয়ে গেছেন। মোটরসাইকেল নিতে হলে এসআই মানিককে আনতে হবে।’
অভিযোগে বেলাল আলও লিখেছেন, ওসি তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। বলেছেন, ‘মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে চিরতরে হারাবি।’ তিনি এ-ও বলেছেন যে, ‘তোর গাড়ির বিষয়ে কিছু জানি না। যেখানে পারবি গিয়ে উদ্ধার করে নিস।’ এভাবে অপমান করে ওসি তাঁর কক্ষ থেকে বেলাল হোসেনকে বের করে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে তিনি ওসি কামরুজ্জামান ও এসআই মানিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
বেলাল হোসেন বলেন, ‘এসআই মানিক একটা জিডি করে থানায় গাড়ি রেখেছেন। আমি মীমাংসার কাগজ এবং গাড়ির কাগজ নিয়ে থানায় ঘুরছি। এখন গাড়িও দেখতে পাচ্ছি না। আমার ধারণা গাড়ি বেচে দেওয়া হয়েছে। আমার দুই টাকার গাড়ি হোক, কিন্তু এটা তো হতে পারে না। তাই এসপির কাছে অভিযোগ করেছি। আশা করছি, এর একটা বিহিত হবে এবার।’
বেলাল হোসেনের মোটরসাইকেলের বিষয়ে জানতে চাইলে তানোর থানার ওসি কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘আমার জানা নাই।’ গাড়িটি কোথায় জানতে চাইলে একই কথা বলেন ওসি।
এ বিষয়ে বেলাল হোসেন লিখিত অভিযোগ করেছেন জানালে ওসি বলেন, ‘সাংবাদিককে কী এসপি অফিস অভিযোগ তদন্ত করতে দিয়েছে? সাংবাদিক কীভাবে জানবে! অভিযোগ হয়েছে, সেটা এসপি অফিসই দেখবে। এ নিয়ে সাংবাদিকের মাথাব্যথার কারণ নেই।